.......রৌদ্রজ্জ্বল কিংবা বৃষ্টিস্নাত যত অন্তর্কথা.......
এ বছর থেকে এই নতুন পদ্ধতিটা চালু হল.....হল না বলে হতে পারে বলাই ভালো। কারণ দেশের কতিপয় শিক্ষাবিদের(!)ধারণা এটা আমাদের দেশের জন্য ভালো না। কিনতু আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি,এই পদ্ধতিটা আসলেই ভালো। এর বিস্তারিত কিছু আলোচনা করা হল।
এটা এমন একটা পদ্ধতি,যা মানুষের চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়াবে।
নিজের মতামত স্পষ্ট করে জানানোর একটা সুযোগ রাখা হয়েছে এখানে। প্রথমত এটা স্ট্রাকচার নিয়ে আলোচনা করছি---
১। জ্ঞানমূলক:-এটা অনেকটা মুখস্ত বিদ্যার মত। বই এ যা থাকবে,তা থেকে সহজ কিছু বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন থাকবে,উত্তর দিতে হবে এক লাইনে। এর মান ১।
২। অনুধাবনমূলক:-এটা পুরোপুরি ব্রেনের ওপর নির্ভর করে। জ্ঞানমূলক থেকে কি শিখলাম ও বুঝলাম--তা এখানে একটু ব্যাখ্যা করতে হবে,মানে টিচারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। মান ২।
৩।
প্রয়োগমূলক:-জ্ঞান ও অনুধাবন থেকে কী শিখলাম,আর সেটা কিভাবে প্রয়োগ করা যায়,সে সম্পর্কে নিজের মতামত লিখতে হবে। পুরোপুরি নিজের মতামত প্রকাশের এমন সুযোগ কী আগের পদ্ধতিতে ছিল?মান ৩
৪। উচ্চতর চিন্তন দক্ষতা :-এর উত্তর দেয়াটা খুব একটা সহজ না। আগের তিনটা ধাপে যা যা শেখা হল,তা দিয়েই এটা করতে হবে + নিজের চিন্তা ভাবনাকে প্রসারিত করতে হবে। মূল থিম হবে কী শিখলাম,তা থেকে কি বুঝলাম,সেটা কিভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে এবং তা সম্পর্কে নিজের ব্যক্তিগত মতামত জানাতে হবে।
মান ৪।
এটা ধাপে ধাপে এগোচ্ছে,প্রথমে শেখা,তারপর বোঝা,তারপর প্রয়োগ এবং সব শেষে নিজের মত প্রকাশ ও চিন্তা শক্তি বাড়ানো।
(আগেই প্রথম-আলোতে প্রকাশিত)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।