আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চমক লাগানো মন্ত্রিসভা আমলানির্ভর হয়ে পড়বেনাতো...



জাহাঙ্গীর আলম আকাশ \ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কন্যা শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হলেন। ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে শপথ তিনি এবং তাঁর ৩১ সদস্যের (প্রধানমন্ত্রীসহ ৩২ সদস্য) মন্ত্রিসভা শপথ নিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান। শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাওয়া ৩১ জনের মধ্যে ২৩ জন পূর্ণমন্ত্রী আর ৮ জন প্রতিমন্ত্রী। এদের মধ্যে ৪ জন ছাড়া ২৭ জনই নতুন মুখ।

আবার স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দু’জন সংগ্রামী ত্যাগী নারী নেত্রীকে। শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় মন্ত্রি পদমর্যাদায় ৪ জন উপদেষ্টা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যার মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারা। নতুন মন্ত্রিসভায় ধর্মীয় সংখ্যালঘু (হিন্দু) দুইজন এবং একজন আদিবাসি আছেন। নারী আছেন প্রধানমন্ত্রীসহ ৫ জন।

সবমিলিয়ে শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভা দেশবাসিকে নতুন চমক দিয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের নতুন মন্ত্রিসভার পূর্ণমন্ত্রিরা হলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত (অর্থ), বেগম মতিয়া চৌধুরী (কৃষি), আবদুল লতিফ সিদ্দিকী (বস্ত্র ও পাট), ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ (আইন বিচার ও সংসদ), অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার (পরিকল্পনা), রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু (ডাক ও টেলিযোগাযোগ), অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন (স্বরাষ্ট্র), সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম (স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়), ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন (শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং প্রবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান), রেজাউল করিম হীরা (ভূমি), আবুল কালাম আজাদ (তথ্য ও সংস্কৃতি), এনামুল হক মোস্তফা শহীদ (সমাজকল্যাণ), দিলীপ বড়–য়া (শিল্প), রমেশ চন্দ্র সেন (পানিসম্পদ), জি এম কাদের (বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন), অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্ণেল ফারুক খান (বাণিজ্য), সৈয়দ আবুল হোসেন (যোগাযোগ), ড. আবদুর রাজ্জাক (খাদ্য ও দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা), ডা. আফসারুল আমিন (নৌ পরিবহন), ডা. আ ফ ম রুহুল হক (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ), ডা. দীপুমণি (পররাষ্ট্র), নূরুল ইসলাম নাহিদ (শিা এবং প্রাথমিক ও গণশিা), আবদুল লতিফ বিশ্বাস ( মৎস্য ও পশু সম্পদ)। প্রতিমন্ত্রি হয়েছেন অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান (বন ও পরিবেশ), অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন এ বি এম তাজুল ইসলাম (মুক্তিযুদ্ধ), তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ (স্বরাষ্ট্র), স্থপতি ইয়াফেস ওসমান (বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি), ড. হাসান মাহমুদ (পররাষ্ট্র), বেগম মন্নুজান সুফিয়ান (শ্রম ও কর্মসংস্থান), দীপংকর তালুকদার (পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক) এবং আহাদ আলী সরকার (যুব ও ক্রীড়া)। মন্ত্রি পদমর্যাদায় উপদেস্টা নিযুক্ত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব হোসেন তৌফিক ইমাম, সাবেক অর্থ সচিব ড. মশিউর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আলাউদ্দিন আহমেদ এবং আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক চু বিশেষজ্ঞ ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী। বঙ্গভবনের দরবার হলে জমকালো শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার সরকার এর হতে যাওয়া রাষ্ট্রপতি প্রবীণ রাজনীতিক জিল্লুর রহমান, প্রধান উপদেস্টা, উপদেস্টা পরিষদ এর সদস্যবৃন্দ, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রি পরিষদের সদস্য, বিচারপতি, কুটনীতিক, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট নাগরিক, শিল্পী-সাহিত্যিক, নোবেলজয়ী ড. ইউনুস, তিন বাহিনী প্রধান, পুলিশের আইজিসহ প্রায় হাজারখানেক দেশী-বিদেশী অতিথি উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৫৬ এর ৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ট দলের নেতা হিসেবে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিযুক্ত করেন। শেখ হাসিনা ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা ৪৯ মিনিটে শপথ নেয়ার জন্য ওঠে দাঁড়ান এবং তাঁর শপথ শেষ হয় ৬টা ৫১ মিনিটে। নতুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ শপথপত্রে সই করেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যোগদান করেননি। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় তাজউদ্দিন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে প্রথম মন্ত্রিসভা গঠিত হয়।

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তয়ী মুক্তি সংগ্রামের পর বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্ঝন করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। এরপর দেশের শাসনভার গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু। তিনি বাংলাদেশকে একটি সংবিধান উপহার দেন। ে সংবিধানের মূল স্তম্ভ ছিল গণমতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপে।

