আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘুম ও বিশ্রাম

শরীর ও মনকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য ঘুমের প্রয়োজন। দৈনন্দিন জীবনে পরিশ্রমের ফলে আমাদের শরীর ক্ষয় হয়। তাই আমরা অবসাদগ্রস্ত হই। এই ক্ষয় পূরণের এবং কর্মোদ্যম পুনর্জীবিত করার জন্য পূর্ণ বিশ্রামের প্রয়োজন। পরিশ্রমের পর বিশ্রাম করলে ক্ষয়প্রাপ্ত কোষগুলো পূর্বাবস্থায় ফিরে আসার সুযোগ পায়।

বিশ্রামে শারীরিক ক্লান্তি ও মানসিক অবসাদ দূর হয়। খাওয়ার পরই পরিশ্রম করা উচিত নয়। এ সময় আমাদের তন্ত্রীগুলো পরিপাক ক্রিয়ায় ব্যস্ত থাকে। ঘুমের সময় আমাদের শরীর ও মন বিশ্রাম পায়। প্রকৃতপক্ষে ঘুম আমাদের মস্তিস্ককে বিশ্রাম দেয়।

তবুও মস্তিস্কের কিছু অংশ কর্মরত থাকে বলে আমরা স্বপ্ন দেখি। যদি স্বপ্নবিহীন ঘুম হয় তাহলে বুঝতে হবে মস্তিস্ক পূর্ণ বিশ্রাম লাভ করেছে। কিন্তু মেরুরজ্জু এবং সয়ং সচল যন্ত্রগুলো ঘুমের মধ্যেও কাজ করে। ঘুমের জন্য এমন পরিবেশ প্রয়োজন যাতে ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটে। যেমন, মশার হাত থেকে রক্ষার জন্য মশারি, গরমের সময় বাতাস, শীতের সময় গরম বিছানা ইত্যাদি।

পরিমিত ঘুম ও বিশ্রাম যেমন শরীরের জন্য উপকারি, তেমনি অতিরিক্ত ঘুম ও বিশ্রাম স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আমাদের গ্রীষ্মপ্রধান দেশে সাধারনত মধ্যাহ্ন ভোজনের পর শরীর অবসন্ন হয়ে পরে। সেজন্য অনেকে দিবা নিদ্রায় অভ্যস্ত হয়ে পরে। দিবা নিদ্রা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তবে অল্পক্ষনের জন্য হলেও বিশ্রাম কঠোর পরিশ্রমকারীদের জন্য শ্রান্তিনিবারক।

অধিক ঘুমালে শরীর অলস হয়ে পড়ে। কাজকর্মে উৎসাহ পাওয়া যায় না। হাত, পা ও শরীরে ব্যথা অনুভব হয়। এমনকি বিভিন্ন সন্ধিস্থলে এক প্রকার রস জমে ব্যথার সৃষ্টি হয়। বেশি বিশ্রাম নিলে ক্ষুধা কম লাগে এবং কাজেও মন বসে না।

বিশ্রামের সময় শরীরের হজম ক্রিয়া ধীরে হয়। ফলে দেহের অক্সিজেন খরচ কম হয় অর্থাৎ টিস্যুগুলোতে কম অক্সিজেন যায় ও কম কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়। তখন থেকেই ক্ষুধা মন্দাভাব শুরু হয়। এ থেকে বিভিন্ন রকমের অসুখ দেখা দেয়। এজন্য প্রত্যেক মানুষের প্রয়োজন পরিমিত ঘুম ও বিশ্রাম।

 ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।