আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহা পৃথিবী - [উপন্যাস] - ১

http://profiles.google.com/mshahriar

উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়েছে একুশের বইমেলা ২০০৯ এ৷ প্রকাশক বিদ্যাপ্রকাশ৷ পুরো উপন্যাসটি এখানে ধারাবাহিকভাবে তুলে দেয়ার ইচ্ছে হলো৷ সেই ইচ্ছেরই বহিঃপ্রকাশ এটি৷ মহা পৃথিবী এক টুং টুং... টুং টুং... বিছানায় শুয়ে বই পড়ছিলো অহনা৷ কিছুক্ষণ আগে ভিক্টর হুগোর 'হ্যাঞ্চব্যাক অব নটরডেম' পড়তে শুরু করেছে সে৷ কাহিনীর নায়িকা এসমেরালদা সদ্য তার ভুবনমোহিনী রূপ নিয়ে প্যারিসের রাস্তায় নৃত্য শুরু করেছে, নটরডেমের আর্চবিশপ ক্লদ ফ্রেলো সহ রাস্তার সব শ্রেণীর মানুষ ঘোরলাগা চোখে এসমেরালদার নৃত্য দেখছে, এমন সময় টুং টুং শব্দ করে এস.এম.এস.টা এলো৷ দারুণ চমকে গেলো অহনা৷ চমকে উঠে বিছানায় মাথার কাছে রাখা ফোনটার দিকে তাকালো, তারপর ঘড়ি দেখলো৷ রাত ঠিক বারোটা৷ এত রাতে তাকে এস.এম.এস. করার মত মানুষ একজনই আছে৷ কিন্তু সে তো এখন আর আগের মত যখন তখন এস.এম.এস. করে না! তাহলে কে হতে পারে? বইটা মুড়ে রেখে বিছানায় উঠে বসে ফোন হাতে নিয়ে এস.এম.এস.টা খুললো সে৷ লেখা, “শুভ জন্মদিন আপু! অনেক অনেকবার ফিরে আসুক এই দিন তোর জীবনে৷” অহনার মনে পড়ে গেলো আজকে তার জন্মদিন৷ মানে রাত বারোটা বাজার সাথে সাথে ইংরেজী মতে তার জন্মদিন শুরু হয়েছে৷ সে ভুলে গিয়েছিলো৷ না, ঠিক ভুলে যায়নি৷ জন্মদিনটা যেন ঠিক ভুলে যাওয়া যায় না, থেকে থেকে মনের মধ্যে উঁকি দেয়৷ বিকেলের দিকেও তার একবার মনে পড়েছিলো যে আজ রাত বারোটা বাজতে তার নতুন একটা জন্মদিন শুরু হচ্ছে৷ আবার রাতেও একবার মনে পড়েছিলো সে কথা৷ কিন্তু বইটা পড়তে শুরু করে একেবারে ভুলে গিয়েছিলো সে৷ এস.এম.এস. করেছে তার ছোট ভাই রাজিব৷ বেটা পাজি, পাশের ঘরেই আছে, তবু এস.এম.এস. পাঠিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাবে! এস.এম.এস.টা পড়ে মুখ টিপে একটু হাসলো অহনা৷ হঠাৎ করেই একটা বিচিত্র অনুভূতি হলো তার৷ মনটা একই সাথে একটা ভালোলাগা আর একটা বিষাদে ভরে গেলো৷ আজ তার জন্মদিন৷ আজ ত্রিশ বছর পূর্ণ হলো তার৷ ত্রিশটা বছর চলে গেলো পৃথিবীর বুকে৷ খুব অবাক লাগে ভাবলে! এই সেদিন না শুরু হলো জীবনটা? এই না সেদিন? এত তাড়াতাড়ি চলে যায় সময়?! এখনো মনে পড়ে স্কুলে প্রথম যাওয়ার দিনটার কথা৷ মনে পড়ে তাকে স্কুলে রেখে বাবা মা যখন