আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আইন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কাজী আরিফুজ্জামানের কাণ্ড!



নির্দেশ মতো ফিতা আনতে না পারার তুচ্ছ একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে পিয়ন সাখাওয়াতউল্লাহকে বেধড়ক পেটালেন আইন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কাজী আরিফুজ্জামান। এক পর্যায়ে লাথি মেরে পিয়নকে মাটিতে ফেলে দিয়ে ব্যাপক মারধর করেন। আঘাতের পরিমান এতই বেশি ছিল যে, তাকে হাসপাতালে যেতে হয়েছে। বৃহস্পতিবার আইন মন্ত্রণালয়ে ঘটেছে এ ঘটনা। এ পরিস্থিতিতে আইন মন্ত্রণালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা একজোট হয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানান।

বেশ কিছুক্ষণ তারা কর্মবিরতি পালন করেন। মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষদর্শী কর্মচারী এমএলএসএস সাখাওয়াত উল্লাহ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ উপসচিব কাজী আরিফুজ্জামান (ড্রাফটিং) ডেকে পাঠান পিয়নকে। অন্য সেকশন থেকে ফাইলের ফিতা আনতে বলেন সাখাওয়াত উল্লাহকে। সাখাওয়াত উল্লাহ ওই শাখায় ফোন করে দিলে ফিতা পেতে সহজ হবে বলে মন্তব্য করেন । তিনি কেন এ মন্তব্য¬ রেগে গেলেন কাজী আরিফুজ্জামান।

লাফ দিয়ে পিয়নের সামনে এসেই থাপ্পড়-ঘুষি। এরপর লাথি মেরে সাখাওয়াত উল্লাহকে মেঝেতে ফেলে দেন। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন শাখার কর্মচারীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা দফতরের কাজ ফেলে মন্ত্রণালয়ের করিডোরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকরা ছুটে গেলে ক্যামেরা দেখে কর্মচারীদের বিক্ষোভের মাত্রা আরো বেড়ে যায়।

এক পর্যায়ে সিনিয়র কয়েকজন অফিসার এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। উপ সচিব কাজী আরিফুজ্জামান প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইবেন এই মর্মে মীমাংসার প্রস্তাব দিলে কর্মচারীরা তা নাকচ করে দেন। এরপর ক্ষুব্দ কর্মচারীদের নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে আইন মন্ত্রণালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী (ক্যাডার বহির্ভুত) এসোয়েশনের সভাপতি রুহুল আমিন এবং সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বিক্ষুব্দ কর্মচারীদের নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বৈঠক করেন। সিদ্ধান্ত হয়, তারা বিষয়টি লিখিতভাবে মন্ত্রণালয়ের সচিবকে জানাবেন। কিন্তু জরুরী কাজে মন্ত্রী-সচিব দফতরের বাইরে থাকায় বৃহস্পতিবার তারা অভিযোগ জানাতে পারেননি।

মারধরে আহত পিওন সাখাওয়াত উল্লাহকে প্রথমে সচিবালয় ক্লিনিকে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। তলপেটের ব্যথা গুরুতর হওয়ায় তাকে পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কাজী আরিফুজ্জামানের ষ্টেনোটাইপিস্ট এরশাদ সাংবাদিকদের জানান, দরজা বন্ধ করে তার সামনেই স্যার সাখাওয়াত উল্লাহকে মারধর করেছেন। আইনমন্ত্রী দফতরের কয়েকজন কর্মচারী জানান, পিয়নকে মারার পর হাতে ব্যথা পেয়ে আরিফুজ্জামান স্যার বরফ লাগানোর জন্য এসেছিলেন। উল্লেখ্য, এ বিষয়ে শুক্রবার বিবদিটন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ফলাও করে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

সংবাদটি পড়ে ভাবছি কি শিখছি আমরা এদের কাছ থেকে!!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।