শচীন টেন্ডুলকারের অবসর নেওয়া না-নেওয়া নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। বয়স ৪০ হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাটিয়ে দিয়েছেন ২২টি বছর। সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করেছেন; ক্রিকেটে সম্ভব-অসম্ভব প্রায় সব রেকর্ডই তাঁর দখলে। আধুনিক ক্রিকেটের ‘ব্র্যাডম্যান’ অভিধায় অভিহিত হয়েছেন সেও প্রায় বছর পনেরো হতে চলল।
আর কী চাই টেন্ডুলকারের? আর কত দিন খেলবেন তিনি। ছোট ফরম্যাটের ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। তাহলে কী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজের দুই শতম টেস্ট খেলেই ‘শেষ’ বলে দেবেন? লিটল মাস্টার অবশ্য নিজে আশ্চর্য নির্লিপ্ত নিজের অবসর ঘোষণা নিয়ে। উল্টো ভারতীয় মিডিয়াকে বলেছেন, ব্যাপারটা নিয়ে নাকি তিনি একেবারেই তাড়ার মধ্যে নেই।
ভারতের একটি টেলিভিশন চ্যানেল তাঁকে বহুচর্চিত প্রশ্নটি করেছিল।
তিনি স্মিতহাস্যে উত্তর দিয়েছেন, ‘অত তাড়া কিসের, ভাই?’ সেই সঙ্গে এও বলেছেন, তাঁর অবসর নিয়ে কোনো কিছু ঘোষণা করার সময় নাকি এখনো আসেনি!
ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তরা তাঁকে ‘ঈশ্বরতুল্য’ মনে করেন। ব্যাপারটি বিব্রত করে শচীনকেও, ‘আমি ঈশ্বর কীভাবে হই। আমি একজন ক্রিকেট খেলোয়াড়। উল্টো ঈশ্বরের আশীর্বাদ আমার দরকার। আমি তাঁর আশীর্বাদ পেয়েই এতদূর আসতে পেরেছি।
আমি ভুল করি। শূন্য রানেও আউট হয়ে যাই। আমি ঈশ্বর হলে নিশ্চয়ই কখনো আউট হতাম না। ’
কড়া পারিবারিক মূল্যবোধে বড় হয়েছেন টেন্ডুলকার। পুরো জীবনটাই নিয়মতান্ত্রিকতার ঘেরাটোপে বন্দী করে কাটিয়ে দিয়েছেন তিনি।
সাফল্য-চূড়ায় উঠেও তাই নিজেকে সব সময়ই রাখতে পেরেছেন মাটিতে। অর্থ-যশ-খ্যাতি পায়ে লুটিয়ে পড়লেও মাথাটি রেখেছেন সব সময়ই ঠান্ডা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।