অগ্রহায়নের শুক্লা তিথিতে হালকা পাতলা গড়নের ফুট ফুটে যে শিশুটি পৃথিবীর বুকে পা রাখলো তাকে নিয়ে কি আয়োজন! সেকি উল্লাস । প্রথম নাম পেতে গিয়েই বিপাকে পড়লো শিশুটি। তার দিদিমা রাখলেন তার শারীরিক বিভার প্রাধান্য দিয়ে নাম রাখলো লাবণ্য, হালকা গড়নের বলে মা রাখলো তনুশ্রী, আর বাবা আদর করে রাখলেন অনু বা অনুপমা জাতীয় কিছু একটা। নাম মিমাংসা হয়নি তখনো। নিম্ন মধ্যবিত্তের ঘরে জন্ম নিয়ে বাড়তে থাকে শিশুটি।
যার যে নামে খুশি সেই সেই নামে ডাকে। মেয়েটিও তেমন সবার ডাকেই তাকে সাধ্যমত সাড়া দেওয়া চাই। যদি না কারো ডাকে সাড়া দেয় তাহলে আর তার রক্ষে নেই। ফুটফুটে দুরন্ত স্বভাবের এই শিশুটি সবার ভালবাসা। তাকে অধিকার করতে সবাই যেন রীতিমত যুদ্ধারম্ভ করে দেয় ।
কার কোলে সে হাসবে? হার হাসি খুশি মুখ যেন স্বর্গের চাঁদ। সময়ের সাথে সাথে তার বয়স পাড়তে থাকে। কিন্তু তার ইউনিক বা মূল নাম হিসাবে কোন টা স্থির করবে সেটা নিয়ে রীতিমত হাপিয়ে উঠেছে তার বাবা মা। আদরের সন্তানের নাম কি হবে সেটা নিয়ে বেশ হৈচৈ শুরু করে দিল তারা। তারা কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ ।
কেউ বলে অনু, কেউ বলে তনু। এই যখন অবস্থা তখন মেয়েটির মা একটা প্রস্তাব করে পাঠালেন মেয়েটির বাবার দরবারে। প্রস্তাবটা এই - দুজনের নামই একসাথে রাখতে হবে। নাম দুজনের টাই থাকবে। তবে যে তখন যা খুশি ডাকতে পারবে।
মায়ের প্রস্তাব অনুসারে সেটা সংকোচিত হয়ে দাড়ালো অনু +তনু, নু কমন নিয়ে যা হলো তা অতনু। মাযের প্রস্তাবটা চমৎকার প্রস্তাব বলে মেনে নিলেন বাবা। মাযের মুখে বিজয়ের হাসি। দুটো মিলেও যে নামটা হলো তা কিন্তু মাযেরই দেয়া।
মায়েরা কখনো পরাজিত হয়না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।