ভালো আছি “ধ্বংসস্তুপে উদ্ধারকাজে ঘাম ঝরিয়ে যাচ্ছে গণজাগরণ মঞ্চের স্বেচ্ছাসেবক, হেফাজতে ইসলামের স্বেচ্ছাসেবক, রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক, সেনাবাহিনী এবং উদ্ধারকর্মীরা।
হঠাৎ করে হেফাজতে ইসলামের একজন স্বেচ্ছাসেবক অসুস্থ হয়ে পড়লেন । গণজাগরণ মঞ্চের একজন চিকিৎসক তাকে অক্সিজেন দিলেন, স্যালাইন দিলেন । উনার পাঞ্জাবি ঘামে ভিজে গেছে, তাই তাকে পরিষ্কার একটি গেঞ্জি দিল গণজাগরণ মঞ্চের স্বেচ্ছাসেবক । এই গেঞ্জি পাঠিয়েছেন ইরেশ ভাই- তার বুকের উপর লেখা- 'শাহবাগ প্রতিবাদ', পিঠে একাত্তরের মুক্তযুদ্ধকালীন পোস্টার ।
শাহবাগের পোশাক পরতে তার বাঁধেনি, কারণ শাহবাগের এই মানবতাবাদী কবিদের চিনেছে তারা। এরাই সত্যিকারের মানুষ । ”
ঘটনা সত্য । ঘটনা ঘটেছে পরশু রাত দুইটায় । আমার বন্ধু মশিউর রহমান সাব্বির গতকাল তার স্ট্যাটাসে এই তথ্য শেয়ার করেছে ।
আমি তাকে কমেন্ট করেছিলাম, হেফাজতের ভাইদেরকেও তার মানুষ মনে হয়েছে কি না । সে জবাব দিলো ‘এরাই’ শব্দের মধ্যে হেফাজতকেও ইনক্লুড করা হয়েছে....
তাহলে যদি এইবার আমি হেফাজত ও শাহবাগের একসাথে কর্মসূচী চাই, সেটা কি পাগলের প্রলাপ হয়ে যাবে ?
শাহবাগরে হেফাজত চট্টগ্রাম যাইতে দেয় নাই, শাহবাগও হেফাজতের লংমার্চে বাগড়া দিছে । হেফাজত ইমরানের লগে সংলাপে রাজি হয়নাই, ইমরানও হেফাজতের রক্তে গোসল করতে চাইছে- এই তেনা প্যাচানি এখন বাদ দেন । তারা নিজেরাই এইটা ভুইলা গেছে । সো আমাদের ভুলতে সমস্যা কোথায় !
শাহবাগ স্পষ্ট বলছে, তারা কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে নামে নাই, ধর্মকে শ্রদ্ধা করে ।
আপত্তিকর ব্লগারদের তেমন কেউই এখন শাহবাগের নেতৃত্বে নাই । জামায়াতরে নিয়া তাদের ঝামেলা আছে । সেটা হেফাজতের মোটেও কম না । সো হেফাজতের ১৩ দফায় তাদের এলার্জি থাকার কথা না ।
হেফাজত পরিষ্কার করছে, জামায়াতের সহযোগী না কয়া গুলি খাইয়া মইরা যাওয়া তাদের জন্য ভালো ।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়া তাদের কোনো চুলকানি নাই । হাটহাজারি ৭১- এ মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প ছিলো । যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তারাও প্রাণপণে কামনা করে । সো শাহবাগের দাবি দাওয়া যোগ করে তাদের দফা আরো কয়েকটা বাড়ায়া নিলে অসুবিধা কি !
প্রয়োজনে তারা নিজেদের মধ্যে আরো আলাপ আলোচনা কইরা নিক । শাপলা চত্বর আর শাহবাগের মাঝখানে কাকরাইলের ভিআইপি রোডে বইসাই করুক…নইলে দুদকের অফিসের বারান্দায়…নইলে শেরাটন-সোনারগাঁওতেই করুক না, সমস্যা কি ? টাকা তো আমগো জনগণেরই…আর না হয় রানার ধ্বংসস্তুপের উপরে বইসাই সেটা সাইরা ফালাক..নইলে যা মন চায় করুক…নইলে মরুক…
সন্দেহ নেই শাহবাগ এদেশের তরুণদের একপ্লাটফর্মে দাঁড় করাইছে ।
বিরাট জাগরণের সূচনা করছে । হেফাজতও কম খেলা দেখায় নাই । ধর্মীয় চেতনার বিশাল জনতা নিয়া সারা বংলাদেশকে একটা ঝাঁকুনি দিছে ।
তো.....সো....কিউরিয়াস মাইন্ডেড আই ওয়ান্ট টু নো- সমস্যা কোথায় ?
আর কতকাল আমরা ওই দুই বুড়ির পশ্চাদদেশের আন্দোলন দেখমু....কতকাল আর দুর্ণীতিতে চ্যাম্পিয়ন হমু....
রসাতলে যাওয়া দেশটাকে উদ্ধার করার এইটাই কি উপযুক্ত সময় নয় ? সাভারে উদ্ধারকাজের অভিজ্ঞতার ছিটোফোঁটাও কি দেশ উদ্ধারের কাজে লাগবে না ? আরো আবেগী ভাষায় কী কী কইতে হয়, আমি ঠিক গুছায়া কইতে পারতাছি না…আমার চোখ ভিজা যাইতেছে…
শুধু স্বপ্ন দেখতেছি, যদি শাহবাগ-হেফাজত এক হয়...এক হয়....এক হয়ে গেছে....কে কয় কাশ্মীর পৃথিবীর ভূস্বর্গ....বাংলাদেশে কি বেহেশতের হিমেল বাতাস বইছে না ! আমি কি রাস্তায় রাস্তায়, লাখো মানুষের কোলাহলে, শাহবাগে কিংবা মতিঝিলে সুখের চিৎকারে গলা ফাটায়া শহীদ হইতে পারমু না !
শাহীনা..শাহীনা..বলো, তোমার আত্মা আজ আর কি বলে আমাদের ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।