আমার ইউনির রোবোটিক্সের কারিকোলামে অন্তর্ভুক্ত নয় বলেই নতুন কিছু জানার জন্য লুলিয়া ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজিতে কগনিটিভ সায়েন্স কোর্ষটা নিয়েছি । কোন পরীক্ষা নেই । মাত্র ২০ টি এসাইনমেন্ট শেষ করতে পারলেই ১৫ ECTS ক্রেডিট পেয়ে যাব !!!
কিন্তু ২ টা বইসহ বেশ কিছু আর্টিকেল পড়ে এত্তোগুলো এসাইনমেন্ট শেষ করতে পারাটাই কঠিন ।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন রোবোটিক্সে AI জানার পাশাপাশি মন ও ব্রেইন কিভাবে কাজ করে সেটা জানাটাও জরুরী । দর্শন, মনোবিদ্যা, নিউরোসায়েন্স, ভাষাতত্ব, AI, এনথ্রোপোলজির বিভিন্ন মতোবাদ কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রকাশ করানোই মূলত কগনিটিভ সায়েন্সের কাজ ।
সায়েন্সের বেশিরভাগ বিভাগই পর্যবেক্ষণ উপযুক্ত ঘটনার উপর দৃষ্টিপাত করে, অন্যদিকে কগনিটিভ সায়েন্স কিন্তু আভ্যন্তরিক ও মানসিক ঘটনার কারন আবিস্কার করে থাকে ।
রিপ্রেজেনটেশন বা প্রতিরুপই হলো কগনিটিভ সায়েন্সের মূল । ধারণা (concept), প্রস্তাব (proposition), নিয়ম (rule) ও ঔপম্য (analogy) হলো চার শ্রেণীর প্রতিরুপ । যেখানে ধারণা একটা সত্তা নিয়ে কাজ করে, প্রস্তাব মূলত বিবৃতি, নিয়ম বিভিন্ন প্রস্তাবের মাঝের সম্পর্ক বিশ্লেষন করে এবং ঔপম্য একই ধরণের বিভিন্ন কাজের তুলনা করে থাকে ।
মন রিপ্রেজেনটেশনের অনেক ধরণের কম্পিউটেশন করে থাকে ।
বিভিন্ন ধরণের কাজে (অপারেশান) বা তথ্যের উপর ভিত্তি করে এদের শ্রেণীবিভাগ করা যায়, যেমন : ভাব (সেনসেশান), উপলব্ধি (পারসেপশান), মনোযোগ (এটেনশান), স্মৃতি (মেমরি), ভাষা, যুক্তিতর্ক, সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা ইত্যাদি ।
সমালোচকরা কগনিটিভ সায়েন্সকে অনেকগুলো চ্যালেন্জ ছুড়ে দিয়েছে যার মাঝে আবেগ, সচেতনতা, সামাজিক ও গণিত বিষয়ক উল্লেখযোগ্য ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।