চলে যাচ্ছেন, তখন কি ভীষণ কান্না পাচ্ছিলো তার৷ বুক ভরা কান্না চেপে ধরে কিভাবে সে বসেছিলো ক্লাসে! এখনো মনে পড়ে বাবা মা'র হাত ধরে গুট গুট করে হেঁটে যাওয়া দিনগুলি৷ এত তাড়াতাড়ি ত্রিশ বছর পার হলো? সবাই বলে, ত্রিশের আগের সময়টাই নাকি জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়৷ জীবনের যা কিছু আনন্দ, যা কিছু ভালোলাগা তা ঐ সময়েই পাওয়া যায়৷ এখন কি তাহলে শুরু হবে অন্য রকম সময়? অন্য রকম জীবনের দিকে যাত্রা? কেমন হবে সে জীবন? জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় কি চলে গেলো? মনে পড়তেই একা একা হাসলো অহনা৷ শ্রেষ্ঠ সময়! হাহ!! এরপর একের পর এক এস.এম.এস. আসতে শুরু করলো৷ অহনার ভক্ত, গুণগ্রাহী, শুভাকাঙ্ক্ষীর অভাব নেই৷ সে সবার প্রিয়৷ সবাই তাকে খুব পছন্দ করে, ভালোবাসে৷ তাদের মধ্যে যারা তার জন্মদিনের কথাটা জানে তাদের সবার কাছ থেকেই শুভেচ্ছা জানিয়ে এস.এম.এস. আসতে লাগলো৷ কেউ কেউ খুব সাধারণ ভাষায় শুভেচ্ছা জানিয়েছে, আবার কেউ কেউ ছোট ছোট ছড়ার মাধ্যমে নিজের কথা লিখে পাঠিয়েছে৷ অহনা একটা একটা করে এস.এম.এস. পড়ে আর মুখ টিপে হাসতে থাকে৷ সবাই আরো বহুবার এই দিনটার প্রত্যাবর্তনের আশা প্রকাশ করেছে৷ সে দীর্ঘশ্বাস ফেলে৷ কি হবে আরো বহুবার এই দিনটার প্রত্যাবর্তন দিয়ে? ত্রিশটা বছর চলে গেছে পৃথিবীর বুকে৷ ত্রিশটা শূন্য বছর৷ কি হবে আরো অনেকগুলো শূন্য বছর দিয়ে? তার যে কোথাও পৌঁছাবার নেই! তার যে কাউকে কিছু দেবার নেই! কিন্তু যতক্ষণ তার জন্মদিনের কথা মনে ছিলো না ততক্ষণ অন্য কথা, মনে পড়ার পর থেকেই মনটা উন্মুখ হয়ে উঠলো একজনের এস.এম.এস. এর জন্য৷ বিশেষ একজন, অন্যরকম একজন, যার জন্য তার মনটা সব সময় ব্যাকুল হয়ে থাকে৷ কিন্তু সেই একজনের কাছ থেকে এস.এম.এস. আসে কই? সেই একজনের ছোট বোনও শুভেচ্ছা জানিয়েছে, কিন্তু সে যে কিছুই লিখছে না! অহনার কষ্ট হতে লাগলো৷ তবে কি রায়হান ভুলে গেছে তার জন্মদিনের কথা? সেটা অসম্ভব৷ রায়হান কি করে ভুলে যাবে সে কথা? সে বিশ্বাস করতে পারে না৷ তার জন্মদিনের কথা ভুলে যাবে রায়হান সেটা হতে পারে না৷ কিন্তু ভুলে গেলেই বা সে কি করে তাকে দোষ দিবে? অহনার নিজের উপরই রাগ হতে লাগলো৷ রায়হান যদি তাকে ভুলে যায় তবে সেটাই তো ভালো৷ সেটা তাদের সবার জন্যই ভালো৷ সবচেয়ে ভালো হয় রায়হানের নিজের জন্য৷ তবে কেন তার এস.এম.