আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঈদ আর মুসলমানদের নেই

সকল অন্ধকারের হোক অবসান

শতশত বছর আগে মুসলিম শাসকদের আগমন ঘটে এই অঞ্চলে। এরপর থেকে মুসলিম ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান সবই এখানে পালিত হচ্ছে। সঙ্গে মিশে গেছে এখানকার স্থানীয় মানুষদের আচার অনুষ্ঠান। বছরের পর বছর ধরে এখানকার মানুষ পালন করেছে নিজস্ব ধর্মীয় উৎসব। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খৃস্টান- সকলেই নিজেদের উৎসবে আয়োজন করে নিজস্ব রীতি অনুযায়ী।

স্বাধীনতার পর থেকে ধর্মীয় উৎসবগুলো তাদের আপন গণ্ডি ডিঙাতে শুরু করেছে বেশ ভালোভাবে। যেমন- হিন্দুর পূজোতে মুসলমান দেবী দর্শন করে। আবার মুসলমানের ঈদে হিন্দুরা সেমাই খেতে দ্বিধা করে না। জসীম উদদীন বলছেন: সরস্বতী পূজার লাড়ু গড়িয়ে দু-চার জোড়া, মুসলমানের ঠোঁট ছুঁয়েছে তাও দেখেছি মোরা ছোঁয়া-ছুঁয়ির এতই যে বাড়, পীরের পড়া জল নমুর পোলার পীড়ার দিনে হয়নি তো বিফল। বড়দিনের কেকও মুসলমান, হিন্দুর জিহ্বা ছোঁয় আজকাল।

তাতে কারও কোনো সমস্যা হয় না। ভারতের মতো অতো জাত-পাত নেই বাংলাদেশে। কয়েকটি ধর্মের মানুষ এখানে বাস করে। কিন্তু দিনকে দিন তাদের উৎসব আর তাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। মুসলমানের হিন্দু কিংবা খৃস্টান বন্ধু আছে।

হিন্দুর ও খৃস্টানেরও আছে মুসলমান বন্ধু। ইদানিং এসব ধর্মের মানুষরা বিয়েও করছে একে অন্যকে। অতএব ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়ে পড়ছে সর্বজনীন। সবাই সবার উৎসবে অংশ নিচ্ছে, উপভোগ করছে, ভাগাভাগি করে নিচ্ছে আনন্দ। পত্রিকায় ঈদ সংখ্যা বেরুচ্ছে- সকলে পড়ছে।

ঈদ উপলক্ষ্যে টিভিতে কত মজার মজার অনুষ্ঠান দেখাবে- ধর্ম নির্বিশেষে সেগুলো সকলেই দেখবে আগ্রহ নিয়ে। এরকম একটা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্নই তো মুক্তিযোদ্ধারা দেখেছিলেন। যাহোক, কাল ঈদ। এ ঈদ এখন কেবল মুসলমানের নেই। এই ঈদ সকলের।

এ আনন্দ সকলের। ঈদের দিনটা আমাদের সুখ ও শান্তিতে যাক, এই প্রত্যাশাই করছি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।