আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বরই : বসন্তের ফল

পথে নেমেছি; পথই আমায় পথ দেখাবে।
ফাল্গুনের ফল বরই হলেও জলবায়ু পরিবর্তন এবং উন্নত জাত উদ্ভাবনের জন্য মাঘ মাস থেকে পাওয়া যায়। বরই অনেক আগে অবহেলিত ফল ছিল। এখন বাউকুল, আপেলকুল, নারিকেলীকুল, কুমিল্লাকুল, সাতক্ষীরাকুল, রাজশাহীকুল, ঢাকা-৯০, তাইওয়ানকুল, বারিকুল ১ ও বারিকুল ২ আবাদ করা হয়। এছাড়াও গোলা, সাদুরা, সফেদা, কাইখলী, সনর ৫, রেশমী, মুড়ারা, উমরান, পান্ডা, কাথা, এলাচীকুল, বানারসী, কারাকা, নরমা, মুরিয়া, নাগপুরী, বর্ণলেস, মেহেরুন, দুধিয়াসহ ১২৫ জাতের বরইয়ের সন্ধান পাওয়া গেছে।

আগে বরই চাষ বা আবাদ করত না। এখন বরই চাষ করে লাখপতি হচ্ছে অনেকেই। বেকারত্ব ও দারিদ্র্য দূর করতে পেরেছে। কারণ উন্নতজাতের বরইয়ের চারা রোপণের ১০ মাসে প্রতিটি গাছে বাউকুল ৪০-৪৫ কেজি ধরে। বাজারে চাহিদাও খুব বেশি।

বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে চার হাজার হেক্টর জমিতে বরই চাষ হয় এবং প্রায় ১৫ হাজার টন উৎপাদন হয়। বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। বরই চাষে বাংলাদেশে বিপ্লব ঘটেছে। বরইয়ে আছে প্রচুর পুষ্টি। এতে প্রচুর খনিজ পদার্থ আছে।

যেমন- পাকা কলা, পাকা পেঁপে, আনারস, পেয়ারা, লিচু, কমলা, ডাবের পানি, তরমুজ, বাঙ্গি, বেল, আমড়া, জলপাই, কামরাঙ্গা ও আমলকির চেয়ে বরইয়ে খনিজ পদার্থ বেশি। আয়রনের পরিমাণ অধিকাংশ ফলের চেয়ে বেশি। ভিটামিন 'সি'-এর পরিমাণ অধিকাংশ ফলের চেয়ে বেশি। খাদ্যশক্তির পরিমাণ পাকাকলা, নারিকেল ও খেজুর ছাড়া সব ফলের চেয়ে বেশি। আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

বরই মুখের রুচি বৃদ্ধি করে। প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যোপযোগী বরইয়ে পুষ্টি উপাদান থাকে- মোট খনিজ পদার্থ ১ গ্রাম, আমিষ ২.৯ গ্রাম, শর্করা ২৩.৮ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১১ মিলিগ্রাম, আয়রন ১.৮ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-১ ০.০২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-২ ০.০৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৫১ মিলিগ্রাম ও খাদ্যশক্তি ১০৪ কিলোক্যালরি।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।