আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ও হে শিবিরের কর্মী ভাই একটু দাঁড়াও তোমার প্রশ্নের জবাব নিয়ে যাও, চল ভাই শাহবাগে যাই

সত্য একদিন প্রকাশ পাবেই, আমি না করলে আপনি করবেন, না হলে আরেকজন করবে। প্রকাশ হবেই ব্লগে কিছু জামাতপন্থী ভাই লেখালেখি করেন, ভালকথা,। যুক্তিওপুর্নকথাগুলো আমার মত রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ লোক অবশ্যই শুনব। কাজেই যুক্তিপুর্ন দাবিগুলো লেখতেই পারো, অন্তত আমি কোন সমস্যা দেখিনা। কিন্তু মিথ্যা আর অপপ্রচার করলে খোদার কসম রেহাই পাবে না।

আগেই বলে রাখি, আমি মুসলিম এবং আমি জামাতের বিরোধী নই। ( আমার অনেক বন্ধু শিবিরের সক্রীয় কর্মী, তারা শিবিরের জন্য জেলও খেটেছে। )। কাজেই আমি শিবির বিরোধী নই। কিন্তু যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছে তাদের বিরোধী।

যারা আমার মা-বোনের ইজ্জত আর নিরীহ মানুষের জীবন নিয়েছে তাদের বিরোধী। আমি তাদের বিচার চাই যারা আমার দেশের অস্তীত্বের বিরোধীতা করেছে। কারন আমার ইসলাম বলে, দেশপ্রেম ঈমানের অংগ। এখন মূল লেখাতে আসি তোমাদের ভ্রান্ত যুক্তি: ৯ মাসের যুদ্বে ৩০ লাখ লোক শহীদ আর ২ লক্ষ নারী ধর্ষিতা! আরও অবাক ব্যাপার হলো ২ লক্ষ নারী ধর্ষনের মত ভয়াবহ ঘৃন্য কাজটি অবলিলায় সম্পাদন করেছে পাকিস্তানিদের শত্রু ভাষা সৈনিক গোলাম আযম,ভার্সিটির ছাত্র নিজামী, সাঈদী, কাদের মোল্লা এবং কামরুজ্জামান গংরা, তাও মাত্র ৯ মাসে! এদের গড় বয়স ছিল ৩০!!! আসুন একটু বিশ্লেষনে যাইঃ ৯ মাস = ...২৭০ দিন মোট ধর্ষিতা = ২ লক্ষ গড়ে প্রতিদিন ধর্ষিতার সংখ্যা = ৭৪০.৭৪ জন নারী। তার মানে গিনেস বুকে নাম ওঠার কথা,উঠেছে কি? আমাদের উত্তরঃ পাকিস্তানি বাহিনী যখন আত্মসমর্পন করে ৯৩হাজার সৈন্যসহ করে।

যুদ্ধে তারা কতজন মারা গেছে তার সঠিক তথ্য নেই। ধরে নিলাম ২০হাজার। আর এদেশীয় দোশর, রাজাকার, আলবদর, আল-শামস এদের সংখাও জানা যায়নি। এরা সারা দেশে অন্তত ২০হাজার এর মত ছিল। তাহলে মোট সংখ্যা দাড়াল(৯৩+২০+২০)হাজার বা ১লাখ ৩৩হাজার এর মত।

এখন বিশ্লষনে যাইঃ ২লাখকে ১লাখ ৩৩হাজার দারা ভাগ করলে দারায় ১.৫ এর মত। অর্থাৎ প্রতিটি দেশোদ্রহী মাত্র ১থেকে ২টা ধর্ষন করলেও সংখ্যাটি পুরন হয়ে যায়। ৯ মাসে মাত্র ২টা করতে পুরুষত্ব লাগে না। বাংলাদেশের দুর্বলতাম পুরষও তার স্ত্রীর সাথে ২বারের বেশি মিলিত হয়। এখন আপনি বলবেন, সবাই ধর্ষন করেনি।

কথা সত্য। কিন্তু অনেকেই ২এর ১০/২০গুন ধর্ষন করেছে। সুতরাং আপনার নেতারা দোষী। যেহেতু দোষী তাই তাদের শাস্তি প্রয়োজন। তাই চলুন আমার সাথে ঐ শাহবাগ চত্বরে।

