অপেক্ষায় কাদের মোল্লাসহ 'যুদ্ধাপরাধীদের' ফাঁসি এবং জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার দাবিতে গণজাগরণে ভীত ও চিন্তিত হয়ে পড়েছে জামায়াত। দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, জামায়াতের নেতা-কর্মীরা তরুণ প্রজন্মের এ আন্দোলনে অনেকটা ঘাবড়ে গেছে। এ কারণে সারা দেশে রাজপথে জামায়াত-শিবিরের সহিংসতাও অনেকটা বন্ধ হয়েছে।
তবে দলীয় কর্মীদের মনোবল যাতে ভেঙে না পড়ে, সে জন্য জামায়াত নেতারা আগের মতোই সাহসের সুরে কথা বলার কৌশল নিয়েছেন। কৌশলের অংশ হিসেবে আজ শনিবার ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশে শো-ডাউনের ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিলো জামায়াত।
কিন্তু গত রাতে পুলিশের অনুমতি না পাওয়ার কথা বলে হঠাৎ করে বিএনপি এই সমাবেশ স্থগিতের ঘোষণা দেওয়ায় জামায়াতের এই কৌশল ভেস্তে যায়। গতকাল শুক্রবার জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি ও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার দাবিতে তরুণ প্রজন্মের আন্দোলন নিয়ে সরাসরি কথা বলতে রাজি হননি বেশির ভাগ জামায়াত নেতা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নেতা বলেন, 'আমরা শুনেছি, আমাদের প্রতিষ্ঠান বর্জনের জন্য শাহবাগের সমাবেশ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু যাঁরা এ ধরনের আহ্বান করছেন, তাঁরা তো কোনো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নন।
তা ছাড়া যে কেউ তাঁর মতামত প্রকাশ করতে পারেন। ' ওই নেতা আরো বলেন, এসব কথা সরকার তাদের সমর্থিত লোকদের দিয়ে বলিয়ে থাকতে পারে।
ঢাকা মহানগর জামায়াতের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জামায়াত একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। জামায়াত কারো জন্য হুমকি নয় আর কেউ জামায়াতের জন্য হুমকি নয়। তিনি বলেন, শাহবাগের এ বিশাল গণজমায়েতের পেছনে সরকার সমর্থক বাম দলগুলো ইন্ধন দিচ্ছে, যা সরকারের সমর্থনেরই নামান্তর।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ এমপি বলেন, 'সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে শতভাগ নিরপেক্ষ ও স্বাধীন আখ্যা দিলেও তারাই আবার ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে ঘাদানিককে উসকে দিয়ে দেশে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। তারা কথিত আন্দোলনের নামে শাহবাগে নিজেদের ঘরানার লোকজনকে একত্রিত করেছে। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা একাত্মতা ঘোষণার জন্য সেখানে যাচ্ছেন। ' ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।