আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজ ইনজেকশন খাইতে হইব ! ভয়ে আছি !!

হুশিয়ারি :- আমার ব্লগে কেউ সাহিত্য খুইজেন না । ইহা একটি মাকাল পরিবেশনা।

ইনজেকশনের কথা শুনলেই মনটা চুপষায় যায়। আজ একটু পরে হেপাটাইটিস-বি এর বুস্টার ডোজ নিতে হবে। হাত-পা শিরশির করছে।

দশ তলা বিল্ডিং এর উপর পায়ে হেটে উঠতে রাজি আছি, তবুও ইনজেকশনের হাত থেকে রেহাই চাই। আইচ্ছা ! ইনজেকশন না নিয়ে সরবতের সাথে গুলায় খাওয়ানের কোন তরিকা আছে নাকি ? এখন আসেন হেপাটাইটিস-বি সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেই। হেপাটাইটিস-বি : হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস মুলত লিভারকে আক্রমন করে এবং কোষগুলোকে ধ্বংস করে লিভার কে অকেজো করে দেয়। এটা ঘতক ব্যাঘি এইডস থেকে ১০০ গুন বেশী সংক্রামক। পৃথিবীতে এইডস এর কারনে যত লোকের মৃত্যু হয় হেপাটাইটিস-বি এর কারনে তার চেয়ে বেশী মানুষ মৃত্যুবরন করে।

একে তামাকের পর ২য় ক্যান্সার সৃষ্টিকারী হিসাবে গন্য করা হয়। রোগটির ভয়াবহতা : বিশ্বে প্রায় প্রতি ০৩ জনের মধ্যে একজন হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস আক্রান্ত। বিশ্বের ৯ম ঘাতক রোগ। প্রায় ৮০ কোটি লোক হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের দীর্ঘমেয়াদী বাহক। এদের মধ্যে প্রতি বছর প্রায় ১০ ল লোক লিভার এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করে।

প্রতিরোধের উপায় : শরীরে প্রতিষেধক টিকা নেওয়াই প্রতিরোধের উপায়। এজন্য প্রথমে একটা ব্লাড টেষ্ট করতে হবে যার নাম HBsAg (এইচ.বি.এস.এ.জি) রেজাল্ট নেগেটিভ হলেই টিকা নেওয়া যাবে। ডোজ : প্রথমবার দেওয়ার এক মাস পর ২য় বার, তার এক মাস পর ৩য় ডোজ পরবর্তী ০১ বছর পর শেষ ডোজ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।