ঠিক কী রকম প্রতীক্ষায় দু:খ বিলাসিনী নদীটাকে, নীল
দংশনের হাত থেকে রক্ষা করা যায় আমার জানা নেই।
নিরন্তর বয়ে যাওয়া নদীটা কখনো আবেগশূন্য হতে পারেনি
প্রতিনিয়ত তার বুক চিরেছে জলযান, বোধহন্তারক দস্যু
অথচ দু:খ বিলাসী নদী কখনো না সূচক মাথা নাড়েনি
কেননা দু:খ তার অনেক বেশী প্রিয়। ফোটা ফোটা বিষ
বোধের সাথে মিশে হয়ে উঠেছে অমৃত। দু:খবিলাসিনী
প্রতিদিন পান করে অমৃত, যা তাকে ধাবিত করছে মৃত্যুর দিকে
বুকে জেগে উঠছে চর, অথচ নদীটা জানেনা ক’দিন পর
সে নাব্যতা হারাবে। আমি এতে শোকের শ্রাদ্ধ করে ক্ষীন
আলোকরশ্নি দেখি।
চর জেগে গেলে কিছু না হোক
তার বুক চিরবেনা আর যান্তব জলযান, আসবেনা বোধ
হন্তারক দস্যু, শুধু বুক চিরে চিরল একটি স্রোত বইবে
যাতে প্রতিদিন আসা যাওয়া করবে, দু:খ বিলাসিনী'র কাতর
প্রেমিক, যার সাথে তার সমুদয় মহাজাগতিক লেনদেন।
যাতে নেই কোন হিসেব কষার বোধহীন অবান্তর ব্যস্ততা।
দু:খবিলাসী নদী তুমি হয়ে ওঠো তোমার মত
তোমার আমিত্বের অহংকার এখনো সান দেয়া
ছোরার মত ধারালো। যা কিনা তোমাকে করবে
অনেক বেশী দু:খবিলাসিনী। যে দু:খ অনেক বেশী
পাওয়ার, যে দু:খ অনেক শুদ্ধ ভালোবাসার।
অনেক বেশী সুখী হলে একজন যেভাবে দমকে
দমকে কাঁদে, তুমি সে সুখকান্নায় ভাসো
দেখবে আবার তোমার নাব্যতা বাড়বে। ছলাৎ
ছলাৎ করে উঠবে তোমার জল, যে জলে
আলোক জ্বলে, যে জলে নৌকা ভাসায়-
শুধু দুঃখ হন্তারক একজন, যে কিনা
তোমার হয়ে উঠবে। শুধু তোমার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।