ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বিজুলিয়া-মহিষাডাঙ্গা সড়কটি ১০ গ্রামের মানুষের অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাধীনতার পর ৩৭ বছর অতিবাহিত হলেও এই কাচা সড়কটিতে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। উপজেলা সদর থেকে মাত্র ২ কি.মি. পূর্বে ৯ নং মনোহরপুর ইউনিয়নের বিজুলিয়া গ্রাম হতে মহিষাডাঙ্গা গ্রাম পর্যমত্ম মাত্র ৪ কি.মি. লম্বা এই বিজুলিয়া-মহিষাডাঙ্গা সড়ক। যার পাকাকরণ তো দুরের কথা এক কোদাল মাটিও পড়েনি। অথচ ৯ নং মনোহরপুর ও ১০ নং বগুড়া ইউনিয়নের মহিষাডাঙ্গা, ধাওড়া, পাইকপাড়া, বিজুলিয়া, মনোহরপুর, মাধবপুর, বিষ্ণুদিয়া, বিষ্টুদিয়া, লক্ষীপুর, নাগিরহাট সহ অমত্মতঃ ১০টি গ্রামের প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষের শহরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার একমাত্র মাধ্যম।
যেখানে শুকনোর সময়ও পায়ে uঁহটে চলা ছাড়া উপায় নেই। সাইকেল, ভ্যান, রিক্সা, গ্রাম্য যানবহন পর্যমত্ম চলে না এ পথে। আর বর্ষার সময় তো কথায় নেই। সম্পূর্ন্ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে এলাকাটি। এলাকাবাসী উপজেলার একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, থানা, সরকারী বেমরকারি অফিস-আদালত সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আসতে হয় এই সড়কের হাঁটু সমান কাদা পানির পথ পাড়ি দিয়ে।
এছাড়া এসকল এলাকা থেকে ২ শতাধিক ছাত্র ছাত্র পড়াশোনা করতে আসে মনোহরপুর কবি গোলাম মোসত্মফা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বেশির ভাগই আসে খালি গায়ে, বই খাতা মাথায় করে। বুক সমান কাদাপানির পথ পাড়ি দিয়ে ক্যানেলের পানিতে গোসল করে বিদ্যালয়ে ঢোকে শিক্ষার্থীরা। অবস্থা সম্পন্ন কৃষকেরা তাদের কৃষিপন্য মাঠ থেকে বহন করে আনে গরু বা মহিষের গাড়িতে। দরিদ্র কৃষকেরা মাথায় করে বহন করে ফলে পন্য সময়মত মাঠ থেকে আনতে না পেরে প্রায় সময়ই তাদের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।
যার ফলে অর্থনৈতিক দিক থেকেও পিছিয়ে পড়ছে কৃষি প্রধান এই এলাকাটির মানুষেরা। সর্বপরি সড়কটি ১০ গ্রামের মানুষের অভিশাপে পরিণত হয়ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।