আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তুই দুইটা খা, আমি একটা খামু!!!!

সামুতে বারবার ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করলেও কর্তৃপক্ষের নিশ্চুপ থাকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসাবে ব্লগিং বন্ধ করলাম এখানে। ধিক্কার সামুর কর্তৃপক্ষকে

গল্পটা এক কৃষক দম্পতি নিয়ে। স্বামী স্ত্রী নিয়ে দু'জনের সংসার। স্বামী ভীষন কিপটে। মোটামুটি সাধ্য থাকলেও মাছ-মাংসের ধার দিয়ে যায় না।

বউও নাছোড়বান্দা!!! শেষে কোন রকমে বুঝিয়ে স্বামীকে মাছ কেনাতে রাজি করাতে পারল। যা হোক হাট থেকে স্বামী মাছ নিয়ে আসল, বউও যোগাড়পাতি করে বসে আছে রান্নার। মাছ কিনে এনেছে ৩টা। রান্নার পর সমস্যা বাধলো খেতে গিয়ে, মানুষ দু'জন কিন্তু মাছ তিনটা। কে খাবে ২টা আর কে খাবে ১টা।

আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের মত সমঝোতায় আসতে পারছে না। কেউ ১টা খাবে না, স্বামীর যুক্তি সে কিনে এনেছে, সুতরাং সেই হকদার ২টা মাছ খাবার, বউও কম না, তার যুক্তি সে রান্না করেছে আর তারই পীড়াপীড়তে মাছ কিনে এনেছে, সুতরাং প্রকৃত ২টা মাছ খাবার সেই দাবীদার। কোনভাবেই কেউ হার মানতে রাজি নয়, কেউই খাওয়া শুরু করছে না, মাছের হিসাবের ফয়সালার জন্য! শেষে স্বামী একটা বুদ্ধি বের করল, কেউ কথা বলবে না, যে আগে কথা বলবে, সেই হেরে যাবে এবং অন্যজন ২টা মাছ খাবে। যে ভাবা সেই কাজ। দুজনই না খেয়ে শুয়ে পড়ল খাবার রেখেই, কেউ কথা বলে না, দিন পার হয়ে যায়........কোন নড়াচড়া নাই, কারন কথা বললেই ১টা মাছ জুটবে।

এদিকে কয়েকদিন স্বামী-স্ত্রীর সাড়া শব্দ না পেয়ে গ্রামের লোকজন চিন্তিত হয়ে পড়ল, কোথায় গেল, বাড়িতে এসে দেখে দরজা লাগানো, পরে লোকজনের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙ্গে দেখা গেল ২জন মরে আছে, আসলে মরে নাই। চুপ করে আছে, কথা বললেই ১টা মাছ খেতে হবে। এদিকে দুজনের নড়াচড়া না দেখে, মারা গেছে ভেবে গ্রামবাসী কবর দেবার জন্য ঘোড়ায় করে রওনা দিল। তিনজন গ্রামবাসি ২টা লাশ নিয়ে দুরে গেল কবর দিতে। এরপর যখন কবরে নামাবে, তখন আর কোন উপায় না দেখে স্বামী চিৎকার করে বলল, তুই ২টা খা, আমি একটাই খামু।

এদিকে কবর দিতে যারা এসেছে, এরা ভাবছে মরার পর ভুত হয়ে গেছে, তাই ওদের তিন জনকে খেতে চাইছে, ওরা স্বামী-স্ত্রীকে ফেলে রেখে ঘোড়ার চড়ে দে ছুট!!!! কিন্তু ভয়ের ঠেলায় ভুলে ঘোড়াযে বাঁধা ছিলো, সেই রশি আর খোলে নাই, ফলে ঘোড়া চাবুক খেয়ে খুটি উপড়িয়ে ছুটতে শুরু করে, যত জোরে চাবুক মারে, আর ও ঘোড়ার দৌড়ানিতে গ্রামবাসীর পিঠে খুটিগুলো আঘাত করে। এদিকে গ্রামবাসী ভাবছে স্বামী- স্ত্রী ওদের পিছন পিছন আসছে আর ধরার চেষ্টা করছে!!!!! মূল গল্পঃ পল্লী কবি জসিম উদ্দীনের বাঙ্গালীর হাসির গল্প বই থেকে পড়েছিলাম, সেই স্কুল লাইফে। এখন স্মৃতি থেকে লিখলাম, থিম ঠিক আছে, কথা হয়ত একটু বদলে গেছে!!!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।