বিশ্ব থেকে প্রায় বিদায় নেয়া পুরোনো মডেলের এই উড়োজাহাজকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত স্বাগত জানিয়েছেন এয়ারলাইন্স বিশেষজ্ঞরা।
রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেভিন স্টিল সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রক্ষণাবেক্ষণ ও জ্বালানি খরচ বেশি হওয়ায় ডিসি-১০ উড়োজাহাজ দুটি বাদ দেয়া হচ্ছে।
ডিসি-১০ উড়োজাহাজ দুটি বহর থেকে বাদ দিলেও ফ্লাইট পরিচালনায় তেমন চাপ পড়বে না বলে জানান তিনি।
কেভিন স্টিল বলেন, আগামী বছরের মধ্যে বিমানের নিজস্ব দুটি বোয়িং ৭৭৭ এবং দুটি বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এছাড়া আগামী হজ মৌসুমের আগে আরো অন্তত চারটি উড়োজাহাজ ড্রাই লিজ পদ্ধতিতে ভাড়ায় আনার কথা ভাবা হচ্ছে।
২০১৪-১৫ সালের মধ্যে বিমানের বর্তমান বহরকে দ্বিগুণের পরিকল্পনাও জানান বিমান এমডি।
বিমানের বর্তমান বহরে ৩০ বছরের পুরনো ডিসি-১০ দুটি ছাড়াও দুটি এয়ারবাস, দুটি বোয়িং-৭৭৭ ও দুটি ভাড়ায় আনা বোয়িং-৭৩৭ মডেলের উড়োজাহাজ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ম্যাকডোনাল্ডস অ্যান্ড ডগলাস নির্মিত ডিসি-১০ মডেলের উড়োজাহাজ বর্তমানে বিশ্বের অন্য কোনো বিমান সংস্থা ব্যাবহার করে না। কোম্পানিটি শেষ ডিসি-১০ তৈরি করেছিলো ১৯৮৮ সালে।
বিমান বহর থেকে ডিসি ১০ বাদ দেয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহেদুল আলম বলেন, এটা সঠিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ ধরনের (ডিসি ১০) উড়োজাহাজের তেল খরচ, জনশক্তি ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ অনেক বেশি।
“একটি বিমান প্রতিষ্ঠানের শতকরা ৩০ শতাংশ যদি শুধু তেল খরচ বাবদ খরচ করতে হয় তাহলে সে প্রতিষ্ঠানের পক্ষে লাভ করা কঠিন। বিশ্বের অন্যান্য বিমান সংস্থা গুলোর কোনোটিরই বহরে ৫ থেকে ৭ বছরের পুরনো উড়োজাহাজ নেই। ”
ধীরে ধীরে বিমানের বহরে থাকা ২০ বছরের পুরাতন এয়ারবাস দুটিও বাদ দেয়ার পরামর্শ দেন বিমান পরিচালনা পর্ষদের সাবেক এই সদস্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।