!!!
১৯৯২-৯৩ সালের ঘটনা। ছাত্রদল-ছাত্রলীগের মারামারির কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ। তবে কোন কোন বিভাগের কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব কিছু কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই সময় একজন তরুণ বইপত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলেন দুপুর বেলা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে টহল পুলিশ কর্তৃক বাঁধাপ্রাপ্ত হলেন।
জানতে চাওয়া হলো কোথায় যাচ্ছেন? উত্তরে জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন। তাঁকে বলা হলো বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ, ভিতরে প্রবেশ করা যাবে না। তরুণ জানালেন, তিনি এমবিএ পরীক্ষার্থী। আজ তাঁর পরীক্ষা। অতএব তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হোক।
ঐসময় এমবিএ বিষয়টি খুব বেশী পরিচিত ছিল না। পুলিশের গাড়ীর ভিতর থেকে একজন কনস্টেবল বললেন-আরে ব্যাটাতো মিথ্যা বলছে। এমএ-বিএ কেউ একসাথে পড়ে !? আরেকজন কনস্টেবল বললেন-ব্যাটা মিথ্যা কথা বলছে। এমএ-বিএ কেউ একসাথে পড়ে না। তাকে গাড়ীতে তোলা হোক।
তরুণের কোন কথাই গ্রাহ্য করা হলো না। তখন শাহবাগ থানা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হলো রমনা থানায়। এবং সোজা লকআপে ঢুকিয়ে দেয়া হলো
একসময় পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) থানায় আসলেন। তিনি ঘটনা শুনলেন।
এসি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হওয়ায় দ্রুত ঘটনা আঁচ করতে পারলেন এবং সসম্মানে সেই তরুণকে থানা হাজত থেকে মুক্ত করলেন। কিন্তু ততক্ষনে দু’ঘন্টা পেরিয়ে গেছে। তাঁর আর পরীক্ষা দেয়া হলে না। তবে পরবর্তীতে তরুণ এমবিএ ডিগ্রী অর্জন করতে পেরেছিলেন।
______________________________________________
পাদটীকা: সেই তরুণ বর্তমানে তাঁর কর্মীবাহিনী, যারা তাঁকে একদা হাজতে ঢুকিয়ে ছিল, নিয়ে দুষ্টের দমন করেন এবং প্রয়োজনে দুষ্টকে লকআপেও ঢোকান
______________________________________________
কৈফিয়ত: সেই তরুণ কিন্তু আমি নই
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।