এস. এর জন্য বুকের ভিতর তীব্র হাহাকার নিয়ে বসে থাকা? কেন বুকের ভিতর এই সীমাহীন অস্থিরতা? অহনা বোঝে না৷ নাকি বোঝে? ভালোবাসার মানুষটির অপেক্ষায় থাকবে মন এটাই তো স্বাভাবিক! তাই তীব্র ব্যাকুলতা নিয়ে রায়হানের এস.এম.এস. এর প্রতীক্ষা করে যায় মনটা৷ ধীরে ধীরে এস.এম.এস. আসা কমতে কমতে একসময় বন্ধ হয়ে গেলো৷ রায়হানের এস.এম.এস. এর অপেক্ষায় থেকে থেকে অহনা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলো৷ কিন্তু তার মনে পড়লো কালকে দিনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, আজ একটা ভালো ঘুম হওয়া দরকার৷ বিছানায় শুয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলো সে৷ কিন্তু অস্থির লাগছিলো, ঘুম আসছিলো না৷ বিছানা থেকে নেমে ঘরের মধ্যে পায়চারি শুরু করলো সে৷ পায়চারি করতে করতে জানালার সামনে এসে দাঁড়ালো৷ বাইরে অন্ধকার শান্ত নীরব রাত বয়ে যাচ্ছে৷ কুয়াশা পড়েছে৷ কুয়াশার মধ্যে সোডিয়াম বাতির আলো মিশে একটা ভূতুড়ে মায়াবী পরিবেশের সৃষ্টি করেছে৷ সেই মায়াবী ভূতুড়ে পরিবেশের দিকে তাকিয়ে অহনা বিড়বিড় করলো, “রায়হান, ভুলে গেলে আমাকে? ভুলে গেলে আমার জন্মদিনের কথা?” কোনো উত্তর পাওয়া গেলো না৷ শুধু বুকের ভিতর জেগে উঠলো তীব্র হাহাকার৷ চোখের কোনে জমে উঠলো মুক্তোদানার মত বিন্দু বিন্দু পানি৷ অন্ধকার, শান্ত নীরব রাতের দিকে তাকিয়ে থেকে অহনা অনুভব করলো, একজন মানুষের জন্য পৃথিবীটা কেমন শূন্য হয়ে গেছে! পৃথিবী কেমন অর্থহীন হয়ে গেছে শুধু একজনের অভাবে! সকালে ঘুম থেকে উঠে কিছুক্ষণ রেওয়াজ করা অহনার সারা জীবনের অভ্যাস৷ অভ্যাসটা এমনই যে, সকালে রেওয়াজ না করলে সারাদিন মনে হয় কি যেন করা হয়নি৷ আজও ঘুম থেকে উঠেই রেওয়াজ শুরু করলো সে৷ গানটা তার অস্তিত্বের মত, গান ছাড়া সে ভাবতে পারে না৷ সে গান গায় খুবই ভালো৷ কিন্তু গায়িকা হিসেবে সে পরিচিত নয়৷ হয়তো তার অন্য পরিচয় তার গায়িকা পরিচয়কে ছাপিয়ে গেছে৷ একটা টিভি চ্যানেলে 'মহা পৃথিবী' নামে একটা ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করে অহনা৷ গত দুই বছর ধরে করছে৷ অনুষ্ঠানটা অত্যন্ত জনপ্রিয়, আর তার জনপ্রিয়তার মূল কারণ হলো অনুষ্ঠানটার সুষ্ঠু, সুন্দর, পরিচ্ছন্ন শিল্পবোধ আর অহনার অসাধারণ সম্মোহন করা উপস্থাপনা৷ তার উপস্থাপনা এত সুন্দর যে অনেক মানুষ শুধু সেটার জন্যই টিভি সেটের সামনে বসে পড়ে অনুষ্ঠানটা দেখার জন্য৷ অহনা খুবই জনপ্রিয়৷ তার জনপ্রিয়তার কারণ হতে পারে তার সৌন্দর্য৷ সে সুন্দর৷ তার সৌন্দর্যের মধ্যে এমন একটা স্নিগ্ধতা আছে যা মানুষকে দূরে ঠেলে দেয় না, বরং কাছে টানে সহজেই৷ তবে তার সৌন্দর্যকেও ছাপিয়ে যায় তার ব্যক্তিত্ব৷ তার শান্ত, কোমল, পরিমিত ব্যক্তিত্বের জন্য তাকে দেখলে মন ভালো হয়ে যায়, খুব আপন বলে মনে হয় তাকে৷ সেই সাথে আছে তার চমৎকার বাচনভঙ্গি৷ প্রায় সারা জীবন ধরে গানের চর্চা করায় তার কণ্ঠ অসম্ভব মিষ্টি৷ কিন্তু কথা বলাও যে একটা শিল্প, আর একটা সুন্দর শিল্প, সেটা অহনা কথা বললে বোঝা যায়৷ তার কথা এত সুন্দর, এত মাধুর্যময় যে তা মানুষকে মোহিত করে, সম্মোহিত করে৷ তা মানুষকে মন্ত্রমুগ্ধের মত ধরে রাখতে পারে৷ 'মহা পৃথিবী' ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানটার শেষে একটা পর্ব থাকে, যে পর্বে অহনা কোনো একটা সাহিত্য থেকে কিছু অংশ পড়ে শোনায়৷ তার অপূর্ব উপস্থাপনার জন্য সেই পর্বটা খুবই জনপ্রিয়৷ সম্মোহিতের মত মানুষ তার সাহিত্য পাঠ শোনে৷ রেওয়াজ শেষ করে উঠে পড়লো অহনা৷ তার মনে পড়লো, আজকে তার জন্মদিন, আজকে ত্রিশ বছর পূর্ণ হলো তার৷ আবার আজকেই তাদের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের শুটিং আছে৷ আজকের অনুষ্ঠানের শুটিং হবে অনঙ্গপুরে৷ যদিও শুটিং সেই রাত্রে, তবু একটু পরেই তাকে টিভি ভবনের উদ্দেশ্যে বের হতে হবে৷ সেখান থেকে সবাই একসাথে অনঙ্গপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হবে৷ অহনা তার জানালার সামনে এসে দাঁড়ালো৷ এই জানালা দিয়ে তাদের বাসার সামনের রাস্তাটা দেখা যায়৷ এত ভোরে পৃথিবী ঠিকমতো জেগে ওঠেনি৷ তার উপর আজকে সরকারী ছুটির দিন, তাই রাস্তাটা প্রায় ফাঁকা৷ মাঝে মাঝে একটা দুইটা রিকশা বা গাড়ি চলতে দেখা যাচ্ছে৷ সকালের মৃদুমন্দ বাতাস জানালা দিয়ে এসে অহনার চুল উড়িয়ে দিচ্ছে৷ ঠাণ্ডা বাতাসে শরীরে কাঁপন ধরলো তার৷ হাত দিয়ে নিজের দু'কাঁধ চেপে ধরলো সে৷ দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে মনে পড়লো, রায়হান তার জন্মদিন উপলক্ষে কোনো শুভেচ্ছা জানায়নি, কোনো কিছু বলেনি৷ গত বছর জন্মদিনের রাতটা কেটে গিয়েছিলো ওর সাথে ফোনে কথায় কথায়৷ এ বছর সেরকম কিছু হলো না৷ রায়হান কোনো ফোনও করলো না, কোনো মেসেজও পাঠালো না! মনে পড়তেই তার মনটা খারাপ হয়ে গেলো৷ কিন্তু সে জানে, রায়হান ভোলেনি, তার পক্ষে ভোলা সম্ভব নয়৷ কিন্তু কেন সে কিছুই লিখলো না? কিছুই বলল না? হয়তো সে খুব ক্লান্ত ছিলো, ঘুমিয়ে পড়েছিলো৷ অথবা হয়তো... কি জানি, কি হয়েছিলো! অহনার কষ্ট হতে লাগলো৷ প্রবল একটা হাহাকারে বুকের ভিতরটা ভরে গেলো তার৷ আচ্ছন্ন একটা বিষাদে ছেয়ে গেলো মন৷ জানালার সামনে দাঁড়িয়ে চুপচাপ রাস্তার দিকে চেয়ে রইলো সে৷ হঠাৎ টুং টুং করে এস.