গভীর কিছু শেখার আছে ....
গাজীপুরের মেয়ে ইশরাত জাহান চৈতীকে আজ সন্ধ্যায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিচারক ইমদাদুল হক মিলন বুদ্ধিমত্তা যাচাই অংশে প্রশ্ন করেছিলেন, আমি যদি স্টেজে এসে এখন কান্না শুরু করে দেই, তবে তুমি কি করবে? প্রতুত্তরে চৈতী বলেছিলো, আমিও সঙ্গে সঙ্গে কান্না শুরু করে দেবো! কিন্তু চৈতীকে শেষ অবধি আর কাঁদতে হয় নি। বরং লাক্স-চ্যানেল আই সুপার স্টার ’০৮ প্রতিযোগীতায় বিজয়ীর মুকুট ছিনিয়ে নিয়েছেন তিনি। প্রতিযোগীতায় প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ হন সাঈদ উম্মে তাজী ও রেবেকা সুলতানা দীপা।
গ্র্যান্ড ফিনালে প্রধান বিচারক হিসেবে ছিলেন সারা বেগম কবরী, ইমদাদুল হক মিলন, আফসানা মিমি, আলী যাকের ও শাইখ সিরাজ।
বিজয়ী হিসেবে চৈতী পান লাক্স-চ্যানেল আইয়ের পক্ষ থেকে একটি ফিল্ম কণ্ট্রাক্ট ও একটি ব্র্যান্ড নিউ নিসান গাড়ি।
আর প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ পান যথাক্রমে পাঁচ ও তিন লক্ষ টাকা। এছাড়া শীর্ষ দশের সকলের জন্যই রয়েছে চ্যানেল আই-এর নাটকে অভিনয়ের কণ্ট্রাক্ট। বিজয়ী তিন প্রতিযোগীর মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন চ্যানেল আইয়ের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফরিদুর রেজা সাগর, ইউনিলিভার বাংলাদেশের রাকেশ মোহান ও নওশাদ করিম।
আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন নিয়ে সারাদেশ থেকে প্রায় ৪ হাজার প্রতিযোগী তাদের নাম নিবন্ধন করে লাক্স-চ্যানেল আই সুপার স্টার ’০৮ প্রতিযোগিতায়। এর মধ্য থেকে প্রথমে ১৫০ জনকে বাছাই করা হয় প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য।
লুক’স পার্টনার ফারজানা শাকিল ও তার দলের ফটোগ্রাফি নিয়ে গুলশান ইমানুয়েল হলে প্রদর্শনীর আয়োজনের পর ১৫০ প্রতিযোগী থেকে ১০০তে নামিয়ে আনা হয়। এর পর সংখ্যাটি ৫০ থেকে নেমে আসে ২৫-এ। শারীরিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি অভিনয়, মডেলিং, বুদ্ধিমত্তা, মেকআপ, টেলিভিশন কার্যক্রম ভিন্ন ভিন্ন রাউন্ড পার হয়ে গ্র্যান্ড ফিনালে অংশ নেয় শীর্ষ ১০ প্রতিযোগী।
চ্যানেল আই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে পুরো অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে। গ্রান্ড ফিনাল অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন মুনমুন ও পরিচালনা করেন অমিতাভ রেজা।
[ ফটো : ইশরাত জাহান চৈতী ]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।