খুব সকালেই ঘুম থেকে উঠে দেখতে গেলাম ভোট কেন্দ্রের পরিস্থিতি। ভোট দেবার ইচ্ছা ছিল দুপুরের পর।
দেখি সকাল আটটার আগেই বি-শা-ল লম্বা লাইন। "নাঃ এখন ভোট দেয়া যাবে না। " এম্নি ঘুরাফিরা করছিলাম।
কিন্তু সকাল আটটা বাজতেই দেখলাম লাইন ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছে, পুলিশ বিভিন্ন পাড়া / রাস্তা হিসেবে লাইন ধরতে বলছে। আমিও লাইন ধরে দেখলাম বেশ সামনের দিকেই আছি। সঙ্গে কোন স্লিপ নেই বা আই.ডি কার্ডও নেই; কিন্তু সিরিয়াল নং মোবাইলে আগেই save করে রেখেছিলাম। মোবাইল অফ করে রুমে ঢুকলাম।
ভোটার স্লিপ নেবার ইচ্ছা ছিল না, কারণ ওখানে কোন একটি দলের মার্কা মারা ছিল, রাজাকারী জোট বা স্বৈরাচারী জোট দু'দলেরই স্লিপ ছিল।
আর কোটি কোটি টাকা খরচ করে আই.ডি. কার্ড করার পর এখন জানায় আই.ডি. কার্ড প্রয়োজন নেই, তবে থাকলে ভাল হয়। তাই সবসময় আই.ডি. কার্ডের ফটোকপি কাছে রাখলেও ওখানে নিয়ে যাইনি। সিরিয়াল নং বলাতেই পোলিং এজেন্টরা মিলিয়ে দেখলেন, পোলিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসাররাও বিভিন্ন তথ্য জিজ্ঞাসা করে আই.ডি. কার্ড না থাকাতে ছবি খুটিয়ে খুটিয়ে মিলিয়ে দেখলেন।
ভোট দিলাম। কোন জোটকে না, "না" ভোটকেও না।
একজন বীরপ্রতিক মুক্তিযোদ্ধা স্বতন্ত্র প্রার্থীকে। জানি তিনি জিতবেন না। .... ...কিন্তু এক মানসিক তৃপ্তি আছে।
ভোট দেয়ার বাসায় এসে নাস্তা করলাম। বাসার সবাই এরপর ভোট দিয়েছে।
ভাই-ভাবী আর ফ্রেন্ডদের নিয়ে আশেপাশের কেন্দ্রগুলোতে ঘুরাফিরা করলাম। আর ঝালমুড়ি, চানাচুর, আইসক্রিম খেলাম; যেন একটা মেলার আমেজ চারদিকে।
সকলকে ভোট মোবারক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।