এম.এস. আসার শব্দ হলো৷ অহনা চমকে উঠলো৷ ধ্বক করে উঠলো তার বুকটা৷ সে জানে কার এস.এম.এস. এসেছে৷ সে জানে এটা তার ছাড়া আর কারো নয়! ছটফটে লঘু পায়ে জানালা থেকে সরে এসে বিছানার উপর থেকে মোবাইলটা তুলে নিয়ে এস.এম.এস.টা খুললো সে৷ রায়হান লিখেছে, “জন্মদিনের শুভেচ্ছা অহনা৷ অনেক অনেক অনেক শুভেচ্ছা৷ পৃথিবীর সব শুভেচ্ছা আজ তোমার জন্য৷ ভাগ্যিস আজ অন্য কারো জন্মদিন নেই, থাকলে তাকে দেয়ার জন্য কিছুই অবশিষ্ট থাকতো না, হা হা হা... আচ্ছা তুমি কি বাইরের আকাশটা দেখেছো আজকে? দ্যাখো পৃথিবীর সবচেয়ে চমৎকার মেয়েটির জন্মদিন উপলক্ষে আকাশটা কেমন রঙে রঙে ছেয়েছে৷ রঙিন আকাশটা ডেকে ডেকে বলছে, শুভ জন্মদিন, অহনা...!... দেরি করে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ক্ষমা চাইছি৷ কিন্তু রাত্রে নিশ্চয়ই শুভেচ্ছার লাইন পরে গিয়েছিলো, তাই তখন জানাইনি৷ জানোই তো, ভীড়ের মানুষ হতে আমার ভালো লাগে না!” এস.এম.এস.টা পড়তে পড়তে কি একটা ভালোলাগায় ভরে গেলো মনটা৷ বুকের ভিতর উথাল পাথাল ভালোলাগা৷ কোথা থেকে যে আসে এই ভালোলাগা! এর কোনো ব্যাখ্যা নেই৷ একটা মানুষের ছোট্ট কয়েকটা কথায় কি অসম্ভব ভালোলাগায় ভেসে যায় মন! অহনার মুখে মৃদু একটা হাসি, কিন্তু তার চোখে পানি চলে এলো৷ বুক ভরা ভালোলাগা নিয়ে হাসি মুখে চোখের পানি মুছলো সে৷ ভীড়ের মানুষ হতে তার ভালোলাগে না, হি হি... ভাবলো সে৷ মানুষটা অহংকারী, কিন্তু আসলে একদম ছেলেমানুষ! এস.এম.এস.টা আবার পড়লো সে৷ ফোনটা টেবিলের উপর নামিয়ে রেখে রায়হানের কথা ভাবলো৷ সে নিশ্চয় এখন অনঙ্গপুরে৷ এত সকালে ঘুম থেকে ওঠা তার অভ্যাস নেই৷ নিশ্চয়ই তাকে এস.এম.এস. পাঠানোর জন্যই এত সকালে উঠেছে! আবার জানালার পাশে সরে এসে আকাশের দিকে তাকালো অহনা৷ রায়হানের মনের রঙে আকাশটা যেন সত্যিই রঙে রঙে সেজেছে৷ বুকের ভিতর একটা আশ্চর্য ভালোলাগা নিয়ে সেদিকে তাকিয়ে রইলো সে৷ (চলবে) পরের পর্ব --- মাহবুবুর শাহরিয়ার www.mahbubur-shahriar.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।