বদল বা পরিবর্তনের কথা আমরা সবাই ভাবি, আর সব সময় উত্তরণের আশা করি মন্দ থেকে ভালোর। চেষ্টা করি পরিবার, সমাজ, দেশ ও আন্তর্জাতিক ভাবে, সমস্ত ভালো ভালো পরিবর্তনের! আর সে জন্যই যুগে যুগে পরিবর্তনের হাত ধরে পুরনো অতীত সময়কে পিছে ফেলে আজকের এই বর্তমানের সভ্য আমরা। কিন্তু ভাববার বিষয় এই যে-আমরা কতখানি বদলাতে পেরেছি নিজেকে? কতটা হতে পেরেছি সভ্য? জীবনের প্রয়োজনে আসে পরিবর্তনের তাগিদ। চিৎকার করে বলি- বদলে ফ্যালো সমাজ, দেশ, সংস্কৃতি, সভ্যতা। অথচ দৃশ্যমান বস্তবতা! তথাকথিত এই বিবস্ত্র সভ্যতায়, মানুষ হয়েছে যান্ত্রিক, মানবতা হয়েছে পাথুরে।
স্বার্থ চরিতার্থ আর অর্থের পূঁজা করেই কাটে বেশীরভাগ সভ্যদের দৈনন্দিন জীবন। শুধু মৌখিকভাবে নয় কর্মেই সকল প্রকার অসঙ্গতির প্রকৃত সমাধান আনতে হবে। সেই পরিবর্তনের আলো ছড়িয়ে দিতে হবে পরিবার, সমাজ, দেশ- - - সবখানে।
শুধুমাত্র লেখাপড়া শিখে শিক্ষিত হলেই চলবে না-হতে হবে স্ব-শিক্ষিত, হতে হবে আলোকিত মানুষ, যাতে করে আপনাকে দেখে অশিক্ষিত ও অসচেতন মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। সে জন্য আমাদের মানষিকতার পরিবর্তন করতে হবে সর্বাগ্রে।
আসলে নীতিহীন অনিয়মের ধারাকে নিয়মের বাহুডোরে বেঁধেই আমরা ভেসে চলেছি ক্রমবর্ধমান অপরাধের স্রোতে। মূলে সামান্য স্বার্থ। যা পার্থীব দৃষ্টিতে অনেক বড় বলে মনে হতে পারে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা খুবই সামান্য এবং অল্প সময়ের জন্য। তাই কেবল নিজের বড়ত্ব জাহির করার জন্য অন্যায়ের পথ পরিহার করা উচিৎ। যেহেতু আমরা পৃথিবীতে মানুষ হিসাবে জন্মেছি-সেহেতু মানবিক গুনাবলীর প্রকাশ আমাদের তো করতেই হবে, তা না হলে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হয়েও আমরা বিবেচিত হতে পারি শুধুই প্রাণী হিসাবে !!! নিজের ভালোমন্দের বা আবেগের মূল্যায়ন যেভাবে করবো ঠিক সেভাবেই অপরের বেলায়ও সেটুকু সমদৃষ্টি প্রদান করার মানষিকতা সৃষ্টি করতে হবে।
তবেই হতে পারি মানুষ নতুবা অন্য কিছু।
আমাদের মাঝে ধৈর্য্য ধারণ করার ক্ষমতা একেবারেই নেই বললেও চলে, যার ফলশ্রুতিতে আমরা মুহুর্তের মধ্যেই হয়ে উঠি হিংস্র, প্রতিহিংসা পরায়ণ, যার পরিনাম-অনাকাঙ্খিত হিংস্রতা যা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই পাশবিকতাকেও হার মানায়। পক্ষান্তরে-কোনো প্রকার ছাড় না দেওয়ার প্রবণতাও সভ্য মানুষকে করে তোলে অসভ্য। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বার্থ গড়ে তোলে সুউচ্চ বিভেদের দেয়াল। সত্যি কথা বলতে কি- ভালো-মন্দের পার্থক্য বোঝে না শুধুমাত্র শিশু আর মস্তিষ্ক বিকৃত মানুষেরা।
তাছাড়া প্রতিটি সুস্থ স্বাভাবিক মানুষই বোঝেন কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ এবং ভালো ও মন্দের পার্থক্য। তাই বিবেকের দৃষ্টি প্রসারিত করতে হবে খারাপের সীমানা পেরিয়ে। কিছুটা সৌজন্য বোধ, ধৈর্য্য এবং কিছুটা ছাড় দেওয়ার মাধ্যমেই আমুল পরিবর্তন করা সম্ভব নিজের-সমাজের-দেশের,,,,।
যবনিকা সংক্ষেপনে শুধু এটুকুই বলবো-মানুষ তার পরিবার ও পরিবেশের কাছে যে সমস্ত জ্ঞান আহরণ করে তাই তার জীবনের পরবর্তী দিন গুলোতে চলার পথের পাথেয় হয়ে থাকে, আর সে জন্য আপনাকে, আমাকে হতে হবে প্রকৃত মানুষ। তা না হলে আজকের প্রজন্ম তো দূরের কথা- - - অনাগত ভবিষ্যৎও হবে কুহেলিকায় ঘেরা।
মানবতা হবে ভূ-লুণ্ঠিত, আর সে জন্য বদলে ফেলি নিজেকে, নিজেদেরকে, নিজেদের সময় ও সমাজকে, এবং একজন মানুষ হয়ে অন্য কোনো মানুষের উপকারে না আসতে পালেও নিজেই যেনো কারো ক্ষতির কারণ হয়ে না দাঁড়াই। না হই নিজের-সমাজের বা দেশের ক্ষতির কারণ-অনাগত ভবিষ্যতের জন্য এই হোক আমাদের নিত্য দিনের অঙ্গীকার। । ।
ইন্দ্রধাম -
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।