আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্যান বা পোস্ট ফ্লাডিং বা ঝগড়া বিবাধ বা দোষারোপ করলে কোন লাভ নাই, প্রয়োজন সমাধান - ২

একজন ইউনুস খান বেঁচে থাকতে চান গণ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং উদ্যেগ গ্রহণের মাঝে।

আগেরটুকু সহ দিলাম যখন ব্লগার থাকবে তখনি একটি ব্লগ বেড়ে উঠার অক্সিজেন পাবে। যখন ব্লগ থাকবে তখন ব্লগাররা অনেক কিছুই লিখবে। সবসময় যে তা সৃষ্টিশীল, মননশীল বা ঘটনমূলক হবে তাও নিশ্চিত করা বলা যাবেনা, যায়না। কিন্তু এটা সত্যি যে ব্লগাররা সৃষ্টিশীল, ঘটনমূলক অনেক কিছু লিখতে পারে।

সেই সাথে গর্বিত করতে পারে ব্লগ অথরিটিকে। ঠিক তেমনি পারে নিজেরাও গর্বিত হতে। আমি ব্যাক্তিগতভাবে শুধু মাত্র সামহোয়ারইনেই লিখি। কারন প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়েগিয়েছিলাম। আবার অন্যান্য ব্লগে লিখার মতো এতো সময়ও পাইনা।

আমার মতো হয়তো অনেকেই। সামহোয়ারইনের কথায় আসি। আমি যতদূর জানি সামহোয়ারইন ব্লগটি গড়ে তুলতে যথেষ্ট শ্রম দিতে হয়েছে। হাঁটি হাঁটি পা পা থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত এই ব্লগটি গড়ে তুলতে যত টাকা ব্যায় হয়েছে বলে আমি জানি তা শুনলে হয়তো অনেকেরই চোখ কপালে উঠবে। কিন্তু কিসের আশায় এতো এতো টাকা এই ব্লগটির পিছনে করা হয়েছে? হয়তোবা বিজনেসের আশায় (এখন পর্যন্ত কি বিজনেস হয়েছে আমি জানিনা)।

আমরা সবাই অবগত আছি যে এই ব্লগে কোন গুগল এ্যাডসেন্সের ব্যাপারও নাই যে হিট বা ক্লিকে পয়সা কামাই হবে। আরেকটা ব্যাপার হতে পারে সেটা হলো ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার উদ্দেশ্যে। সেটা হয়তো অনেকটা সফলও। সবাই এক বাক্যে হয়তো স্বীকার করবেন যে সামহোয়ারইন ব্লগই বাংলা ব্লগের পথিকৃত। বাংলা ব্লগ হিসাবে সামহোয়ারইনের গর্ব করার মতো অনেক ব্যাপার আছে।

এই যেমন বিভিন্ন তথ্য মিডিয়াতে আসার আগেই ব্লগাররা জানতে পারে। আমি উদাহরণ হিসাবে উল্লেখ করতে পারি ১৭ই আগস্টের সিরিজ হামলার কথা। বলতে পারি মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মতো বেশ কয়েকটি ঘটনা। বলতে পারি জাবির নারী নির্যাতন কারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে একাত্ন হওয়ার কথা। বলতে পারি রাহেলাদের মতো খুনীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর কথা।

যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে অনলাইন কমুনিউটিতে জনমত গড়ে তোলা। এরকম অনেক অর্জনই আছে এই ব্লগের। বেশ কিছুদিন যাবৎ ব্লগে নিয়মিত না। একটাই কারন কাজের ব্যস্থতা। প্রতিদিন প্রায় বিশ ঘন্টা কাজ করতে হয়।

