প্রযুক্তিকে ভালোবাসি। সর্বদা প্রযুক্তির ছোঁয়ায় সিক্ত হয়ে থাকতে চাই
মেহরাবের একটি পোস্টে পশু জবাইয়ের বিরোধিতা করা হয়েছে। যারা বিরোধিতা করেছেন তার জ্ঞাতার্থে এই পোস্ট-
ইসলামিক পদ্ধতিতে পশু জবাই করার বৈজ্ঞানিক কারণ
পশু জবাই করার কিছু পদ্ধতি আছে, যেমন একবারে সম্পূর্ন মাথা কেঁটে ফেলা, গলার সামনের দিক থেকে জবাই করা, গলার পেছন দিক থেকে জবাই করা ইত্যাদি। মুসলমান হিসেবে আমরা গলার সামনের দিক থেকে জবাই করে থাকি।
এটা প্রমানিত হয়েছে যে রক্তে জীবাণু এবং আরো অনেক বিষাক্ত পদার্থ থাকে।
তাই আমরা যদি রক্ত পান করি, তাহলে জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে। এই কারনে ইসলামে রক্ত পান করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
মগজ(ব্রেইন) সারাক্ষন মেরুদন্ড(স্পাইনাল কর্ড) এর সাথে যোগাযোগ করতে থাকে, যা আমাদের মাথা এবং শরীরের পেছনের দিকে অবস্থিত। রক্ত সামনের দিক দিয়ে হৃদয়(হার্ট) থেকে আমাদের মাথায়(ব্রেইনে) আসে। যখন একটি পশুকে সামনের দিক থেকে জবাই করা হয়, তখন মাথায় রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়।
ব্রেইনের তখন রক্তের প্রয়োজন হয়। তাই সে হৃদপিন্ড সাথে যোগাযোগ করে আরো রক্ত পাঠাতে বলে, কারণ রক্ত ছাড়া ব্রেইন কাজ করে না। আর মগজই আমাদের দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মগজ এসময় বারবার হৃদপিন্ডকে জিজ্ঞাসা করতে থাকে যে সে কেন রক্ত পাচ্ছে না এবং আরো রক্ত প্রেরণ করতে বলে । এখন রক্ত আসতে থাকলে তা বিচ্ছেদ করা শিরা(যে গুলো রক্ত বহন করে) দিয়ে বাইরে চলে যায়।
এভাবে আস্তে আস্তে সব রক্তই বের হয়ে যায় এবং পশুটি তখন খাওয়ার উপযোগী হয়ে উঠে।
অন্যদিকে, মাথা যদি সম্পূর্ণরূপে আলাদা করে ফেলা হয় তাহলে ব্রেইন কি করে শরীরের সাথে যোগাযোগ করবে। যোগাযোগের কোনো পথ না থাকার ফলে, রক্ত শরীরের মধ্যেই আটকা পড়ে যায় এবং ওই পশুর গোস্ত খেয়ে মানুষের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এই কারনেই স্বাভাবিকভাবে মৃত পশুপাখির গোস্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে ইসলামে।
এভাবে আমাদের সৃষ্টিকর্তা তার অপরিসীম বুদ্ধির প্রয়োগ করে আমাদেরকে সুস্থ এবং নিরাপদ থাকার পথ বাতলে দিয়েছেন।
মূল পোস্ট
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।