উন্মাদ খুলির পৃষ্ঠাগুলি
এই জগতে, এই পণ্য-কোলাহল সময়ে, যাদের চেতনার অরণ্য এখনও কাঁটাঝোপে ভর্তি, পুষ্পবৃক্ষে সমৃদ্ধ এবং পক্ষীকূলের ডানার শব্দে সারাক্ষণ রিমঝিম রিমঝিম, এমনকি তাদের সমগ্র পারিপার্শ্বিকতার অবয়ব বর্ণময় হয়ে ফুটে থাকে ওই অরণ্যময়তার করোটির ভেতর। ওখানে ওরা, যূথবদ্ধ মাছের কানকোতে যেরকম জল, যেরকম জলের বহমানতা, ঠিক তেমনি ওরা একে অপরের স্পর্শে সজীব হয়ে ওঠে।
ওই হলুদ গাঁথা চৌহদ্দীতে তারা একে অপরের গায়ের গন্ধে ভোর দেখে, বাহুতে বাহুতে আগুনের ফুলকি হয়ে ওঠা একটুকরো আকাশের মত, বা কোন আকাশই নয়, ধুধু ভাষাহীন এক মায়ার মত দ্বীপে, তারা ক্ষণিকেই চলে যায়, আবার ফিরে আসে। তাদের দৃষ্টি স্বাধীন, দেখার সীমানায় কোন পিলার নাই, পতাকা নাই, এরকম এক পরিস্থিতির মধ্যে ডমরুধ্বনি শোনে তাঁর সজাগ হয়ে থাকা কান, তবু শে গভীর রাতে দেওয়ালে কান পেতে থাকে, কীসের এক আহ্বান শে পায়, কে যেন তাকে ডাকে, যে ডাকের কোন অবয়ব নাই, অধর নাই, তাঁর রক্তের মধ্যে অনেক ফুল ফুটে থাকে, শে সেই ফুলের পাপড়িতে ক্ষণে ক্ষণে উড়ে যায়।
উড়ে গেলে তাঁর পিছনের ভাষাহীন, বাকহীন জঙ্গলে পড়ে থাকে পাথর, পাথরের স্তুপ, আর টুকরা টুকরা পাহাড়ের গা থেকে ফিরে আসা প্রণয়াহ্বানের প্রতিধ্বনি, কোথাও যেন পাহাড়ের মাটি ধসে যায়, কারা যেন পাহাড়ের পেটের ভেতর লুকিয়ে যায়, তাদের অর্ধেক ছায়া খোলা জায়গায়, দুলতে থাকে, এই দুলতে থাকা ছায়ার মায়া হলো উজ্জলের মা মরিয়ম বিবি, শে সারাক্ষণ ছেঁড়া শাড়ী পরে থাকে, এপাড়া ওপাড়া ঘুর ঘুর করে, ভূতে ধরা মানুষের মতন আওলা হয়ে একা একা কথা বলে, হাসে..।
কখনো কখনো পা টিপে টিপে হাটে। পোষা বেড়ালটার লোমের ভেতর ঢুকে পড়ে তাঁর অন্তর্গত দেখার সীমানা।
আর গভীর ঘুমের ভিতর উপুড় হয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে অঝোরে কান্দে, যেহেতু তাঁর কান্না ছাড়া অন্য কোন উপায় নাই, তাই সে কান্দে আর কান্দে, আর অতি গোপনের সাথে উজ্জলের বাপকে মনে পড়ে গেলে তাঁর কান্নার স্রোত আর থামতেই চায় না..এমতাবস্থায় উজ্জলের বাপ, শহরে, ঝলমলে থলথলে নিতম্বের বাথরূমে হালাল সুগন্ধী সাবানের ফেনায় বঙ্গ রাজকুমারীদের গাল ঘষতে ঘষতে ভরিয়ে তোলে মনের অজান্তে, তাতে উজ্জলের মা মরিয়ম বিবিকে আর চেনায় যায় না। আগুনের পাখিগুলি বাথরুমের জানালা দিয়ে একে একে উড়ে যায় খোলা আকাশে, এই ছিন্ন হয়ে যাওয়া নিজের সাথে নিজের মনকুপে পানির ট্যাপ থেকে জল পড়ার টুপটুপ শব্দে ভরে ওঠে।
এর ফলে অদ্ভূত কোমলতার শিহরণ শিরার ভিতর উত্তেজনার ঢেউ হয়ে নিরবে মনো নদীর পাড় ভাঙতে থাকে, পাড় ভাঙতে ভাঙতে এক সময় দেখা যায় সেই ভাঙা পাড় অখ্যাত দুধকুমার নদীর মতো অবিকল ভূরূঙ্গামারীর সোনাহাট ব্রিজের নিচে টান টান হয়ে শুয়ে পড়ে।
আর ঠিক তখনই তাঁর বুকের উপর দিয়ে নানা জাতের চঞ্চল স্রোত বয়ে চলে যায় ভারতের দিকে, এই সময় দেখা যায় সোনাহাট ব্রিজের উপর একজোড়া দরিদ্র গবেষকের শিয়ালের মতো লাল চোখ, তাদের চোখের দুষ্ট দৃষ্টি দুধকুমার নদীর জলে সাঁতার কাটতে কাটতে এক সময় পৌঁছে যায় নদী ঘেষা গ্রাম হেলোডাঙার ভূমিহীন তালেব আলির কুড়ে ঘরে আর তখন হই হই করে ওঠে গ্রামের বয়স্ক পুরুষেরা।
আর গ্রামের তাবৎ সম্মানীয় মহিলাগণ ঝাটা হাতে মিছিলের ভঙিমায় এদিক ওদিক উঁকি ঝুঁকি দিতে শুরু করে। আর পশ্চিমের আকাশে লাল, গোলাকার থালার ভেতর জড়ো হতে থাকে, অসংখ্য মানুষের মুখ, দেহভঙ্গি। এবং উক্ত ঘটনা যখন দ্রুত মহামারীর মতো দিকে দিকে, কর্পূরের মতো ছড়াতে থাকে তখনই হেলোডাঙা নিঝুম গ্রামের মধ্যে সাপের দেহভঙ্গির মত কেয়ার বাংলাদেশ এর চকচকে টাকা দ্বারা নির্মিত কাঁচা রাস্তার উপর দিয়ে চায়না মটর সাইকেলের নাগরিক শব্দ ভেসে আসতে থাকে, মটোর সাইকেলের বিদঘুটে আওয়াজে নিঝুম প্রতিবেশের নাভিতে উথলে ওঠে দূষণের ঘোড়সওয়ার, যার দরূন ৮৮ সালের বন্যার পর যে রকম গ্রামময় জল আর জল থই থই করেছিল, সে রকমই হেলোডাঙার পুরুষ-মহিলাগণের চোখ সেই চায়না মটর সাইকেলের নাগরিক শব্দে থই থই করতে শুরু করলো, তার ফলশ্রুতিতে হেলোডাঙার স্কুলগামী শিশুরা সব বই খাতা ফেলে চায়না মটর সাইকেলের নাগরিক শব্দের পিছু পিছু ছুটতে লাগলো..
এরকম হৈচৈ আর রৈরৈ কোলাহলে নিজের ভেতর মগ্নতার খোলশ থেকে বের হয়ে তালেব আলির বউ শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে শিশুদের দৌঁড়ানো দৃশ্যের দিকে তাকিয়ে থাকলো আর কেয়ার নির্মিত বালু রাস্তার উপর হঠাত করে চায়না মটর সাইকেলেটা পিছলে পড়লে, ছেলেমেযেগুলি ডাঙগুলির মতো হো হো করে হেসে ওঠে, এই হাসি প্রচন্ড বৃষ্টির শব্দের মত, এরফলস্বরূপ বেড়ার ফাঁক দিয়ে ফুলি যা এতক্ষণ ধ্যানস্থভাবে গভীর মনোযোগের সহিত দেখছিলো, তাতে সেও না হেসে পারলো না।
এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সারা হেলোডাঙা গ্রামে ছড়িয়ে পড়লো যে ঢাকা থেকে দু'জোড়া চোখ সম্পন্ন, রেডিও'র মতো কথা কই, সেই সাথে লাল চায়না মটর সাইকেল; এক জোড়া লোক এসেছে।
তাদের মাথায় একজনের লাল ক্যাপ অন্য জনের হলুদ। তারা জানতে এসেছে এগ্রামের কে কেমন আছে, কার কি কি সহায়-সম্পদ আছে, তাদের দিনকাল কেমন করে চলে এই সব তারা বিস্তারিত জানতে চাই।
এরই মধ্যে চৌদ্দ বছরের জহির উদ্দীন, যে কালো কুচকুচে, স্বভাবে লাজুক, মিষ্টি করে হাসে, যার মুখে সবসময় হাসি লেগে থাকে; সে লুঙ্গি কাছা মেরে ধানের ক্ষেত থেকে ”ধর, ধর শালাদের ধর” বলে দৌঁড়াতে থাকে দুধকুমার নদীর দিকে , এর মধ্যে এই কথাও চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে তীরের গতির মতো। তাঁর হাতে ধান কাটা কাস্তে, মাথায় বাঁধা লাল গামছা, সে দৌড়াচ্ছে আর চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে বলতেছে ”ধর শালাদের ধর” । এই দৃশ্য অগোচরে ঘটতে থাকলে হয়তো তালেব আলির নব বিবাহিত কন্যা মরিয়ম বেড়ার ফাঁক দিয়ে অঝোরে হাসতেই থাকতো..কিন্তু এই দৃশ্য মরিয়ম দেখে ফেলার পর পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই তালেব আলির চোখও সাপের ফনার মতো সেদিকে ছুটতে থাকে।
এর ফলে একজোড়া ঢাকা থেকে আসা লাল ক্যাপ, হলুদ ক্যাপ ভদ্রলোকেরাও তাদের দুজোড়া চোখ প্রসারিত করে ধরে জহির উদ্দীনের কাছা দেওয়া লুঙ্গির দিকে। আর এ ঘটনা যখন বাইযোস্কপের মতো দৌঁড়াচ্ছে তখন এরই মাঝে আর একটি ঘটনা অলরেডি ঘটে গেছে, তা হলো দিনমজুর আফসারের বউ নাকি সাত নম্বর বাচ্চা বিয়ানোর সময় মারা গেছে, মরার আগে তাঁর চোখ দুটি নাকি ফুট বলের মতো লাফাচ্ছিল, তাঁর চোখের মধ্যে নাকি নতুন কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিকের শাদা চুন করা বিল্ডিং দৃশ্যের মতো পরিবার পরিকল্পনার কনডম বিক্রি করা এক মহিলার ছবি দেখা গিয়েছিল!
এ কথা করিমনের মা সারা গ্রামের মানুষের মধ্যে ছড়াতে লাগলে-জহির উদ্দীনের কানেও বাতাসের মতো সে কথা পৌঁছে গেলো.. যার ফলে জহির উদ্দীন দুধকুমার নদীর পাড় ঘেষে ”ধর শালাদের ধর” বলতে বলতে দৌঁড়াতে থাকে, তাঁর পাজোড়া বালুর ভিতর তলাতে থাকে, শরীরের ভিতর এক ধরনের উত্তেজনা দৌঁড়াতে থাকে আর দৌঁড়াতে থাকে..এক সময় দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে চৌদ্দ বছরের জহির উদ্দীন হঠাত করে নদীর পাশে বালু জমির উপর পড়ে যায় এবং অজ্ঞান হয়ে পড়ে, এই কথা শোনার পর তালেব আলির বউ উজ্জলের মার মতো ফুঁফিয়ে ফুঁফিয়ে কানতে শুরু করে দিলে, জহির উদ্দীনের স্বপ্নের সংসার, যা বর্তমানে তাঁর উপরই পুরোপুরি নির্ভরশীল, সেই সাধের সংসারের পুরোটাই ঢাকা থেকে আসা এক জোড়া লোকের সামনে একবারে আউলিয়ে পড়ে, এমনভাবে আউলিয়ে যায়-যার জন্য ঐ সংসারের সমস্ত ফুটোগুলি তালেব আলির ঘরের চালের ফুটোর মতো স্পষ্ট হয়ে পড়ে।
এ দিকে বৃদ্ধদের মুখে মুখে লাল পরী, নীল পরীর গল্প টইটুম্বর হয়ে ফুটতে থাকে, ভাবগম্ভীর হয়ে তারা বলতে থাকলো শেষ পর্যন্ত ”ছেলেটারে পরীত ধরলো, তালেব্বা কি করে? ” এই ঘটনা সারা গ্রামে দ্রত ছড়াতে থাকলে গ্রামবাসি সকলের মুখমন্ডল কেমন থমথমে আধারের মতো হতে থাকলো, আর তালেব আলি তখন মনু কবিরাজের বাড়ির দিকে হন্তদন্ত হয়ে ছুটতে লাগলো।
যে ঘরে জহির উদ্দীনের অজ্ঞান হওয়া দেহটা রাখা, তা চার শতাংশ জমির উপর নির্মিত, যা মাতবর আলতাব মোল্লার বাঁশবাগানের একাংশ, এখানেই তালেব আলির দুটো ঘর। একটা জহিরের মা-বাবার, অন্য আর একটা ঘরের এক অংশে একটা আধি রাখা গাভী, একটা বাছুর এবং অন্য অংশে জহির উদ্দীনের ঘুমানোর জায়গা কাম রান্না ঘর হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বর্তমানে কোন হাঁস মুরগি নাই, যা কিছুদিন আগেও ছিল, একদিনের রোগে সবগুলি মুরগি মারা গেছে। শেষে একটা পাতি হাঁস ছিল তাও সপ্তাহ আগে জবাই করা হয়েছিল, যেদিন একমাত্র জামাই রহমত আলি রাতের বেলা বেড়াতে এসেছিল সেদিন কারণ সে সারা দিন কামলা দেয়, বেড়ানোর জন্য দিন তাঁর নাই। আর একটা জক কল পুতা আছে জহির উদ্দীনের ঘরের পাশেই, যেটা দু’বছর আগেও ছিল না। তালেব আলির পাশের বাড়ি জহিরের চাচার, তাঁর কল থেকেই পানি এনে সংসারের চাহিদা মেটাতো তালেব আলির বউ। একদিন তাঁর চাচা নামাজ পড়তে যাবার সময় আধি নেওয়া গাভীর চুনার ছাট পড়েছিল তাঁর গায়ে, তার ফলে জহিরের বাবার সাথে চাচার কথা কাটাকাটি হয়, এবং তারপর থেকেই পানি নেওয়া বন্ধ করে দেয়।
তার কিছুদিন পরে তালেব আলি সাত’শ টাকা ঋণ করে এই জক কলটি বসায়। কল বসানো শ্রমিকদের তামাটে মুখের মতো জহিরের শ্বাস উঠছে আর নামছে। তাতে মরিয়মের ফোপানিটা আরো বাড়ছে। ফোপানির সঙ্গে সঙ্গে যৌতুক বাবদ যে নয় হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে জামাই রহমত আলির বাবার হাতে, সেই টাকাগুলি যেন ফোপানির শব্দে সারা ঘরের ভিতর উড়ছে আর উড়ছে। আর টাকার গন্ধে আত্মীয় স্বজন ও গ্রামবাসির নির্লিপ্ত মুখমন্ডলগুলি পলেস্তারা খসে পড়া দেয়ালের মতো ফ্যাকাশে হতে থাকে, সেই সঙ্গে দুই বছর আগে জহিরের সরল মুখের চাহনি, যে সময় সে, জহির উদ্দীন, রাখালের কাজ করতো শুধু খাওয়ার বিনিময়ে, সেই সময়কার মুহূর্তগুলি মরিয়মের দুচোখে এই সময় এমন ভাবে ভিড় করছে, তার ফলে, বাইস্কোপের মতো মরিয়ম ফোপাতেই থাকে, তাঁর সবকিছু মনে পড়ছে..যেনো জহির প্রাইমারি স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছে, বগোলে বইখাতা, আর ক্ষুধার্ত ভঙ্গিতে মাকে বলছে ”মা ক্ষিদা পাইছে” , জহির উদ্দীন দু’বছর প্রাইমারিতে পড়েছে, এখন সে নাম লিখতেও পারে না, এই সব দ্যুতির ছাট এসে মরিয়মের কান্নাটাকে আরো গতি দিচ্ছে।
এই গতি অন্ধকারে কোটি বছরের হরমোনের ন্যায় চঞ্চল। তাঁর মন কাঞ্চনে বৃষ্টি মুখর গুহা রাত্রির স্বরব সচলতা, উজ্জলের মায়ের মনের মতো, আমাদের প্রাণে বয়ে আনে স্বপ্নীল চিলের অবিরাম গতি, যার মধ্যে আমরা প্রাণে প্রাণে মিলি, মিলনের মহত্তম ডানার সঞ্চলনে গভীর ভাবের মধ্যে তুমি লাবণ্য ছড়াও আমি তাঁর গুণসিক্ত অবয়বে ঠান্ডা স্পর্শের মতো অধর ছুঁয়ে তোমরই নাম জঁপি, হাতের ভেতর হাত হয়ে ওঠে সাপ, জেব্রা লাইন।
আমাদের পূর্বপুরুষগণের মাথার খুলিরাও তোমার বহু দূরের আকাশে মেঘের শ্লোকের মতো যে শ্লোকের পানিসিঞ্চন সঙ্গীতের আরাধনায় তুমি আমি আজ সমস্বর-যুথচারি, সেই শ্লোক সময়ের বিপরীত আকাশের জালালী কৈতর, জহির উদ্দীনের মগজের ভেতর ওড়ে, উজ্জলের মায়ের নথে ফুটে থাকে, ঢাকার গবেষকরা, লাল ক্যাপ, হলুদ ক্যাপ, তারা চায়না মটোরসাইকেলে ঘোরে, কে কেমন আছে জিজ্ঞাসা করে বেড়াই...
তোমার রক্ত রাগের আবেগে যুথচারি বিন্যাসের গুঞ্জনে, গুহা পুরির জানালায় বহুমাত্রিক জলছাপ সদৃশ জহিরের মুখ ভেসে ওঠে, উজ্জলের মা গভীর রাতে, একা একা কানতেই থাকে, তাঁর মুখের নির্জনতায় শহরের মানুষেরা ঘুম থেকে জেগে ওঠে..বাথরুমে জল পড়ার শব্দে শহর মুখরিত হয়।
রচনা সময়কাল: ২০০২-২০০৪
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।