১৯৭৩ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু সরকার দেশ পরিচালনায় সবাইকে সাথে নেন এবং গঠন করেন বাকশাল। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদী শক্তি, স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানী চক্র, আওয়ামী লীগের ভেতরের বিশ্বাসঘাতকদের যৌথ চক্রান্তে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। এরপর বাংলাদেশকে দীর্ঘ ১৫ বছর পাকিস্তানী কায়দায় পরিচালিত করে জেনারেল জিয়াউর রহমান, জেনারেল এইচ এম এরশাদ। তীব্র গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র শুরু হয়। এরপর এবারের শেখ হাসিনার সরকারের এটি পঞ্চম মন্ত্রিসভা।

১৯৯১তে বিএনপি সরকার গঠন করে। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে ১৯৯৬ সালে। এরপর ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার গঠন করার পর দেশে ব্যাপক হত্যা-নির্যাতন-সন্ত্রাস, লুটতরাজ চালাতে থাকে। দেশে উত্থান ঘটে জঙ্গিবাদের। দ্রব্যমূল্য বেড়ে যায় অস্বাভাবিকহারে।

দুর্নীতি, দলীয়করণ আর দুঃশাসনের যাঁতাকলে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। ওই সরকারের আমলেই ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যা প্রচেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও সংগ্রামী সাহসী নারী নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন ওই হামলায়। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অবাধ, নিরপে ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ল্েয ২৩ দফা দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম চলতে থাকে। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট একগুয়েমি করে একতরফার নির্বাচনের দিকে এগাতে থাকে।

এমনই পরিস্থিতিতে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় ব্যাপক অরাজকতার সূত্রপাত ঘটায় বিএনপি-জামায়াত জোট ক্যাডাররা। জোট সরকার ২৯ অক্টোবর মতা ছেড়ে দিয়ে ২২ জানুয়ারির পাতানো নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এরপর চরম এক রাজনৈতিক অরাজক পরিস্থিতিতে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি ড. ফখরুদ্দীন আহমদ এর নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে মূলত সেনাবাহিনী দেশের মতা হাতে নেয়। দীর্ঘ ২৩ মাসের অস্বাভাবিক জরুরি অবস্থায় দেশের মানুষ আরেক দফায় অতিষ্ঠ হয় নানাভাবে। সারাদেশে সেনা সদস্যের অত্যাচার-নির্যাতন, দুই প্রধান নেত্রীকে মাইনাস করার অপচেষ্টা, আর দেশব্যাপী এক বিরাজনীতিকরণের নীতির ফলে দেশবাসি বিএনপি-জামায়াত জোট আর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত¡াবধায়ক সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ হন।

এরই মধ্যে দেশব্যাপী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সোচ্চার হয়ে স্বাধীনতাবিরোধী-রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে একটা প্রবল জনমত গঠন করতে সম হয়। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ২৯৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট বিজয়ী হয় ২৬২টি আসনে। এরপর রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও মহাজোট নেত্রী শেখ হাসিনাকে সরকার গঠনের আহবান জানান। অষ্টম জাতীয় সংসদের স্পিকার ব্যারিস্টার মুহাম্মদ জমিরউদ্দিন সরকার নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের (বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নবনির্বাচিত এমপি ছাড়া) শপথ বাক্য পাঠ করান। উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা তাঁর মন্ত্রিসভায় নেয়া ৩১ জন সদস্যের মধ্যে কেবলমাত্র মতিয়া চৌধুরী, সৈদ আশরাফুল ইসলাম ও আবুল হোসেন বিগত ১৯৯৬ সালের মন্ত্রিসভায় ছিলেন।

অন্যরা নতুন মুখ। ’৯৬ এর মন্ত্রিসভায় থাকা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আবদুল জলিল, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, সাবেক শিল্পমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু, সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত মেজর রফিকুল ইসলাম, দলের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত এবারের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাননি। এবারের মন্ত্রিসভায় স্থান হয়নি দলের যুগ্ম সম্পাদক এবং সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, সাবেক সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোজাম্মেল হোসেন, সাবেক পাট প্রতিমন্ত্রী খ ম জাহাঙ্গীর, সাবেক মৎস্য প্রতিমন্ত্রী সতিশ চন্দ্র রায়, সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী রাশেদ মোশাররফ, সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ, সাবেক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. কাজী আমানুল্লাহ, নারী ও শিশু বিষয়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিনাতুন নেসা তালুকদার, সাবেক জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী রফিকুল ইসলাম, সাবেক প্রাথমিক ও গণশিা প্রতিমন্ত্রী ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভু, সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রী আবদুল আন্নান। আর আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় সংসদ সদস্যই হতে পারেননি সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সাবেক নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। নতুন বছর, নতুন সরকার, নতুন প্রত্যাশা আর বিপুল বিজয় তথা জনসমর্থন নিয়ে পথ চলা শুরু করলো শেখ হাসিনার সরকার।

তারুণ্যে ভরা এবারের মন্ত্রিসভার অধিকাংশেরই মন্ত্রনালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে নেই তেমন কোন অভিজ্ঞতা। সেক্ষেত্রে মন্ত্রিরা আমলানির্ভর হয়ে পড়ার আশংকা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভা যোগ্যভাবে দেশ পরিচালনায় কি চমক দেখাবেন সেটাই দেখার অপক্ষা। # জাহাঙ্গীর আলম আকাশ বাংলাদেশ +৮৮০১৭২০০৮৪৯৪৪ http://www.humanrightstoday.info

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।