আমি কইলাম মরিনাই; বুকের আগুনও নেভে নাই, কসম ক্ষুধিরামের। খালি কয়দিন ধইরা কর্পোরেট ভন্ডামিতে ডুইবা আছি আপাদমস্তক! কমরেড, মিছিল আইলে একটা টোকা দিয়া যাইয়েন।
সেই ছোটকালে নিয়ম ভাঙতাম একটা একটা কইরা। বাবা বইলা দিসিল দুপুরে বাইরে যাওয়া যাবেনা। সেই নিয়ম ভাঙছি ৬ বছর বয়সে।
হাত বাড়াইয়া আকাশ ছোঁয়ার চেষ্টা শুরু করছিলাম অনেক ছোটকালেই। প্রথম প্রথম উঠানে দাঁড়াইয়া আকাশের দিকে হাত বাড়াইতাম। পরে টুলের উপ্ড়ে দাঁড়াইয়া ট্রাই করছি কয়েকদিন। বাসা বদলানোর পর ছাদে উইঠাও চেষ্টা করছি। ২০০৫ সালের ১৩ এপ্রিল মতিঝিলের সাধারণ বিমা ভবনের ছাদের ওপর ১০০ ফিট টাওয়ারে উঠছিলাম রাত ১টার সময়।
বারবার আমি এলোমেলো হয়ে যাই!
সকাল সকাল ঘুম ভাঙলেই পাশের বাড়ির চিৎকার কানে আসে। তবে জানালার ফোকর দিয়ে মুঠো মুঠো রোদ্দুরও এসে শুয়ে পরে বিছানার ওপর। ঠিক পর পরই আসে পিচ্চি ভাগনীটা। এক ছুটে বুকের ওপর ধপ্পাস!
ঘুম থেকে উঠে আড়মোড়া ভাঙতে ভাঙতে চলে আসে খবরের কাগজ, টেবিলে নাস্তা। দাঁত ব্রাশ করে বেরুতে বেরুতে রিকশার টুংটাং শব্দ।
কেমন যেন খুব বেশি প্রাত্যহিক। মাঝে মাঝে একঘেয়েমিতে ধরে বসে!
(ধুরু, শালার আকাশটা হাত বাড়াইলেই কেন যেন দূরে সইরা যায়। যতই ওপরে উঠি ততই দূরে। )
মধ্যরাতে বাতিঘরের সাথে প্রেম
সবই শালার ঘুইড়া ফিরা একটা বৃত্তেই আট্কাইয়া যায়। নিয়ম ভাংলেও নিয়ম, অনিয়মের সাথে কোলাকুলিও নিয়মেরই ভিন্ন মাত্রা।
সাঁতার পারিনা, তবে কেন জানি গলা পর্যন্ত পানিতে ডুইবা থাকার খুব শখ। ইন্দ্রিয় গুলার মধ্যে চামড়াটারই মন হয় অনুভব করার ক্ষমতা বেশি। পানিতে ডুইবা থাকলে সারা শরীর অনুভব করে স্পর্শ। হয়তো প্রেমিকারে জড়ায় ধরাটা তাই এত বেশি বিধ্বংসী!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।