জীবনটা যেন এক বর্ণীল প্রজাপতি
"স্মৃতির পাতা থেকে..... ১"
"হিজলের তাল বুনো ঘাস লতার ঝোপে,
কাশ বন, বাঁশ ঝার ভরা ভাদরের নদী কূ্লে
ফেলে এসেছি শৈশব আনমনে কোন এক কালে
হারিয়ে ফেলেছি গোধূলি লগ্ন মঙ্গল ধূপে।
রাত জাগা চোখে, জোনাকির আলো, কদমের ঘ্রাণ,
সবকিছু পলাতক সময়ের স্রোতে, পথ ভোলা
যাযাবর আমি খুঁজে ফিরি জোয়ারে ভাসানো ভেলা
দু'পথে জড়াতে চাই ভোরের সোনা মাখা উঠোন।
ফিরে পাব কি শিশির ভেজা সোনালী দিন?"
হরেক রকম রং দিয়ে গড়া ছেলেবেলার স্মৃতি মনের পটে ভেসে উঠে মাঝে মাঝেই।
মনে পরে অনেক কিছুই। টুকরো টুকরো স্মৃতি কোথা থেকে শুরু, কোথায় তার শেষ!
আমার শৈশবের শুরু গ্রামের বাড়িতে।
তখন আমরা দাদার বাড়ী থাকতাম। বাবা তখন চাকুরী সুত্রে থাকেন সাভারে। আর, বাবার চাকরিসূত্রে এম্নিতেও বাকি বছরগুলোও, আমার স্কুল জীবনের অনেকটা সময়, বেশিরভাগই কেটেছে মফস্বল শহরেই। জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবালের রচিত গল্প নাকি সিনেমা, "দিপু নাম্বার টু" এর দিপুর মতন আমার জীবনটাও।
দাদার বাড়ীর ওই সময়ের স্মৃতি মনে পরেনা কিছুই।
যা কিছু জানা, তা মায়ের মুখ থেকেই। আমার ছোট ফুপু আমাকে কোলে নিয়ে সারাদিন পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বেড়াতেন। নইলে আমি ঘরে মাকে খুব বিরক্ত করতাম। কাজ করতে মায়ের অসুবিধা হত।
ছোট বেলায় আমি খুব নানুবাড়ির পাগল ছিলাম।
যখনই নানু বাড়ীতে বেড়াতে যেতাম , বেড়ান শেষ হলে আর নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে চাইতাম না। এই নিয়ে বাবার খুব রাগ ছিল।
স্কু্লে ভর্তি হওয়ার আগে আমি অনেক দিন নানু বাড়িতেই ছিলাম। স্কুলের পরার প্রথম পাঠ আমার নেওয়া হয় আমার খালামনিদের হাতেই। আমার মায়ের বোনরা অর্থাৎ আমার খালামনিরাও ছোট ছোট, ওনারা পড়তে বসতো।
আমিও বসে যেতাম তাদের সাথে।
আর ছোট বেলা থেকেই আমি বইয়ের পাগল ছিলাম। কোথাও কয়েকদিনের জন্য বেড়াতে গেলেও আমি আর আমার ভাই দু'জনেই আমাদের স্কু্লের বইগুলোও ব্যাগে ভরে নিতাম সব।
আবার কোথাও বেড়াতে গেলেও আমার ঝোঁক ছিল, ওই বাসার বুক শেলফের দিকে। কোথাও নতুন গেলেও গল্পের বইয়ের দেখা পেলেই হল, আমি কোনভাবে ওই বই চেয়ে নিয়ে আসতাম।
মার্কেটে গেলেও একই অবস্থা। অন্য কিছু কেনার পাশাপাশি গল্পের বই আমার কিনতেই হবে। মায়ের সাথে গেলে মা অবশ্য কিনে দিতেন। কিন্তু, বাবা এতটা প্রশ্রয় দিতে চাইতেন না। গল্পের বই পড়তে দেখলেই খালি ক্লাসের পড়া পড়তে বস্তে মনে করিয়ে দিতেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।