কুট-কৌশলে গনতন্ত্রকে পাশ কাটিয়ে ব্যক্তির চাটুকারিতা ও দলবাজী করে স্থানীয় ও নির্বাচনে গন-প্রতিনিধিত্ব করার দিন যে ফুরিয়ে গিয়েছে, তার প্রমান জাতীয় নির্বাচনসহ গত চারটি সিটি নির্বাচন। তারপরও নীতি-নির্ধারনী পর্যায়ের রাজনীতিবিদদের ঘুম ভাঙেনি। চট্রগ্রাম, নারায়নগঞ্জ, কুমিল্লার সিটি নির্বাচনেও জনগন তাদের প্রতিনিধি নির্ধারনের ক্ষেত্রে দলীয় স্বার্থের চেয়ে জনস্বার্থকেই সু-স্পষ্ট প্রাধান্য দিয়েছে। নির্বাচনে তৃনমূল এবং জনমত যাচাই করে রাজনৈতিক দলসমূহ নিজ নিজ দলীয় নেতাদের সমর্থন দিবেন এবং সমর্থনের ভিত্তি ও ভবিষ্যত কর্ম-পরিকল্পনার স্বচ্ছধারনা ভোটারদের অবহিতকরনের মাধ্যমে সমর্থীত ব্যক্তির প্রতি জনসমর্থন চাইবে; এমনই প্রত্যাশা করে এই প্রজন্মের ভোটাররা। নির্বাচনে কোন দল বা ব্যক্তির নয়, বিজয় হবে নৈতিকতার, সততার ও ঐতিহ্যের; সর্বোপরি রাজনীতির।
"ব্যাক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়" কথাটা বক্তব্য সেমিনারের নয়, বাস্তব। এই সহজ বাস্তবতার প্রয়োগে জাতীয় রাজনীতির নিউক্লিয়াস ফোরামের বাধাঁ কোথায় তাও জনগন জানে। আচার-আচরনে জনগনকে বালুর বস্তা মনে করা নেতাদের পারদের পাহাড় হয়ে জনগনের ঘাড় মটকানোর আইয়ুব খান মার্কা রাজনীতির দিন শেষ। দলীয় সমর্থীত প্রার্থীর পরাজয় অবশ্যই দলেরও পরাজয়। এই গ্লানী যদি গ্রহন করতেই হয় তাহলে দলীয় সমর্থন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও গনতা্ন্ত্রিক হোক।
বন্ধ হোক রাজনীতির রাজনীতিকীকরন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।