তোমাদের অপপ্রচারঃ ৭০ এর নির্বাচনী ফলাফলে আওয়ামিলীগ ভোট পেয়েছিল ৯৯% এরও বেশী, তার মানে আওয়ামি ভাষায় এরা সবাই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি (যদিও নির্বাচনি ইশতেহার অথবা ঐতিহাসিক ৬ দফার কোথাও স্বাধিনতার কথাটি ছিলনা একমাত্র ৭ই মার্চের ভাষন ছাড়া), তাহলে স্বধীনতা বিরোধীরা শতকরা হিসেবে গননার মধ্যেই আসেনা! আর মুস্টিমেয় কিছু লোকই যদি ৩০ লক্ষ খুন আর ২ লক্ষ নারী ধর্ষন করে থাকে তবে তাদের শৌর্য বীর্য্য, পৌরষত্বের প্রশংসা করতেই হয়। অবস্থাদৃস্টে মনে হচ্ছে তারা এক হাতে অস্ত্র কিংবা তলোয়ার অন্য হাতে লুঙ্গি উঁচিয়ে দিবা রাত্রি দেশময় দৌঁড়ে বেড়িয়েছে...! এবং জল-স্থলে বন-বাদাড়ে যেখানে যাকে যে অবস্থায় পেয়েছে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রটি ঘেচাং করে সেঁদিয়ে দিয়েছে, ফলে আক্রান্ত ব্যাক্তি হয়তো নিহত নতুবা বীরাংগনা। আমাদের উত্তরঃ ৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৯৯% আসন পেয়েছিল, ৯৯% ভোট নয়। কারন তোমাদের প্রিয় আব্বাজানের(গোলাম আজম, নিজামী, সায়েদী ও তাদের অনুসারীরা) তাদের পিয়ারা পাকিস্তানকে ভোট দিয়েছিল। ৯ মাসে মাত্র ২টা করতে পুরুষত্ব লাগে না।

বাংলাদেশের দুর্বলতাম পুরষও তার স্ত্রীর সাথে ২বারের বেশি মিলিত হয়। কাজেই তোমার আব্বাজানদের সেই শক্তি ছিলনা যে এত বেশী (ধর্ষিতার সংখ্যা = ৭৪০.৭৪ জন নারী) ধর্ষন করবে। ধাতু দুর্বল জামাতের সে ক্ষমতা নেই। তাদের বংগবাজার থেকে বটীকা কিনে খাওয়াও। !! তোমাদের অপপ্রচারঃ গত ৪০ বছরে কেউ কি শুনেছেন অমুক স্বাধীনতা বিরোধীর হাতে অমুক মহিলার শ্লিলতাহানী ঘটেছে, অথবা অমুক নেতার হাতে আওয়ামিলীগের অমুক খুন হয়েছে? আমাদের উত্তরঃ শিবির-জামাত খুন করে নাই!! এই কথা কিভাবে বলিস রে হতভাগা?? ৭১রে তোর জন্ম হয় নাই, তাই যুদ্ধ অস্বীকার করা কে আমি খুব অযোক্তিক মনে করি না।

কিন্তু জামাত-শিবির তো প্রতিনিয়ত হত্যাযজ্ঞ চালায়। এতদিন না জেনে থাকলে আজ জেনে নে ভাই। তোর জন্যই সংগ্রহ করলামঃ ২০০০হাজার সালের পরেরগুলাই দিলাম, আগের গুলা দিলে পেজ এ ধরবে না্ । তাছাড়া তোর জন্মের আগেরগুলা তুই বিশ্বাস করবি না, তাই তোর জন্মের পরেরগুলাই দিলাম রে ভাইঃ ২০০০ / চট্টগ্রামের বদ্দরহাটে শিবির ক্যাডাররা মাইক্রোবাসের মধ্যে থাকা ৮ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে প্রকাশ্য দিবালোকে ব্রাশফায়ার করে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ২০০১ / রাবি ছাত্রী হলে বহিরাগত অনুপ্রবেশকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত ছাত্রী বিক্ষোভে সশস্ত্র ছাত্র শিবির কমীরা কমাণ্ডো হামলা চালায় এবং ছাত্রীদেরকে লাঞ্ছিত ও রক্তাক্ত করে।

অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ, ২০০১ / রাবি অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহাকে ছাত্র শিবির কমীরা হাত পা বেধে জবাই করার চেষ্টা করে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা টের পাবার ফলে, তাদের হস্তক্ষেপে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। ২০০২ / রাবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নেতা সুশান্ত সিনহাকে প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দেয় শিবির কর্মীরা। ২৫ জুলাই, ২০০৪ / শিবির ক্যাডার রবি, রোকনের নেতৃত্বে প্রায় ১৫/২০ জনের একটি দল রাবি ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত সিনহার ওপর হামলা চালায়। ইট দিয়ে জখম করার পামাপাশি তার মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেয়ার চেষ্টা চালায় শিবির ক্যাডাররা।

২০০৪ / রাবি ছাত্রী হলে বহিরাগত অনুপ্রবেশকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত ছাত্রী বিক্ষোভে সশস্ত্র ছাত্র শিবির কমীরা হামলা চালায়। ২০০৪ / অধ্যাপক মোঃ ইউনুসকে ফজরের নামাজ পড়তে যাবার সময় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। যদিও এই হত্যা মামলায় জেএমবির দুইজন সদস্যকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। তারপরও এলাকাবাসী অনেকেরই মতামত হচ্ছে ছাত্র শিবিরের ক্যাডাররাই তাকে হত্যা করেছে। উল্লেখ্য, ১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালে দুই দফায় ছাত্র শিবির তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল।

২৬ সেপ্টেম্বর, ২০০৪ / বরিশালের বাবুগঞ্জের আগরপুর ইউনিয়নের ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি শামীম আহমেদকে শিবির ক্যাডাররা হত্যা করে। ৩০ অক্টোবর, ২০০৪/ জামাতের বর্তমান রাজশাহী মহানগরের আমীর আতাউর রহমান এবং প্রক্টর নূরুল আফসারের উপস্থিতিতে ছাত্রীদের মিছিলে হামলা চালিয়ে শিবির ক্যাডাররা প্রায় অর্ধ শতাধিক ছাত্রীকে রক্তাক্ত করে। ১০ ডিসেম্বর, ২০০৫ / সন্ধ্যায় জুবেরী ভবনের সামনে রাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি এস এম চন্দনের ওপর হামরা চালিয়ে তার রগ কেটে নেয়ার চেষ্টা চালায় শিবির ক্যাডাররা। ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ / বিশ্ববিদ্যালয়ের জামাতপন্থী শিক্ষক মহিউদ্দিন এবং রাবি ছাত্র শিবির সভাপতি মাহবুব আলম সালেহীন সহ আরো দুইজন শিবির ক্যাডার মিলে একযোগে অতকিতে হামলা চালিয়ে রাবি’র ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আবু তাহেরকে হত্যা করে। ২১ আগস্ট, ২০০৬ / রাবিতে অনুষ্ঠিত ‘সেকুলারিজম ও শিক্ষা’ শীষক সেমিনারে বক্তব্য দেয়ার অপরাধে অধ্যাপক হাসান আজিজুল হককে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে শিবির।

প্রকাশ্য সমাবেশে তারা অধ্যাপক হাসান আজিজুল হকের গলা কেটে বঙ্গোপসাগরে ভাসিয়ে দেয়ার ঘোষণা দেয়। ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ / রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেনকে হত্যা করে ম্যানহোলের মধ্যে ফেলে রাখে শিবিরের ক্যাডাররা। । সুতরাং আপনার নেতারা দোষী। যেহেতু দোষী তাই তাদের শাস্তি প্রয়োজন।

তাই চলুন আমার সাথে ঐ শাহবাগ চত্বরে। আর হ্যা, নিজেকে মুসলিম হিসেবে দাবি করে এরকম অসভ্য ভাষা ব্যবহার করিস না ভাই। কারন তোর লেখা কোন অমুসলিম পড়লে ভাববে সকল মুসলিমই খারাপ। তুই আর তোর আব্বাজানের জন্য আমরা সকল মুসলিম খারাপ হতে পারব না। তাই এই অপপ্রচার বন্ধ কর।

কেননা তোমাদের আব্বাজানেরা দেশকে পাকিস্তানের অংশ করে রাখতে চেয়েও পারে নাই। তোমরাও তোমাদের আব্বাজানদের বাচাতে পারবে না। আল্লাহ তোদের হেদায়েত দিন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।