উন্মাদ খুলির পৃষ্ঠাগুলি
পুরনো মশলা বাটা গন্ধে যে প্রহর ভেঙে উঠে আসে, যে আলো উৎপলে
সঙ্গোপনে সংস্থান করে নীলজ্বর
তার সুড়ঙ্গে মাথানিচু করে থাকি, পানিতৃষ্ণার তাঁবুতে ঢুকে
সারি সারি হাড়ের হাসিতে ফুটে উঠি 'মাংশকণা'
................................................
ঘুমের ভেতর একরাতের পঞ্জিকা
গাঢ় সবুজ আঙুর ঘুমের ভেতর থোকা থোকা
ঝুলেছিল মাটিতে ভেজা গন্ধের কাঠে ফুটে উঠেছিল
কালো বাদুরের চোখ - গভীর রাতের নিরবতা
না ছোঁয়া দেহের দাঁড়ে
পানকৌড়ির পাখনার আওয়াজ কাল ছো মেরেছিল
হাড়ের ভেতর ঘুমিয়ে থাকা পালক ওড়ে নাই
কাচা মাংশের ঘ্রাণে কাল জেগেছিল গোরখোদকেরা
ওদের হাতের পেশিতে আগুনের নীল ঝলকে
দিগ্বিদিক শূণ্যতার এক মায়া জগতের পরীকূল
তাদের হাড়ের মধ্যে ঘুমিয়ে রাখা পায়রাগুলি
উড়িয়েছিল
পায়রাদের লাল পায়ে কাল কামনার
ফুল ফুটেছিল
পেতনিদের চুলের খোঁপা ও কাঁটায়
আমি শহরের খুপরিতে একা
ব্যথার আঙুল ডুবিয়েছিলাম আঙুরের রসে
প্রতিটি শব্দের কাছে
প্রতিটি শব্দের কাছে ফেরারী জুয়াড়ী হয়ে ওঠে
ফাঁসি কাষ্ঠে ঝুলানো এক একটি হাঁস
সুতীব্র আকাঙ্খার বাজুবন্ধে বেজে ওঠে হরিৎ সকাল
স্নানরত কিশোরের আঙুলে বিঁধে যাওয়া গোলাপের কাঁটা
শব্দাভ্যন্তরে খুঁজে নেয় বিমর্ষ উরুর সিথান
ঘোর উন্মাদনার পালকে খণ্ডিত স্থিতিতে ভাঙনের সুর
আমি গোপন করি হৃদ্যতা
সুহার্দ ফল ভেঙে দেখার চোখ খুলে রাখি
পরস্পর মুখের ছিন্ন হওয়া রোদে গড়িয়ে দিই আপেল
ছুরির হিংসায় দরোজা খুলে রাখে প্রস্তরযুগের ঈর্ষা
নিরাভরণ দৃষ্টি প্রসারণের নৈ:সঙ্গ তৈলচিত্রে গড়ে ওঠে
রাত্রির নতজানু গলুই চুয়ে পড়ে ফিনকি দেওয়া
জোছনা ও স্খলিত মুগ্ধতা
তীরবিদ্ধ কোকিলের দেহ নি:সৃত দহনের চৌকাঠে
এক একটি শব্দ ফুটে থাকে ছিন্নতার সমকামী রোদ্দুরে
আমি শূণ্যতার বাহনে তুলে দিই একাকী শয়ন ভঙ্গি
কাচা শরীরে বৃষ্টির প্রলোভন
যখন মেঘের ধ্বনিতে সমস্ত বৃক্ষের জগত ভরে ওঠে
তখনকার সেই ধ্বনিময় ব্যঞ্জনে তুমি দ্বিধাখুলে দেহের ভাঁজে
অলক্ষ্যে সুপ্ত বিক্ষেপে গেঁথে নাও
নিসর্গ চুম্বনের ছাপচিহ্ন, কপাটে ভেসে ওঠে পৃথিবীর সমস্ত বেড়াল
আমি মাছের কাঁটাগুলি জড়ো করে গুছিয়ে রাখি টেবিলের নিচে
কাচের গ্লাসগুলা টুকরা টুকরা করে ছড়িয়ে রাখি
ঘরের সারা মেঝেতে, আয়নার ভেতর দেওয়াল লাল হয়ে ওঠে
আকাশের গাত্রে ছড়িয়ে দাও তুমি বক্ষ-উন্মূল আগুনের দাহ
এই দাহের নীলচে স্রোতে একদিন ভেসে এসেছিলো
চন্দন কাঠের নাও
ওই সময়কালের মেঘপুঞ্জ থেকে খসে পড়া ধ্বনিই তো তোমার
শরীর, যা আজকের জগতের ভাষা - উপমায়
বিলুপ্ত, কোন চিহ্নাংশ নেই - শুধু বৃষ্টির দিনে, তুমি মনুষ্য
দৃষ্টির আড়ালে - একে একে সাজসজ্জ্বা ছেড়ে
ফুটে ওঠো বরষণে নিমজ্জিত তীরের কামার্ত চোখে
এ সময় আমি স্পর্শকাতর অনুভূতির পাখিগুলিকে
বৃষ্টির শব্দে উড়িয়ে দিয়ে পৃথিবীর আর সমস্ত ধ্বনি ও চুম্বনের সঙ্গে
কুমারী কাঠের গন্ধে তোমাকে লুপ্ত হতে দেখি
বহুবর্ণীল তোমার কাচা শরীরে বৃষ্টির প্রলোভন আমি
*শিরোনাম পরিবর্তন করে দিলাম।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।