প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আমি গাজার নির্জাতিতদের পক্ষ থেকে তমাদেরকে আমাদের এখনকার পরিস্হিতি জানাচ্ছি, যাতে তোমারা তা পুরা পৃথিবীকে জানাতে পার।
আমরা বিশ্বাস করি গত ২৭ শে ডিসেম্বর আমাদের উপর আক্রমনের মাধ্যমে ইজরায়েল সমস্ত মানুষ জাতীর উপরে হামলা চালিয়েছে, হামলা চালিয়েছে মুহাম্মদ (স) এর উম্মতের উপর। তারা আমাদের বুঝাতে চেয়েছে তোমরা দূর্বল তোমরা অসহায় আমরা তোমাদর নিশ্চিহ্ন করে দেব।
তারা এখানেই থামবেনা কারন তারা স্বপ্ন দেখে যে, একসময় তারা একে একে দখল করে নেবে মসজিদ আল আকসা, পশ্চিম তীর, এবং একসময় সমগ্র আরব উপদ্বীপ।
আল্লার কসম তারা তা কখনঐ করতে পারবে না।
আমাদের এখান কার অবস্হা আর কি বলব! বলার মত এক ফোটা পানি নেই। যেখানে যাটুকু পাওয়া যায় সেগুলো খাওয়া যায় না, কারন ঐ পানি খাওয়ার অযোগ্য হয়ে গেছে। মিনারেল ওয়াটার কেনার মত পানিও সবসময় থাকে না। তাছাড়া টাকা থাকলেও কিছু কেনেকাটার জন্য বাইরে যাওটা আরও ভয়ের, কখন কি হবে কেউ বলতে পারে না। গত চার মাস ধরে আমাদের এখানে গ্যাসে সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে, আর আমরাও অল্প রান্না করে আর অল্প খেয়ে বেচে থাকার অভ্যাস মোটামুটি রপ্ত করে ফেলেছি।
আমাদের ছেলারা সব এখন বেকার। কারও কোনও চাকরি বাকরি নাই। তদের দিন কাটে আমাদের সাথে শুয়ে বসে, মূত্যর প্রতিক্ষায়। নয়ত সারা দিন কাটে এক বালতি বিশুদ্ধ পানির খোজে। আমার স্বামী প্রতিদিনই পানির খোজে বের হয় আর সন্ধায় যথারীতি খালি হাতে ফিরে আসে।
এখানে এখন কোনো স্কুল বা কলেজের অস্তিত্ব নেই, আহতদের জন্য কিছু হাসপাতাল কোনোরকরমে টিকে আছে। কুকুর গুলো আমাদের জন্য বেলা ১-৪ টা পর্যন্ত যুদ্ধ বিরতী ঘোষণা করে, কিন্ত এই সময় বের হওয়ার অর্থ হল শহীদদের তালিকাটা আর একটু বড় করা।
View this link
চলবে>>>
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।