আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই আমাদের বারডেম হাসপাতাল!

বিকট

আমার মেজ চাচা অসুস্থ্য অবস্থায় বারডেমে ভর্তি হয়েছেন দিনদুয়েক আগে। অবস্থা অত্যন্ত সংকটপূর্ন। রক্তের প্রয়োজন। বি পজেটিভ রক্ত লাগবে অতিস্বত্তর হাসপাতাল থেকে জানানো হল। ঠিক আছে,আমার তো বি পজেটিভ,গেলাম রক্ত দিতে।

গিয়ে শুনি যে রক্ত নেয়ার পরে কোন একটা মেশিনে নাকি রাখতে হবে,ওটা নষ্ট। তাই ঘন্টা দুয়েক অপেক্ষা করতে হবে। মানে চিকিৎসার অগ্রগতি আরও দুই ঘন্টা পিছিয়ে গ্যালো। কি আর করা। ব্লাড কাউন্টারের পাশে বসে অপেক্ষা করছিলাম।

তার পাশেই আরেকটা রিপোর্ট ডেলিভারি কাউন্টার ছিলো। ওখান থেকে উত্তেজিত কন্ঠে তর্ক-বিতর্ক শুনতে পাচ্ছিলাম। একজনের রিপোর্ট নাকি অন্যজনকে দেয়া হয়েছে। এ কি অবস্থা!মেজাজটা খারাপ হল শুনে। আমার পাশেই দুই ভদ্রলোক বসেছিলেন।

তাদেরও মেজাজ খারাপ। তবে অন্যকারণে। হাসপাতালের ফাইনাল বিল যেটা দিয়েছে,সেখানে নাকি ব্যাপক গড়মিল। ইতিমধ্যেই তারা দশ হাজার টাকা বেশি বিল সনাক্ত করেছেন। আমাকেও কাগজপত্রগুলো দেখালেন।

কাজ না থাকায় আমিও সেলফোনের ক্যালকুলেটর দিয়ে তাদের সাথে হিসেব মিলালাম। দেখলাম তারাই ঠিক। অবশেষে আমাদের(সঙ্গে আমার এক মামাও ছিলেন) রক্ত দেয়ার পালা এলো। দিলাম। রক্ত নেয়ার সময় মামার সাথে অযথাই একজন দূর্ব্যবহার করেছিলো।

সে কথা আর তুললামনা। রক্ত দেয়া শেষে ফ্রুটিকা জুস দিল,খেয়ে বাড়ী ফিরলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনি যে,আমার চাচার আসলে ও+ রক্ত দরকার ছিলো, বি+ না......

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।