সুন্দর সমর
গুলির শব্দ, প্রচন্ড শব্দ,
মাঝে মাঝে বিস্ফোরণের প্রবল আওয়াজ
সমস্ত ঘর কেঁপে উঠছে।
হাত পা নড়াতে পারছি না।
দেখতে পেলাম কিশোরী একটি মেয়েকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে
শিয়ালের দল যে ভাবে মুর্গি ধরে
সে ভাবে
একদল সামরিক উর্দিধারী ব্যক্তি তাদের মাথা লাল কাপড়ে বাঁধা।
চোখ মুখ ঢাকা রক্তিম কাপড়ে।
সিড়ি দিয়ে নামলাম কাঁপতে কাঁপতে।
সামনে সুয়্যারেজের বিশাল ড্রেন
গল গল করে রক্ত বের হয়ে আসছে
সে সাথে সামরিক পোশাক পরা লাশের বহর।
হৃৎপিন্ড থেমে গেছে,
দেহে বেয়নেটের নির্যাতন
গুলির উগ্র দাগ
কিন্তু কারো কারো হাতে ঘড়ি তখনে চলছে!
একের পর এক।
এক দুই তিন পাঁচ দশ পনর না গুনতে পারছি না।
ভয় আতংক।
গলা শুকিয়ে গেছে।
আশে পাশের প্রতিটি মানুষ কাঁপছে।
কাঁদছে।
বিলাপ করছে।
চিৎকার আর চেচামেচির এই দোজখের মধ্যে বসে থেকে
চোখ খুললাম।
অম্নি দু:স্বপ্নের কঠোর পীড়ন থেকে মুক্তি পেলাম।
ঘামে ভেজা শরীর নিয়ে বসে আছি।
আমি একা নই
বাংলাদেশের
আরো অনেক নারী পুরুষের রাত আজ এভাবেই যায়!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।