আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জলজ উপাখ্যান

"এক ষ্টেশনের টিকেট কেটে অন্য কোন স্টপেজে নেমে পড়া আমার আজন্ম স্বভাব" ইয়াহু মেসেন্জার : ahmed_wpsi@yahoo.com

ঠাকুরদা ছিলেন খেয়া ঘাটের মাঝি- তাই আমার হাতে-ও তাল কাঠের বৈঠা; মাঘ মাসের শেষে মাথাভাঙ্গা শীর্ণ হয়ে এলে ঘাট পারানীর আট আনা উপার্জন-টা বন্ধ হবার পর বাবার রেখে যাওয়া বুড়ো নৌকার পাটাতনে আশঁটেমাখা দেহটা নুইয়ে শুধু উদাস চেয়ে থাকা। কে যেন বলেছিলেন ঈশ্বর এখানে থাকেন না আর থাকলেও বুঝি কৃপার ভান্ডার এখন শুন্য তাই সারা রাত জাল ফেলেও পরের দিন উনুন জ্বলেনা বাংলা লিংকের এ্যাডের মত বদলে যায় না দিন--- শুধু বদলে যায় দাম, হুহু করে বেড়ে যায় চৈতী আগুনের মত। শাখের শব্দে চোখে ভেসে ওঠে মায়াবী একটা মুখ আজ তিন দিন ঘরে কেরোসিন নেই, জ্বলেনা সাঝবাতি খসে পড়া নক্ষত্রের ম্লান আলোয় দূর থেকে কানে আসে কত গুলি অদ্ভূট শহুরে উচ্চারণ--"ডিজিটাল বাংলাদেশ"! তার সাথে আমার ক্ষয়ে যাওয়া বৈঠার যে পার্থক্য সে কথা জানেননা জাতির ভাগ্যের নির্মতাগণ, নগরের ঝলমলে আলোয় ওনাদের দেখা হয়নি মাঝরাতে আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল তারা টা কিভাবে টুপ করে জলের বুকে খসে পরে; যেভাবে সেরা মেধাবী ছেলেটার মেধা উবে যায় বেকারত্বের বিবর্ণতায় নেশাতুর মায়ার ধুম্রজালে; কবিতা লেখার ছলে যে ছেলেটা বহুবার এই অধমের সাথে রাত জেগে পাতার বিড়ি ভাগা-ভাগি করে খেয়েছে। পালাবদলের পরিক্রমায় বদলে যায় পৃথিবীর সময় পাল্টে যায় সভ্যতা; শুধু রয়ে যায় কিছু নিয়ম-- কখনো ভাটির টানে, কখনো উজানে কখনো বা চোরা স্রোতে কিন্তু একই সুরে - সেই পরিচিত আদিম জলজ ধারায়।।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।