ডুবোজ্বর
১১০৩০৯
নদীর পলাতকপথ পালিয়ে সরোবর বিবিধবিবর
ওখানে জল স্রোতহীন স্থির এবং মৃতসিঞ্চনঘোর
জলের শব ধরে আছে পূর্বজন্মের বিশদ কুহক
জল একদিন স্রোতস্বিনী প্রজাপতি ছিলো জাগরণ
ইদানীং সে আসে রেললাইন ধরে নিপাট নিঝুম
কখনো বা সপ্তশূন্যের ভুলপাবক ঈশ্বর আর ঈশ
ঈশ্বর তার ক্লেদাক্ত ডোবায় শুয়ে থাকেন অতীত
নিধান ও নৈর্ঋতের ত্বকে শস্যরূপ আকিঞ্চন স্থির
কখনো তার বসত নিভে গেলে জোছনার ক্লেদে
নিঃশব্দে রাতের ট্রেন এসে থামে পায়ের কাছে
পীতাভগন্ধের বিষাদে গোছানো উন্মন চেয়ার
চেয়ারে অশোক কারুকাজ নকশাবাড়ি দেড়খণ্ড
সে তাকে ডেকে চেয়ারে বসালে বিমল অবসাদ
সন্ধ্যারোদের থেকে মলিনতা নিয়ে চোখের ছল
আমি দুইশোবছর নৈঃশব্দ্যের নামে ধাবমান কীট
সমান্তরালপথে চুপিচাপ ট্রেন শুধু তারই ফেরে না
হরিতকীবনে পরিযায়ী অন্ধকার নামে হরিজন
অন্ধকারের দিগন্তে হারিয়ে গেলে পথের চিহ্ন
একটি গাছ চিরদিন চিরদিন উলম্ব অভিমান
তার পায়ের কাছে নিঃশব্দে থামে রাতের ট্রেন
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।