আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আল বদর বাহিনীর প্রধান মইত্যা রাজাকার একজন পেশাদার লেখক

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি

নুতন নির্বাচনী আইনের সুবাদে আমরা আম জনতা রাজনৈতিক নেতাদের বিভিন্ন তথ্য জানতে পারছি। ব্যক্তিগত ভাবে আওয়ামীলীগ আর বিএনপির নেতাদের বিষয়ে তেমন একটা আগ্রহ পাইনি। কারন এরা কখনই বলেনা এরা সৎলোক বা সৎলোকের শাসন কায়েম করবে। অন্যদিকে বাংলাদেশ জামাতী ইসলামী নামেক একটা দল বিগত তিন দশক ধরে দেশ সৎলোকের শাসনের কথা বলে আসছে। "এই সৎলোকদের" বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে গিয়ে বেশ কিছু মজার তথ্য পেয়েছি - যাতে দেকা যাচ্ছে এরা আর্থিক বিষয়ে সবচেয়ে অসচ্ছ জীবনযাপন করে।

হলফনামায় মিথ্যচার করে বিভিন্ন পেশার পরিচয় দিলেও এরা হলো পেইড রাজনীতিক নেতা। দল থেকে মাসিক বেতন আর অন্যান্য সুবিধা পায়। দল কোথা টাকা পায় - সেইটা হয়তো ভবিষ্যতে নির্বাচন কমিশন জানতে চাইবে। ক্ষমতায় গিয়ে নিজেদের দলে ম্যানুফেস্টো ভুলে নিজেদের বিলাস জীবন নিশ্চিত করেছে সরকারের বিশেষ সুবিধায় জমির মালিক হয়ে। এদেরই একজন মতিউর রহমান নিজামী।

তার হলফনামায় কিছু মজার তথ্য আছে যা এখানে দেওয়া হলো। নিজামীর পেশা হলো - লেখক। (যদিও রাজনীতিক হিসাবে জামায়াতের তহবিল থেকে মাসিক বেতন পায় - কিন্তু তা বলার মতো সৎসাহস নেই) বার্ষিক আয়: ১.২ লাখ টাকা। বুঝা যায় বিরাট একজন লেখক - কিন্তু পাঠক কোথা পায় তা গবেষণার বিষয় বটে। সম্পত্তির পরিমান - ৪৭ লাখ টাকা।

( ১.২ লাখ টাকা বেতনে কোন খরচ না করে এই সম্পত্তির মালিক হতে হলে লাগবে প্রায় ৪০ বছর অর্থৎ চল্লিশ বছর তার আয় সম্পূর্ন জমা করে রাখতে হবে - না খেয়েদেয়ে!) গাড়ীর দাম - ৪০ লক্ষ টাকা। ( যা কিনার জন্যে তাকে ৩৩ বছর না খেয়ে - বাড়ী ভাড়া না দিয়ে সমস্ত টাকা জমাতে হবে) নির্বাচনী ব্যয় - ১৫ লাখ টাকা। যার মধ্যে ১.২ লাখ নিজের পকেট থেকে খরচ করা হবে। এখানে নির্বাচনের পর এক বছর না খেয়ে থাকার বিষয় ভাবতে হবে - কারন তার এক বছরের আয় ১.২ লাখ - যদিনা শিবির কর্মীরা চাঁদা দিয়ে তাকে খাওয়ায়। এই হলো সৎলোকের দলের প্রধানের হিসাব নিকাশ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।