বন্ধ জানালা, খোলা কপাট !
অভিনন্দন জনতা :
নেতা বা নেত্রীকে নয়, আমি অভিনন্দন জানাই সেই কৃষিজীবীকে, সেই মৎসজীবীকে, সেই মজুরকে, সে রিক্সা- আর ঠেলা চালককে, সেই ভূখা মানুষকে, দূর্নীতি আর যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে নিজের হাতের সেরা অস্ত্র, নিজের রায় দিয়ে যিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, বুঝিয়ে দিয়েছেন, যুদ্ধাপরাধী আর দূর্নীতিবাজ লুটেরাদের স্থান বাংলা মায়ের পবিত্র বুকে হবেনা । আমার নতজানু সম্মান তাঁদের জন্য ।
১৫ কোটি সন্তানের হে জননী !
আজ হয়তো তোমার সুখের দিন । ভীষণ সুখের দিন হয়তো তোমার । তোমার সন্তানেরা আজ জেগেছে, দিন বদলের ডাকে তুমুল সারা দিয়েছে, পরিবর্তনের ডাকে তারা ভাসিয়ে দিয়েছে তোমার বুকে পাথরের মতো চেপে থাকা যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের ।
তোমার ১৫ কোটি সন্তানের এই পরিবর্তনের রূপে, এই জবাবে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, তোমার সবচে’ উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত সরকার নামক পরিচালকটি যদি রাজাকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না করে এড়িয়ে যায়, যদি বিচার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে জনগণই যুদ্ধাপরাধীদের রুখে দিবে, ঠিক এইভাবে ! আস্তাকুঁড়েতে নিক্ষিপ্ত হবে সরকার নামের পরিচালকটিও ! তবে, সরকার ব্যর্থ হবে এই শঙ্কা আমরা বাচিয়ে রাখতে চাইনা,আমাদের এই শঙ্কা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হোক, মৃত্যুবরণ করুক মনেপ্রাণে তাই চাই !
নতুন সূর্যোদয় :
আজকের এই নতুন দিনের, নতুন সূর্যোদয়ে, এই নতুন বছরে একটা নতুন বাংলাদেশের জন্য তোমার ১৫ কোটি সন্তানের ৩০ কোটি চোখের তারায় স্বপ্ন খেলা করে । সামনের পথটাকে আমরা পরিস্কার দেখতে পাই । পথটা মসৃন নয়, কিন্তু, উজ্জ্বল ! আজকের এই হিমশীতল, আর শুভ্র ভোরে দাড়িয়ে আমরা আশা করি, শুভ কামনা করি, তোমাকে পরিচালনার দায়ভার যার কাঁধে তুলে দিয়েছি আমরা, সেই পরিচালক সরকার যুদ্ধাপরাধীমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশ আমাদের দিতে সক্ষম হবে, প্রয়োজন শুধু যথেষ্ট সদিচ্ছার ।
আশায় বাঁধি বুক :
মা, আমরা আশায় বুক বাঁধি, কারণ আমরা আশার আলো দেখতে পাই । যখন, দেশের নতুন পরিচালক, ‘দারিদ্রকে প্রধান শত্রু হিসাবে অভিহিত করে সুখী দেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন’।
‘বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠার’ অঙ্গীকারাবদ্ধ হন । যখন তিনি বলেন,- ‘শান্তি ছাড়া প্রগতী সম্ভব না’, যখন তিনি,-‘বিরোধীদলকে সংখ্যা দিয়ে বিচার না করে একসাথে দেশ গড়ার কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান’, ‘প্রয়োজনে বিরোধীদল থেকে মন্ত্রী নিয়োগের আশ্বাস দেন’, তখন আমরা ভীষণ আশাবাদী হয়ে উঠি। আশাবাদী হয়ে উঠতে ভালো লাগে আমাদের । আমাদের ভাবতে ভালো লাগে, আমরা ভাবতে চাই,--সারাটা বছর এরকম উদারতায় সমুজ্জ্বল থাকবেন তিনি । তাহলে, আমাদের উন্নতির পথ রূদ্ধ করে, সাধ্য কার ।
আমাদের বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে, আর কখনই যুদ্ধাপরাধী রাজাকার-আলবদররা, দূর্নীতিবাজরা, সন্ত্রাসীরা সুবিধা করতে পারবেনা । দূর্নীতিবাজ যেই হোক, তার শাস্তি সে পাবে এই বিশ্বাস দৃঢ় হয় আমাদের ।
‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারতো জনগণ অলরেডি ভোটের রায় দিয়ে করেছেই, তারপরও আইনের আওতায় যতদূর করা যায়, আমরা করবো’-মা, তোমার নতুন পরিচালকের এই কথায় আমরা খানিক হতাশ হই । কেমন যেন, আত্মবিশ্বাসহীন হালকা চালের কথা মনে হয় । তোমার নতুন পরিচালকের কাছ থেকে আমরা চাই , জোরালো বক্তব্য,-“যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অবশ্যই আমরা করবো, এই বাংলার মাটিতেই !” এরকম আত্মবিশ্বাসী বক্তব্য আর, তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নতুন পরিচালক কাজ করবেন, সেদিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে ৩০ কোটি চোখ !
শুভনববর্ষ : শুভদিন
মা ! আজকের এই অন্যরকম নতুন ভোরে, হলদে রাঙ্গা সূর্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আমি তোমাকে কথা দেই, তোমার ব্যাথাতুর বুক যুদ্ধাপরাধীদের ভারমুক্ত হবে ।
দূর্নীতিমুক্ত হবে । আমি তোমাকে কথা দেই,আমি কোন দূর্নীতি করবোনা ! আমি তোমাকে কথা দেই , সামনে আমাদের শুভদিন ! এই নবীন সূর্যের আলোয় আলোকিত তোমার সন্তানরা কিছু ভালো লাগা শব্দ তোমাকে উপহার দিক- শুভ নববর্ষ, মা জননী !
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।