আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চুল পড়ছে? সমাধান নিন এখানে : চুল পড়ার নির্ভুল সমাধান (রিপোস্ট)

I realized it doesn't really matter whether I exist or not.

বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম হিসেবে পরিচিত ছিলো বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। পরবর্তীতে তা সরিয়ে নেয়া হয় মিরপুর শেরেবাংলানগর স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশে আসলে স্টেডিয়ামের সংখ্যা খুব বেশি ছিল না (এখন আছে বহুত)। অবশ্য দেশের আয়তনের তুলনায় একেবারে কমও নয়। কিন্তু সম্প্রতি অতিরিক্ত হারে স্টেডিয়াম নির্মাণের কারণে হুমকির মুখে পড়ে গেছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম, ভাসানী স্টেডিয়াম, মিরপুর শেরে বাংলা নগর স্টেডিয়ামসহ বিখ্যাত সব স্টেডিয়ামসমূহ।

এর জন্য যারা দায়ী, তারা হচ্ছেন মানুষ। হ্যাঁ, পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে আশঙ্কাজনক হারে মানুষের মাথার চুল পড়ে নতুন নতুন স্টেডিয়াম নির্মিত হচ্ছে । এসব স্টেডিয়াম খেলার অযোগ্য হলেও এত এত স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের রূপটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। লোকারণ্য কোন স্থানে দৃষ্টিপাত করলে কালোর মাঝে বেশিরভাগই ছোটখাট স্টেডিয়াম দেখা যায়। তবে আসল কথা হচ্ছে যে, এই স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য মালিকগণ (মানে যার মাথা তিনি ) দায়ী নন।

নিজের অজান্তেই স্টেডিয়াম নির্মাণ শুরু করে দেন অনেক মানুষই। যারা ইতিমধ্যেই স্টেডিয়াম নির্মাণ করে ফেলেছেন, তাদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করছি। আর যারা নির্মাণকার্য এখনও চলছে এমন পর্যায়ে আছেন, তাদের প্রতি কিছু টিপস দিচ্ছি। আশা করছি কাজে লাগবে। দ্রষ্টব্যঃ কোন গ্যারান্টি দেয়া হচ্ছে না স্টেডিয়াম ধ্বংসে পদক্ষেপ ১. প্রথমেই চুল পড়ার কারণটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন।

মনে করার চেষ্টা করুন ঠিক কখন থেকে আপনার চুল পড়া শুরু হলো। উদাহরণস্বরূপ, মেয়েরা চুল সোজা করার জন্য স্ট্রেইটেনার ব্যবহার করে থাকেন। যদি দেখেন যে স্ট্রেইটেনার ব্যবহার শুরু করার পর থেকে, কিংবা চুল সুন্দর ও রেশমী হবার জন্য কোন কেমিক্যাল ব্যবহার শুরুর পর থেকে আপনার চুল পড়া শুরু হয়েছে, তাহলে তৎক্ষণাৎ তা বন্ধ করুন। ২ যেকোন একটি ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু বা শাওয়ার জেল ব্যবহার করুন। ফ্রিকুয়েন্টলি এসব ব্যবহার্য্যের ব্র্যান্ড পরিবর্তন করলে তা আপনার চুলের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।

৩. চুলে নারিকেল তেল দেয়া চুল পড়া বন্ধ করা বা চুল পড়া বন্ধ শুরু হওয়া ঠেকানোর সবচাইতে কার্যকরী উপায়। যখন আপনি চুলে তেল দিয়ে বাইরে যাবেন, তখন ধূলাবালু ও ময়লা আপনার চুলে আটকে থাকতে পারবে না। ফলস্বরূপ, আপনার চুল থাকবে দূষণ থেকে মুক্ত। ৪. নিয়মিত চুল ধৌত করুন। চুল না ধুলে চুলে একপ্রকার ময়লার সৃষ্টি হয় যা আপনার চুলকে পড়ে গিয়ে স্টেডিয়াম নির্মাণে সহায়তা করে থাকে ।

৫. সাধারণ থেকে হালকা তথা কুসুম-গরম পানি ব্যবহার করুন চুল ধোবার কাজে। অতিরিক্ত গরম পানি আপনার চুলকে নষ্ট করে দিতে পারে। ৬. সবসময় উদ্বিগ্ন, টেনশন করা বা রেগে থাকা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এ কথা প্রমাণিত যে, অতিরিক্ত টেনশন করলে বা মেজাজ গরম করে রাখলে তার ক্ষতিকারক প্রভাব আপনার শরীরে পড়ে। এই ক্ষতিকারক প্রভাবসমূহের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চুলপড়া।

৭. আপনার মাথার ত্বক বা চুলের গোড়া সবসময় হালকাভাবে ম্যাসেজ করুন এবং চুল আঁচড়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন। কেননা, এতে আপনার চুলের লোমকূপে রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে যা দীপ্তিময় চুল গঠনে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করে। ৮. আপনি যদি অন্য কোন অসুস্থতার কারণে ওষুধ খেয়ে থাকেন, তাহলে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। হতে পারে মাত্রাতিরিক্ত ডোজ কিংবা অতিরিক্ত পাওয়ারের ওষুধ আপনার চুল পড়ার প্রধান কারণ। এক্ষেত্রে কোন কোন সময় আপনার কিছুই করার নেই।

চুল পড়ে যাবে এবং ওষুধ গ্রহণ শেষ হলে আবার গজাবে। এ বিষয়ে আপনার চিকিৎসকই ভাল বলতে পারবেন। ৯. অতিরিক্ত ভিটামিন-এ ডোজ থেকে বিরত থাকুন। মাত্রাতিরিক্ত ভিটামিন এ ডোজ নেয়া আপনার চুল পড়ার কারণ হতে পারে (চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন)। ১০. দ্রুত ওজন হারানোর জন্য স্বল্প প্রোটিনযুক্ত ডায়েট বা খাদ্য গ্রহণ আপনার চুলের জন্য মোটেই উপকারী নয়।

১১. আপনি যদি স্বাভাবিক ডায়েট কন্ট্রোল করে থাকেন, তাহলে মাল্টিভিটামিন সাপলমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন (চিকিৎসকের পরামর্শ নিন)। ১২. অ্যালকোহলজাতীয় পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান চুলপড়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। তাই একেবারে পান না করাই শ্রেয়। ১৩. এতকিছুর পরও যদি চুল পড়া অব্যহত থাকে, তাহলে ভাল কোন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সাবধান থাকুন রাস্তাঘাটে বিজ্ঞাপণ করে বেড়ানো টাক মাথায় চুল গজানোর ইউনানী চিকিৎসাকেন্দ্রগুলো থেকে। কারণ এগুলোর বেশিরভাগই প্রতারণামূলক। তাই ভাল করে জেনেশুনে চিকিৎসা নিন। অন্যথায় এদের কাছে চিকিৎসা করা আপনার চুল পড়ার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সবশেষে বলা যেতে পারে যে, চুল আপনার সৌন্দর্য্যকে আরো ফুটিয়ে তোলে।

শুধু মেয়েদের নয়, ছেলেদেরও চুল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে বলেছিলাম চুলপড়ার জন্য যার চুল পড়ছে, তিনি হয়তো দায়ী নন। কিন্তু আসলে পরোক্ষভাবে তিনিও দায়ী। তবে যাই হোক, সাধের চুল রক্ষায় উপরের টিপসগুলো কাজে লাগলেই আমার পোস্টের উদ্দেশ্য সাধন হবে।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৪৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।