I realized it doesn't really matter whether I exist or not.
বেশ কিছু দিন আগে একটা পোস্ট লিখেছিলাম শীতের প্রাকৃতিক দৃশ্য নিয়ে। Click This Link -এ ক্লিক করলে পোস্টটা পাবেন। কোন না কোনভাবে এবার শীতেও বি.বাড়ীয়ায় গিয়েছিলাম। গত ১১ই ডিসেম্বর বাসা থেকে রওনা হয়ে বি.বাড়ীয়ায় যাই। ওখানে মূলত আমার নানার বাড়ী।
প্রতি বছরই একবার করে ওখানে যাওয়া হয়। গত বছরও ডিসেম্বরে গিয়েছিলাম। এবারও যাওয়া হল।
গ্রামে গেলে বিশেষ করে শীতকালে আমার সবচেয়ে দারুণ লাগে অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্য। এবার গ্রাম্য এলাকায় কুয়াশা পড়েছে প্রচুর।
অবাক লাগলো যে সকাল দশটা এগারোটার দিকেও দশ হাত দূরের জিনিসও চোখে পড়ছে না ঘন কুয়াশার জন্য। কুয়াশা কাকে বলে দেখে এলাম এবার।
সন্ধ্যার দিকে আমার নানার বাড়ির আঙ্গিনায় বসে খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে গল্প করছিলাম। তখন অবাক হয়ে খেয়াল করলাম কুয়াশা কত দ্রুত আসে। মাইলের পর মাইল খোলা প্রান্তর।
দূরে একটু একটু কুয়াশা দেখা যাচ্ছিল। কিছুক্ষণ পর দেখি তা আরো কাছে এসে পড়েছে। আর কতক্ষণ পর আমারই মাথার চুল ভিজে গেল। আশ্চর্য! কুয়াশা তো নয় যেন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির ফোঁটা।
বি.বাড়ীয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার অন্তর্গত একটি গ্রামের কথা বলছি।
বিদ্যুৎ সুবিধা নেই সেই গ্রামে। দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠের মধ্যে ছোট্ট একটি গ্রাম যেন প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে ছোট্ট একটি দ্বীপ। এতো ব্যাকওয়ার্ড হওয়ার কারণে আজও সেখানে বিদ্যুৎ পৌঁছেনি। যাই হোক, সেখানে এক বসবাসের ঘরের মধ্য থেকে ১৫টি জীবিত গোখরা সাপ ও ১৮টি ডিমের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে কিছুদিন আগে। ঘটনাটা খুবই আশ্চর্যের।
যেই ঘরের মাঝখানে ডিম ও সাপগুলোকে পাওয়া গেছে সেই ঘর কখনোই খালি থাকে না। সবসময় মানুষ থাকে। এরকম একটি ঘরে কীভাবে যে গোখরা সাপ সংসার করে ডিম পাড়লো সেই ডিম ফুটে বাচ্চাও হলো, সেটা ভেবে অবাক হতে হয়।
ঢাকা থেকে ফোন করে খালাতো ভাই শফিককে দিয়ে কিছু ছবি তুলিয়ে রেখেছিলাম। শেয়ার করলাম।
এই সেই ডিমের খোসাসমূহ, যেগুলো এই ঘরেই পাড়া হয়েছিল
একটি বিষাক্ত গোখরা।
গোখরা সাপের দল। সাপগুলোকে মেরে ফেলার পর ছবিটি তোলা হয়।
অবাক হলাম। আমি নিজেও যতবার নানাবাড়ী গিয়েছি, সেই ঘরেই থেকেছি।
তবে এবার গিয়ে রাতে ঘুমাতে ভয় হয়েছিল। কারণ, বড় গোখরাটাকে ধরা যায়নি। অর্থাৎ, মা গোখরাটা, যেটা ডিম পেড়েছিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।