লাল রঙের বৃষ্টি ১
(রূপকথা রূপ ধরে টারজান ডাকে- মনে রেখে)
কোথাও কেউ নেই , কেউ ছিলোনা কোনোদিন
কেবল একটি পাহাড় আছে,
সোনার পাহাড়...
সোনার পাহাড়ে আমাদের বহুদিন কাটলো,
রূপা নেই কাঁসা নেই তামা নেই, মাটি নেই,
শুধুই ঝলমলে সোনা
নারীদের বুক ছিলো সোনার গম্বুজ আর
পুরুষের শিশ্ন ছিলো সোনার মিনার
সোনায় মোড়ানো সেই ফুলের দল
পদ্ম গোলাপ জুঁই চম্পা চামেলি
টগর শেফালী
তখন
আমাদের গ্রাম ছিলো
জানালায় দেখা পাহাড়ের রূপকথা,
আমরা সারারাত স্বপ্ন দেখতাম দিনের,
আর দিনে
রূপকথাগুলো সত্য হয়ে যেতো।
ক্ষিদে পেট, ঘুম নাই, তবু সত্যি হতো রূপকথা...
আমাদের সারা গ্রামে দানব ছিলো বটে,
তবে দানবেরা ও আদরে কাছে টানতো,
আর ছিলো অথর্ব রাজা,
রাজকন্যা ছিলো, রাজপুত্র ছিলো, লড়াই ছিলো,
রক্তমাখা বিভৎস কান্না ছিলো
তবুও মানুষ জানতো কিভাবে হাসতে হয়,
কুশল শুধাতে হয়
একদিন রূপকথাগুলো বড় হলো। আমাদের গ্রামে
কোমল চেহারা স্যুট টাই পরা দানবেরা এলো
তারা ঠেসে দিল মাথার ভেতরে সময়জ্ঞানের বোঝা
আর স্বপ্ন দেখালো সোনার বদলে...।
আরো বেড়ে গেল রক্তনদীর স্রোত-ঢেউ-গ্রাস
দৈর্ঘ্য আর প্রস্থে চিড়ে চ্যাপ্টা রূপকথাগুলো
আধুনিক কাব্য হয়ে উঠল...
আর আমাদের ছেড়ে প্রিয় গ্রামখানি
ধীরে ধীরে চলে গেলো রোমন্থনের শৈশবে
ওহ!
সোনার পাহাড়টা।
ভয়ার্ততা আর রক্তপ্রেতচ্ছায়া লালমুখে
প্রতিভোরের জানালায় শুভসকাল জানায় আমাদের
লাল রঙের বৃষ্টি ২
বেউল হইনু অতি।
কিমাশ্চর্যপরবৎ। সৃষ্টি-ক্ষণ-আগে ঈশ্বরও ছিলেন এমনই নতজানু? ম্লানমুখ। যন্ত্রণাকাতর বুক। অন্ধকারার দাসখৎ ছিলো কি তার স্বানুভবের নিজমাংসে উল্কি আঁকানো! ক্ষতবষ্টি শুকনো লহু দেখে- মনে লয়, এই জন্ম আগে অমরাবতীর সভাতল। তীর্থযাত্রা ঘোর।
মহেন্দ্র লুব্ধ আঁখি অনিমেষ জ্বলজ্বল। মনজিল তো আগেই জানা মন, কেন বৃথাই জপিয়ে চলেছো তারে! উদাস্য উন্মন!
পাথর তোমাকে বলি। বিবাদ তোমাকে বলি। দৌড়ে দৌড়ে চলা দৌড়-বালক তোমাকে বলি। তোমাকে বলি নিষাদের মেঘ, বর্ষাজলি।
যবনিকা সেতো সময়গাত্রে অদৃশ্য স্মৃতির মুঠো মুঠো ধূলি...
জানালা ঠেলে অশান্ত আষাঢ় রাত। বাদলের বিভোল সঙ্গীত। সাগরবেলার বালুকানারীরা। উদরে মেঘের নাভী। উত্তাল ঢেউ-তোড়, দোলায় অনাঘ্রাত দেহাকার।
এটুকুই তো দাবি তবু, তাহার সেই জলেরই তরে বিশীর্ণ পত্রপত্রালির ঘ্রাণ-বিচলিত ঘুম- এপাশে ওপাশে বিরহী বালিশে মন যে কেমন করে! স্মৃতিকাতরতা। ভেসে ভেসে ওঠে। দুধশাদা তুলোঠাসা নাক। অন্তিম গমন। যাত্রা।
সুর। লোবান জলঘ্রাণ। বন্ধুদের কাঁধ, বাহুমূল অর্ণব আশ্রয়ে জোয়ার ভাসানো নদীজল। ছায়া ফেলে অন্যছায়ে পদ্মার জলে মহিমের অজস্র রাত্রির ঘুমহারা চাঁদ ...
সৃষ্টি আমার অপেক্ষামেঘ। প্রতীক্ষামেঘ।
অন্য একজন। তবু সৃষ্টি আমার শীত অপক্ষায় নিদ্রার বুকে ঘষে মুখ।
হায়! রাত আসে, কে এসে মোছে নিয়তির অব্যর্থ লিখন?
আর কত ক্ষয়? বুনোরিডে শব্দ আর ক্লেদ তুলে এনে তারানা মীড়- রক্তসলীলা। আসে যায় অস্থির মাকু তাঁতযন্ত্র গহন ভেতর জলে। ওষ্ঠ-অধর-জলা।
চিত্রিত প্রণব প্রহেলিকা। কুহেলিকা, আগুনবাঁধানো অক্ষিমুঠা। ছুটে মরে কোমল সা থেকে তীক্ষ্ণ সা- বর্ষভোগ্য শাপ- ধিং তা না না - কী দারুণ! শাহানা, আহা!
খুব হাসি পায়!
এবার কপালে তোর পরাজয় প্রভু! স্বর্গে নাই ইলশেমাছ ইলশেগুড়ি রোদ। চপলতা! ও মন। এবার যদি ভিয়ান করিস তয়।
এই রাত, রাতের শ্বাসাঘাত, সাহঙ্কার সূক্তিবাক্য চায়। বোধে। অবশেষ শাদা পাতা উড়ে যায়। পুড়ে যায়। জানে, অপেক্ষা অমল সরলতা নয়!
(বি: দ্র: কষ্ট করে পড়বার জন্য ধন্যবাদ।
আরেকটু কষ্ট করে যদি আপনার কাব্যজ্ঞান প্রসারিত করে আপনার উক্ত কবিতাদুটো নিয়ে মন্তব্য আমাকে জানবার সুযোগ দেন তা হলে কৃতার্থ বোধ করি। নিজের দুর্বলতাকে আমি সামনে তুলে ধরতে এবং চিনে নিতে পছন্দ করি। আপনার যেকোন মন্তব্য, ভালোলাগা, মন্দলাগা আমাকে অনুগ্রহপূর্বক জানতে দিন, দিলখুলে লিখুন, শুভকামনা হে আমার অনঙ্গ পাঠকেরা..)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।