যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি
। । আব্দুল কাইয়ুম তুহিন । ।
বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা, মধ্যপ্রাচ্য থেকে শ্রমিক ফেরত সহ নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও ২০০৮ সালে প্রবাসীদের পাঠানো আয় রেমিট্যান্স পাঠানো অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।
২০০৮ সালের ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে সাড়ে ৮শ’ কোটি মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা এসেছে যা দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে মূল চালিকাশক্তি হিসাবে কাজ করেছে। বছর শেষে এর পরিমাণ ৯০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২০০৭ সালে দেশে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসে ৬০০ কোটি ডলার। চলতি বছর প্রায় ৩০০ কোটি ডলার বেশি রেমিট্যান্স আসে।
রেমিট্যান্স প্রবাহের উচ্চ প্রবৃদ্ধির অব্যাহত থাকার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের উচ্চমূল্যের পরও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতিতে কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।
চলতি ২০০৮ সালের শুরুর দিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ৬০০ কোটি ডলার পৌঁছলেও বেশি দামে পণ্য কেনার চাপ সামলাতে রিজার্ভ পরিস্থিতি কিছুটা অস্থিতিশিল হয়ে উঠে। নিরাপদ অবস্থান থেকে সরে অক্টোবর মাসে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারে নেমে আসে। বর্তমানে আবারো তা কিছুটা বেড়ে ৫৬০ কোটি ডলারে পৌঁছায়।
চলতি বছরের বেশ কিছু প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে কাজ করতে হয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের। বছরের মাঝামাঝী সময়ে সৌদি আরব, কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ থেকে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ফেরত পাঠানোর ঘটনায় রেমিট্যান্স আয়ের সবচেয়ে বড় বাজার মধ্যপ্রাচ্য থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে আসার আশঙ্কা দেখা দেয়।
এরপর শুরু হয় ইউরোপ-আমেরিকা জুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা। তারপরও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স আয় অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য মতে, মোট রেমিট্যান্সের ৬০ শতাংশ আসছে বৈধ চ্যানেলে। বাকি ৪০ শতাংশ এখনো আসছে অবৈধ চ্যানেলে বা হুন্ডির মাধ্যমে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের ১১ তারিখ পর্যন্ত বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে মোট রেমিট্যান্স আসে ৮৬০ কোটি মার্কিন ডলার।
ডিসেম্বরের ১১ তারিখ পর্যন্ত রেমিট্যান্স আসে ২৬ কোটি ৩৮ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। মাস শেষে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ৭৫ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। গত নভেম্বর মাসে রেমিট্যান্স আসে ৭৬ কোটি ৭৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার; আক্টোবর মাসে রেমিট্যান্স আসে ৬৪ কোটি ৮৫ লাখ মার্কিন ডলার; সেপ্টেম্বর মাসে রেমিট্যান্স আসে ৭৯ কোটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার ডলার; আগস্ট মাসে রেমিট্যান্স আসে ৭২ কোটি ১৯ লাখ ডলার; জুলাই মাসে আসে রেকর্ড পরিমাণ ৮২ কোটি ৭ লাখ ডলার; জুন মাসে আসে ৭৫ কোটি ৩৫ লাখ ডলার, মে মাসে আসে ৭৩ কোটি ২ লাখ ডলার, এপ্রিলে অসে ৭৮ কোটি ১৮ লাখ ডলার, মার্চে আসে ৮০ কোটি ৮৭ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ৬৮ কোটি ৯২ লাখ ডলার এবং জানুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স আসে ৭১ কোটি ৭ লাখ ডলার। এই উচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতিও শক্তিশালী অবস্থানে ছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, হুন্ডি প্রতিরোধে সরকারের কার্যক্রম জোরদার হওয়ার ফলে প্রবাসীরা ঝুঁকিমুক্তভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন
(ইত্তেফাক থেকে কপি/পেস্ট)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।