পরে
ইকরাম আর আমি খুবই জানে জিগার দুস্ত। ওর সাথে আমার পরিচয় ২০০২ সালে। এখন পর্যন্ত দোস্তালি অটুট। একটা সময় ছিল যখন আমরা ২৪ ঘন্টার ১২/১৩ ঘন্টা একসাথেই কাটাতাম রীতিমত ছায়ার মত। অনেকেরই মনে হত ও আমার boy friend।
আমার মা আমাকে প্রায়ই বলতো ছেলেটার সাথে কি তোর? আমি এখন বাংলাদেশে আর আমার দুস্ত জাপানে। এখন মোবাইলে আর নেটেই মাঝে মাঝে যোগাযোগ হয়। কিন্তু অবস্থানের দূরত্ব আমাদের বন্ধুত্বের দূরত্ব কখনই বাড়ায়নি বরং কমিয়ে দিয়েছে। মজার ব্যাপার আমার এই দোস্ত ছাড়া আর কেউ আমার সমস্যাগুলো বুঝেনা। আমি আমার জীবনের সব কিছুই ওকে জানিয়েছি।
বলা যায় ও আমার জীবন্ত ডায়েরী। আমি ওকে প্রচন্ড বিশ্বাস করি আর আমার দোস্ত আমার বিশ্বাসের সম্মান করে। হ্যা আমাদের মধ্যেও অনেক সময় ঝামেলা হয় কিন্তু সেটা খুব অল্প সময়ের জন্য। ইকরামের ভাষায় আমরা অনেক কিছু ভুলে যাই না বাদ দিয়ে চলি। জীবনে অনেকের কাছ থেকে তীব্র কষ্ট পাওয়া মানুষ আমি শুধু একটা সম্পর্কের কাছে নিরাপদ আশ্রয় খুজে পেয়েছি।
এই একটা জায়গায় আমি...................... খুব নিরাপদ বোধ করি।
আমার এই দোস্তের সাথে আমার ২৫শে মার্চ বেস্ট কৌচিং এ পরিচয়। প্রথম কথা হয়েছিল নির্মলেন্দূ গুনের কবিতার বই নিয়ে। আমি ওর কাছে "তার আগে চাই সমাজতন্ত্র" বইটি চয়েছিলাম। তার পর থেকেই টুকটাক কথা বলা শুরু।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।