আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এমন স্পিকার যেন এ দুর্ভাগা জাতিকে আর না দেখতে হয়![/sb]

শরীরে শরীর নয়, ঠোঁটে ঠোঁট রাখাও নয়, মূহুর্তের ছোঁয়াও নয়, একটু দেখাতেই লিটার খানেক অগ্নিজলের ঘোর।

বিদায়ী স্পিকার জমির উদ্দিন সরকার তার সময়কালে (২৮/১০। ২০০১-২৫/০১/২০০৯) বেশ কিছু উদাহরন রেখে গেলেন, জাতির জন্য যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক: ১। তিনি ক্ষনকালের জন্যও তার দলীয়পরিচয় ভুলে নিরপেক্ষভাবে সংসদ পরিচালনা করতে পারেননি। ২।

২১শে আগস্টের বোমা হামলার মত জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পর্যন্ত তিনি সংসদে আলোচনা করতে দেননি। যে কেউ, যার মধ্যে নূন্যতম দেশাত্ববোধও কাজ করে তার পক্ষে এমন আচরন করা অসম্ভব। ৩। দীর্ঘ ৫ বছরের মধ্যে বিরোধীদলকে তিনি একটি বিলও উত্থাপন করতে দেননি। বিরোধীদলের আনা একটি বিলকেও সংসদে আলোচনার যোগ্য মনে করেননি তিনি।

আমার জানামতে এটা একটা বিশ্ব রেকর্ড। ৪। তিনি বারবার দ্রব্যমুল্য, কানসাট এসব ইস্যুকে সংসদে আলোচনা করতে বাঁধা দিয়েছেন। ৫। তিনি সর্বক্ষন ভুলে ছিলেন যে তিনি সাংসদদের মধ্যস্ততাকারী-বিএনপির স্বার্থরক্ষাকারী সাংসদ নন।

৬। এছাড়াও, নির্বাচনে সরকারী যানবাহন, জনবল ব্যবহার করে, অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমন করে এবং নিজ এলাকার লোকজনকে সংসদে চাকুরী দিয়ে স্পিকারের পদটির চরম অবমাননা করেছেন। জাতির আশা-আকাংখা, দু:খ-বেদনার প্রতিফলন/প্রতিকারের সর্বোচ্চ ও সবচেয়ে কার্যকরী প্রতিস্ঠান হবার কথা সংসদ। আমি বলছিনা যে আমাদের সংসদ কার্যকরী কোনদিনই ছিল। কিন্তু যেটুকু ছিল জমির সরকার সেটুকুও সফলভাবে অকার্জকর রেখেছিলেন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।