অজানা গন্তব্যহীন পথে হঠাৎ নানা ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ উদ্দ্যেশ্যের জন্ম হয় নিজের মাঝে, । সেই গন্তব্যহীন পথে নানা নতুন নতুন উদ্দ্যেশ্যের পিছনে আমার ছুটে চলা, আমার বিরামহীন পথ চলা।

সদ্য সমাপ্ত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধান দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলেই ১জন করে যুদ্ধাপরাধী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এরা দুজন হলেন, বিএনপি নেতা, চট্টগ্রাম-২ আসন থেকে নির্বাচিত সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আওয়ামী লীগ নেতা, পিরোজপুর-৩ আসন থেকে নির্বাচিত মো. আনোয়ার হোসেন। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ও তার পিতা ফজলুল কাদের চৌধুরী চট্টগ্রাম শহরে তাদের গুডস হিলস্থ বাসভবনে কয়েকশ ছেলেকে ধরে এনে ঝুলিয়ে নির্যাতন করেছেন। একাত্তরের ১৭ জুলাই ছাত্রনেতা ফারুককে ধরে পাকবাহিনীর সহায়তায় নির্যাতন করে হত্যা করেন। তিনি কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের অধ্যক্ষ নূতন সিংহ, ছাত্রকর্মী দয়াল হরি বিশ্বাসসহ অনেক হত্যা ও লুটের ঘটনায় জড়িত বলে মাহবুবুল আলম চৌধুরীর ‘বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের ইতিবৃত্ত’, সাখাওয়াত হোসেন মজনুর ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের শহর চট্টগ্রামের নির্যাতনকেন্দ্র ও বধ্যভূমি’সহ অনেক ইতিহাসগ্রন্থে বর্ণনা করা হয়েছে। সাঈদ বাহাদুরের ‘গণহত্যা ও বধ্যভূমি ৭১’ গ্রন্থে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ডা. আনোয়ার হোসেন তার সহপাঠী ও যশোর বোর্ডের কৃতী সন্তান গণপতি হালদারকে রাজাকারদের হাতে তুলে দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেন।