ছায়া ছায়ায় পথ হেটে চলি--ছায়া আমার সামনে ও পিছে।
ছেলেটা এখনো অনেক ছোট। তারও ছোট আরেকটা ছেলে। ভাই। মা নেই।
বাবাও না। ছেলেটার বড্ড কষ্ট। কঠিন রোগ হয়েছে তার ছোট ভাইয়ের। তারও। তার মা-বাবা, সবার একই রোগ।
কঠিন রোগ, গরিব রোগ। দুঃখ রোগ। বোনেরও। উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়ে আসা এ সমাজেরই রোগ- এই গরিব রোগ।
ঈশ্বর তাদের পাঠিয়েছেন এই রোগ দিয়ে, আবার নিয়ে যাবেন এই রোগ সহকারেই।
তিনি মানুষকে নিয়ে খেলতে ভালোবাসেন। বৈষম্য নিয়ে খেলা করাই ঈশ্বরের উদারতা!
ছেলেটা অন্ধগলিতে পরে থাকে, দিন-রাত। পকেটে টাকা নেই, থাকলে হয়তো আবেগি হওয়া যেত। তা হতে পারে না। কারণ ওই একই, গরিব রোগ।
আবেগ তার গলা চেপে প্রতি চব্বিশ ঘণ্টায় হত্যা করে তিন বার। সকাল-দুপুর-রাত। এই তিন বেলা।
ঈশ্বর নাকি সব দেখেন! তাহলে তিনি চন্দ্রিমা রাতের সেই মেয়েটাকেও দেখেন। বোনটাকেও দেখেন।
দেখেন তার গরিব রোগটাকে। শরীরি রোগ। দেহ বেচার রোগ। আহ্ কি সুখ...। দেহের সুখ।
গরিব সুখ! বেচা-কেনার সুখ! ঈশ্বর দেখেন। প্রতি চাহনীতে করেন পূর্ণিমা ধর্ষন। প্রতিদিন তারা শত সহস্রবার হন ধর্ষিত। যতবার ঈশ্বরের দৃষ্টি যায় ততবারই তারা ধর্ষনের স্পর্ষ অনুভব করেন। গরিবি ধর্ষন! ঈশ্বরের ধর্ষন!
মেয়েটা প্রথব যেদিন ধর্ষিত হলেন সেদিন পরিণত হন নারীতে।
বারবার ধর্ষিত হয়ে হলেন বেশ্যা। সমাজে যারা অনেকের কাছে অস্পৃশ্য।
আর বেশ্যারা ধর্ষিত হলে হয় ঈশ্বর। মেয়েটা ঈশ্বর হতে পারে না। পারে না তার ছোট ভাই আর মা-বাবার কারণে।
গরিব রোগের কারণে। শিকড়ের বন্ধনে আটকে পড়ে থাকে তারা। অথচ ঈশ্বর হতে পারলে এ সমাজ তার প্রার্থনা করতো।
তার ভাই, তারও ছোট ভাই- সবাই হতো সমাজের এক একজন ঈশ্বর।
মেয়েরা ধর্ষিত হয়ে হয় নারী।
নারীরা ধর্ষিত হয়ে হয় বেশ্যা। আর বেশ্যারা ধর্ষিত হলে হয় ঈশ্বর। আমি ওই ঈশ্বরকেই প্রার্থনা করি!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।