আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কেন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের উদ্ভোধনী অনুষ্টান হওয়া উচিত না?

একজন ইউনুস খান বেঁচে থাকতে চান গণ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং উদ্যেগ গ্রহণের মাঝে।

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম ক্রিকেটের অনেক ইতিহাসের সাক্ষী। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের ফলে রাজনৈতিক বিবেচনায়ই হোক বা অন্য কোন কারনেই হোক বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম থেকে ক্রিকেটকে সরিয়ে দিয়ে সেখানে ফুটবল এবং এ্যাথল্যাটিক্সের জন্য বরাদ্ধ করা হয়। আগামী ক্রিকেট বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামকে ক্রিকেটে ফিরিয়ে আনতে। কিন্তু কেন? কি মানদন্ডের বিবেচনায় সরকার অবিবেচকদের মতো এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে? কারন হলো এই স্টেডিয়ামটির নামের সাথে যুক্ত আছে বঙ্গবন্ধুর নামটি।

বাংলাদেশ ক্রিড়াঙ্গনে সবচেয়ে শক্তিশালী এবং টাকার দিকে দিয়ে সবচেয়ে বড় হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ক্রিকেট বোর্ডের দাপটে অন্য কোন বোর্ড তাদের ধারে কাছেও ঘেষতে পারেনা। কিন্তু তার মাঝেও ভালো দিক আছে যে ক্রিকের বোর্ডের কিছু টাকা ক্রীড়াঙ্গনে অন্যান্য খেলাধুলার পিছনেও খরচ করা হয়। অন্য দিকে অত্যান্ত আদি এবং একসময়কার সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হলো ফুটবল। একমাত্র ফুটবলই একমাত্র খেলা যার জনপ্রিয়তা সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশী।

কিন্তু বিভিন্ন সময়ে বৈরি পরিবেশে এবং ফুটবলের হর্তা-কর্তাদের দুর্ণীতিতে আজ ফুটবল প্রায় মৃত। কিন্তু একসময়কার মাঠ কাপানো ফুটবলার সালাউদ্দিন নেতৃত্বে আসার পর থেকে আমরা দেখছি ফুটবল ধীরে ধীরে তার প্রাণ পাচ্ছে। এরই মাঝে ঘোষণা হয়েছে কোটি টাকার সুপার কাপের কথা। খেলোয়ারদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা, অনুশীলনের ব্যবস্থা, বিদেশী দলের সাথে বেশী বেশী ম্যাচ খেলা ইত্যাদির উপর এই প্রশাসন খুবই জোড় দিয়েছে। মাঠের পরিস্থিতি বলতে গেলে বলতে হয় যারা এই খেলার খোঁজ খবর রাখে তারা হয়তো ইতিমধ্যে জেনে থাকবেন এইবার স্টাইকার প্রচুর গোলও পেয়েছে।

স্পন্সররাও ফুটবলের দিকে ব্যপক ভাবে হাত বাড়িয়েছে। ফলে ফুটবল সংশ্লিষ্টরা এবং ফুটবল অনুরাগীরা আশাবাদি ফুটবল আবার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন সবার আগে মাঠ। আমরা সবাই জানি আন্তজার্তিক ভাবে ম্যাচ চালানোর একমাত্র ফুটবল মাঠ একটাই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। ফলে এখন যদি এই স্টেডিয়ামকে ক্রিকেটের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে সেটা বিরাট আত্নগাতী সিদ্ধান্তই হবে।

অন্যদিকে এ্যাথলেটিক্স থেকে শুরু করে আরো কিছু খেলাও এখন এই স্টেডিয়ামে নিয়ে আসা হয়েছে। দৌড়ানোর জন্য করা হয়েছে কয়েক কোটি টাকার ট্রাক। আরো কিছু খেলার জন্য করা হয়েছে আরো অনেক কিছু। ফলে বিশ্বাকাপ উদ্ভোধনী অনুষ্টানের জন্য সার্বিক ভাবে মাঠ তৈরি করতে লাগবে আরো সময়। কেননা ফুটবল এবং ক্রিকেটের মাঠের জন্য দরকার আলাদা আলাদা মাটি।

দরকার স্টেডিয়ামের বিশাল সংস্কার। অথচ ক্রিকেটের জন্য ঢাকায় আধুনিক সুযোগ সুবিধা সমৃদ্ধ শেরেবাংলা স্টেডিয়াম রয়েছে। ফলে এখানে অল্পবিস্তর যাই লাগুক সংস্কার করলে সেটা ফুটবল এবং ক্রিকেট উভয়ের জন্যই ভালো হবে। ফুটবলকে ছাড়তে হবেনা তাদের মাঠ। ক্রিকেটের মাঠটিও হবে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

এইদিকে আবার ক্রিকেটের কর্তাব্যাক্তিরাও যেভাবে লেগেছে সরকারের সাথে তাতে অনেকের মনেই সন্দেহ হচ্ছে যে, তারা কি আবার এই মাঠটি ক্রিকেটের জন্য দখল করতে চাচ্ছে কিনা?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।