সময়ে অসময়ে তাই অফলাইন থেকেই ব্লগে ঢুকা হয়। অন্য সবার মতো আমিও দেখেছি ব্লগ উত্তপ্ত বাবুয়া ইস্যুতে। ব্লগার বাবুয়া সম্পর্কে আমি প্রথমে তেমন কিছুই জানতামনা। তবে প্রায় সময় উনার ব্লগে বিভিন্ন জনের মন্তব্য পড়ে বুঝেছিলাম উনি জীবন আর মরণের সাথে অনেক যুদ্ধ করেছিলো বা এখনো করছে। ফলে পরিবর্তিতে উনার কোন পোস্টে মন্তব্য করলে উনার শরীর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতাম।

হঠাৎ করে ব্লগার হাসিবের পোস্ট টি চোখে পড়লো। জানতে পারলাম উনার কীর্তির কথা। ঐ দিন বই মেলাতে যেতে না পারায় দুঃখ পেয়েছিলাম যা আমি পোস্ট দিয়ে বলেছিলাম। তাই আমি বাবুয়ার কথা সত্য মিথ্যা কিছুই জানতে পারিনি। তাছাড়া বাবুয়া একটা কমেন্ট করেই উনার ক্ষোভ জানিয়েছিলো, কিন্তু ঘটনার বিস্তারিত বলেনি বা কেউ নিজ নিকে এসে বাবুয়ার পক্ষে এসে সাফাইও গায়নি।

ফলে ব্লগারদের আন্দোলনের মুখে বাবুয়ার ব্লগটি বাতিল ঘোষনা করা হয়। যা আমিও আর দশজনের মতো করে বলতে পারি যে কতৃপক্ষ এইভাবে ব্লগটি বাতিল না করে উনাকে উনার বক্তব্য দেওয়ারও সুযোগও দিতে পারত, উনার ব্লগের ব্যাকআপ নেওয়ার সুযোগও দিতে পারতো। যেহেতু ব্লগের ডাটাবেজে বাবুয়ার ইমেইল এ্যাড্রেস ছিলো। বাবুয়ার ব্যানের পরে কেউ কেউ যারা বাবুয়ার অসুস্থতার সময় বা অন্যান্য সময়ে তার প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলো তাদেরও একহাত নিয়েছে। যা মোটেও সমুচিত হয়নি।

কারন যদি আমরা কারো দুঃখের কথা জানতে পারি তাহলে আমরা তার প্রতি সহানুভূতিশীল হবো সেটাই স্বাভাবিক। সেই সময়ের কারো ভূমিকা নিয়ে তাই প্রশ্ন তুলে নিজেদের মাঝে বিভেদ বাড়ানো মোটেও ঠিক না। সামহোয়ারইন ব্লগের খুব পুরাতন ব্লগার হাসিব এবং আমার মনে হয় সবচেয়ে বেশী সময় লগইন থাকা ইউজার। এটিমের সৃষ্টিকর্তাদের প্রথম সাড়িতে তার নাম নিশ্চয় থাকবে। হাসিবের সাথে আমার ব্যাক্তিগত সংঘাত আছে।

কারন আরো দশজনের অভিযোগের মতো আমারও অভিযোগ কোন কিছু না বুঝেই একজনকে রাজাকার, শিবির বলে গালি দেওয়া, এটিম নিয়ে ঝাপিয়ে পড়া। ব্লগ আড্ডার একটা পোস্টের পর হাসিব আমার পিছনে লাগে, তার ব্লগে ব্যান করে এবং আমার মনে হয় ব্লগে আমার ইমেজ ক্ষুন্ন করে হাসিব তথা এটিম। তারপরও আমি হাসিবকে একেবারে মন থেকে ঘৃণা করতে পারিনা। পারিনা যখন ব্লগের পুরাতন পোস্টগুলো ঘাটি তখন হাসিবের ভূমিকা দেখে। একুশ শতকের শুরুতে সারা বিশ্বের মতো করে আমাদের দেশেও খুব ধীরগতিতে হলেও আইটিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

