একটু একটু
পোলায় রাগ করছে বাপের উপ্রে। বাপে নয়্যা খেলনা কিন্না দেয় নাই, তাই।
দুই দিন পোলায় বাসায় ভাত খায় নাই।
একুটূ পার্ট লইয়া আছে।
মনে মনে ভাবতেছে “বাপে আইসা হইতো ভাত খাওয়াবে, আর হয়তো নয়্যা খেলনাটা কিনা দিবে”
কিন্তু ছোট্টো খোকাটি কি জানত তার জন্ন্য কি অপেক্ষা করতেছে ?
সকাল পেরিয়ে দুপুর, দুপুর পেরিয়ে প্রায় বিকাল,
এখনও পোলাটা গভির আশায় আছে।
বাপে হইতো আইসা কবে “চল বাপ তোরে তোর খেলনা কিনা দেই, তুই আর রাগ করিস না, আয় ভাত খাই”
কল্পনায় পোলা বিভোর !!
ওই দিকে খিধায় অবস্থা কাহিল।
সন্ধার দিকে, অফিস শেষে বাপে আইলো বাসায়
আইসা সুনলো, তার আদরের পোলায়
এখনও আন্ন গ্রহন করে নাই।
ওই দিকে পোলায়তো ফুল পার্টে আছে।
এইবার কিছু একটা হবে।
দশ মিনিট পরের ঘটনা-----------------
পাশের বাড়ির লোক দউরাইয়া আইছে।
সবাই মিলা দেখতেছে
বাপে, তল্লা বাঁশ এর গোড়া দিয়ে,
পোলারে বাইড়াইতেছে আর ঠুয়াইতেছে জন্মের মতো !!
এইবার বাপের ডায়লগ----
তুই আমার পোলা হইয়া ভাত খাবি না মানে?
তুই খাবি তোর বাপেও খাবে।
হ্যা ! তুই ক্যামনে ভাবলি তোরে আমি ওইটা কিনা দিমু ?
পড়ালেখার নাম নাই। আর খেলনা।
এক্কারে জন্মের দেওয়া দিমু।
এক্ষন তুই ভাত খাবি।
না খাইলে আজকে আমি তোরে ঠুয়াইতে ঠুয়াইতে মাইরাই ফেলমু
পোলায় মাইর মুইর খাইয়া ভাবতেছে
হায়রে, কি ভাবলাম আর কি হইলো।
এরপর থেকে পোলায়
ওর লাইফে জিবনেও বাপের উপ্রে
রাগ কইরা না খাইয়া থাকে নাই।
ও সেই দিনই ডিসিশন নিছিলো যে-
দরকার পরলে খাইয়া শহিদ হইয়া যাবে।
কিন্তু না খাইয়া আর রাগ করবে না।
উক্ত কাহীনিটা ছিল আমার বাসার নিচের একটা পোলার
অয় আমারে কয়, ভাই কি ভাবছি আর কি হইছে তাতো সুনলেনই
ভাবুতো আপনিও কি হোতে পারবেন
এই রকম একজন বাপ ??
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।