খাওয়া:
গভীর ঘুমের সব থেকে বড় বাঁধা হলো বেশি খাওয়া। আপনার পেট যদি ব্যস্ত থাকে হজম করতে যখন আপনি ঘুমাচ্ছেন, তখন গভীর ঘুম আসবেনা এবং অল্পতেই জেগে উঠবেন। ঘুমের তিন ঘন্টা আগে ক্যাফিন যেমন কফি, কালো চা বা কোক পান করা ঘুমের ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। খিদের জন্য যদি ঘুমাতে না পারেন তাহলে গরম দুধ, জুজুবে ফলের চা বা লেবু চা খান। মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন।
আপনার শরীরে ছড়িয়ে পড়ার সময় তা ঘুমে বাধা দেবে।
তাড়াতাড়ি ঘুমান:
যদি আপনার অভ্যাস থাকে দেরীতে শুয়ে দেরী করে ওঠা তাহলে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অভ্যাস করুন। যদি টেলিভিশন দেখা আর ইন্টারনেটে সার্চ করার জন্য আপনি দেরী করে ঘুমান তাহলে পরের দিন দেরী করে উঠবেন আর আপনার শ্রান্তি স্থায়ী হবে। রাত ৮টার আগে খেয়ে ১১টার মধ্যে ঘুমানোর চেষ্টা করেন।
বেশী ঘুমাবেন না:
ছুটির দিনে বেশী ঘুমিয়ে সারা সপ্তাহের ক্লান্তি দূর করার চেষ্টা করলেও গভীর ঘুমে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়।
শারীরিক নিয়ম ভাঙলে রাতে ভালো ঘুম হয়না আর পরের দিন ক্লান্তি থাকে। প্রতিদিনের মত একই সময় উঠে ব্যায়াম করেন বা হাটেন। ঘাটতি ঘুমের জন্য ২০-৩০ মিনিট পরে শুয়ে নিতে পারেন।
ঘুম না এলে খুব বেশী চেষ্টা করবেন না:
বেশী চেষ্টা করলে বিপরীত ফল হয়। যতো বেশি আপনি ঘুমানোর চেষ্টা করবেন তত বেশী মাথা পরিষ্কার হবে।
তখন উঠে স্ট্রেচ করেন, বা বই পড়েন বা গান শোনেন। কিন্তু মনোযোগ দিয়ে কিছু করতে গেলে ঘুম নষ্ট হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে থাকলেও ঘুমাতে অসুবিধা হয় তাই ঘড়ি সরিয়ে রাখেন।
শোবার ঘরের সজ্জা পাল্টান:
ভালোভাবে ঘুমাতে না পারলে বালিশ বা কম্বল পাল্টান। বালিশ বেশি মোটা হলে তা আপনার রক্ত সঞ্চালনে বাধা দেয়।
হাল্কা আর নরম কম্বল ব্যবহার করেন। প্রায় সেগুলো রোদে দেবেন। পায়জামা যেন শক্ত না হয়। সুতির কাপড় ব্যবহার করবেন। ঘুমানোর আগে সুগন্ধি বা ল্যাম্প জালানো ভালো।
(সংগৃহীত) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।