ফের শিক্ষক লাঞ্ছনার অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলন করে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও জাহানারা ইমাম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড শ্যামল কুমার রায়কে অপমান ও লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলে তিনি এ অভিযোগ করেন।
জানা যায়, উপাচার্য বিরোধী আন্দোলন সমর্থনদানকারী ৩৭০ জন শিক্ষকের মধ্যে অধ্যাপক শ্যামল কুমার রায় অন্যতম থাকায় তার প্রতি উপাচার্যের ক্ষোভ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ জন্যই ছোটখাটো ব্যাপারে শ্যামল কুমারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় । এর প্রতিকার চেয়ে অধ্যাপক শ্যামল কুমার শিক্ষক সমিতির সভাপতি বরাবর একটি চিঠিও ইতোমধ্যে দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এই চিঠিটি পাঠ করা হয় ।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, উপাচার্য অধ্যাপক এম আনোয়ার হোসেন তাকে রিজাইন করার জন্য হুমকী দেয়। এ ছাড়া উপাচার্য কেন তিনি সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আমির হোসেনের গ্রুপে আছেন বলে উচ্চস্বরে জানতে চান। চিঠিতে অধ্যাপক শ্যামল আরো বলেন, আমাকে সরিয়ে উপাচার্যের আস্থাভাজনদের এই পদে নিয়োগ দিতেই এই দুর্ব্যবহার ।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষক সমাজ এর পক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আমির হোসনে বলেন, এই দুর্ব্যবহারের আমরা তীব্র প্রতিবাদ, নিন্দা ও ঘৃণা জানাই ।
তিনি আরো বলেন, পিতার বয়সী শিক্ষকের সঙ্গে ধমকের স্বরে কথা বলে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আফসার আহমদ ঘৃণিত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এসময় এই ঘটনার জন্য ক্ষমা না চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আফসার আহমদের বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান অধ্যাপক আমির হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রীতিলতা হলের প্রভোস্ট ও জার্নালিজম এ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক লুৎফর রহমান, আল বেরুনী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আমীর খসরু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ফরিদ আহমেদসহ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী অর্ধশতাধিক শিক্ষকবৃন্দ।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।