সেটারই ধারাবাহিকতায় দেশবিরোধীরা এখন ভার্চুয়ালীও দেশের বিরুদ্ধে প্রোপাগন্ডা, দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকে ভুলুন্ঠিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। সামহোয়ারইন ব্লগও তার ব্যাতিক্রম নয়। হাসিবের ব্যানারের কথাটাই আবার বলছি "কর্তৃত্বপরায়ণ মনোবৃত্তি নিয়ে মানুষের মুখ বন্ধ করা যাবে না। মানুষ শেষ পর্যন্ত তার বলাটা বলবেই। " আজকে আমার মতো অনেকেই আছে যারা হাসিব এবং এটিমের প্রতি বিরক্ত সেটার মনে হয় বড় কারন ভুল বুঝাবুঝি এবং গালাগালি।

সেই প্রেক্ষিতে অনেকসময় ব্লগে ব্যানও চলে যা অনেক সময় এটিমের তকমাদারী কোন সদস্যের বিরুদ্ধে যায়। তখন চলে পোস্ট ফ্লাডিং। কর্তৃপক্ষও তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে এই জন্য যে তাদের নীতিমালায় গালাগালি নিষিদ্ধ। এই ধারাটা নিয়ে সুশীল সুবিধাভোগীরাও বিভিন্ন ভাবে কর্তৃপক্ষের উপর চাপ সৃস্টি করে এবং ধীরে ধীরে তাদের অবস্থান সুসংহত করে। কিন্তু যদি আমরা এটা না করে যখন দেখতাম কেউ একজন স্বাধীনতা, সারভৌমত্বের বিরুদ্ধে বাজে পোস্ট দিসে তাহলে আমরা কোন সমস্যা বাটনে ক্লিক করে যদি ঐ ব্লগারের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জানাতাম তাহলে মনে হয় আমাদের কাজটা অনেক সহজ হয়ে যেতো।

সেই ক্ষেত্রে আমি বলবো যে সামহোয়ারইনও আমাদের পাশে থাকবে। এবং সুশীলরাও দল বিভক্তির সুযোগ পাবেনা। আজকে যখন আমি দেখি বাবুয়া, হাসিব ইস্যুতে ব্লগ বিভক্ত হয়ে যায়। ব্লগে চলে ব্যানব্যানানি খেলা। তখন অন্য সবার মতো করে আমিও শংকিত হয়ে যায়।

শংকিত হয়ে যায় যখন অনেক শক্তিশালী ব্লগারদেরও দেখি ব্লগে চা নাস্তার বিবরন দিতে। যখন দেখি কেউ একজন বা অনেককেই যাদেরকে আমি এবং আমরা প্রথম সাড়ির ব্লগার মনে করি তারা ঠাট্টাচ্ছলে বিভিন্ন ইস্যুতে ঘি ঢেলে দেয় ইচ্ছাকৃতভাবেই বা অনিচ্ছাকৃতভাবেই। যায় হোক সামহোয়ারইনের কোন চিন্তাই নায়। ব্লগার আসবে যাবে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ জানেন কি ধীরে ধীরে জমে তোলা ভালোবাসা যখন কেউ কেড়ে নিয়ে যায় তার কষ্টটা কতটুকু? যখন কেউ লিখতে লিখতে নিজের লিখনীকে অন্যমাত্রায় নিয়ে যায় তখন তার ভক্তদের কি অনুভূতি হয়? ব্লগাদেরও বলবো সংযম ধারন করুন।

কতৃপক্ষের কথা মতো কোন সমস্যাতে যে কোন সমস্যা জানায়। দেখি কতৃপক্ষও কি করে? কেননা আমাদের সবারই ইচ্ছা সামহোয়ারইনে থাকা এবং লিখা। ফলে সবাইকে এই চেষ্টাটাও করা উচিৎ যে সামহোয়ারইনকে আমরা বাংলা ব্লগের আইডল বানাবো। পরিশেষে আমি একটা কথায় বলবো আসুন আমরা সবাই আমাদের ভুলত্রুটিগুলো ধরে নিজেরা শুধরায়, অন্যদেরকে ক্ষমা করি। যারা রাগ অভিমানে পরিবেশের জন্য চলে গিয়েছে সবাইকে ফিরিয়ে আনুন।

সবার স্ট্যাটাস ফিরিয়ে দিন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.