সেতুটির আয়ুষ্কাল ধরা হয়েছে ১০০ বছর। দরপত্র অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুসংলগ্ন ১ হাজার ২০০ মিটার নদী শাসনের জন্য উত্তোলন করেছে ৪ কোটি ৮২ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। বাস্তবে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। নদী শাসনের নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনকবলিত এলাকায় বাঁশের পাইলিং দিয়ে তৈরি করেছে ১৬টি স্পার্ক। ফলে এলজিইডির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এ সেতু নির্মাণ শেষের আগেই পড়েছে ঝুঁকিতে।
প্রবল বর্ষা এবং বন্যায় সেতু এলাকা ভাঙনমুক্ত থাকবে কি না, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
জানা গেছে, সেতুর নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে হলেও এলজিইডি তৈরি করেনি এর নকশা। জানা গেছে, ২০১১ সালের ৩১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ সময় এলজিইডি সেতুর নকশা হিসেবে বুড়িগঙ্গার ওপর নির্মিত বসিলা সেতুকে ব্যবহার করে প্রতারণার আশ্রয় নেয়। অন্যদিকে নদী শাসনে বড় অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ থাকলেও স্পার, চ্যানেল কাটিং ও ব্লক নির্মাণের খবর নেই।
গফরগাঁওয়ের সালটিয়া-হাজিপুর-দেওয়ানগঞ্জ বাজার সড়কের পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের ওপর নির্মাণাধীন ৮১০ মিটার দীর্ঘ সেতু এলজিইডির সবচেয়ে বড় সেতু প্রকল্প। গত জুনে সংযোগ সড়ক, নদী শাসন, লাইটিং এবং বিদ্যুতায়নের কাজসহ সেতুটি নির্মিত হয়েছে দেখিয়ে সমুদয় (৭২ কোটি) টাকা উত্তোলন করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া সেতু নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতিসহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চুক্তিবহির্ভূত ৬ কোটি টাকার বিল দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেতু এলাকায় লাইটিং ও বিদ্যুতায়নের জন্য ৬৩ লাখ টাকা বিল উত্তোলন করলেও এ কাজ শুরুই হয়নি। অসমাপ্ত রয়েছে সেতুর ফুটপাত নির্মাণকাজও।
দরপত্র অনুযায়ী সেতু সংযোগ সড়কে ১৯ লাখ ৪১ হাজার টাকা ব্যয়ে বঙ্ কালভার্ট নির্মাণের কথা থাকলেও তা না করেই টাকা উত্তোলন করা হয়। পরে এলজিইডি আলাদা টেন্ডার আহ্বান করে অন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে কালভার্ট নির্মাণ করায়। এলজিইডি ময়মনসিংহ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রেজাউল বারী প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এত অল্প সময় এত বড় সেতু নির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত ছিল না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।