আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই বিচারে আ'লীগও আমাদের প্রতিপক্ষ।

Miles to go before I sleep..... রোনাল্ড রিগ্যান নির্বাচিত হওয়ার পরপর বলেছিলেন, "সরকার আমাদের সমস্যার সমাধান নয়, সরকারই আমাদের সমস্যা। " এখানে সরকার বলতে সরকারের আওতা বাড়ানো, যা রিপাবলিকানদের নীতির পরিপন্থি, সেটার কথাই বলেছিলেন। তেমনি আ'লীগ এই বিচারে আমাদের সহপক্ষ না, তারাও প্রতিপক্ষ, বিএনপি-তো প্রতিপক্ষ বটেই। এই বিচারকে সামগ্রিকভাবে সফল রূপ দেয়ার জন্য জনগনকেই দায়িত্ব নিতে হবে। যদি জামাত আগামী নির্বাচনে আ'লীগকে সমর্থন দিবে বা বিএনপি-র সাথে জোট ত্যাগ করবে সেরকম কোন চুক্তি আ'লীগের সাথে করে, তাহলে আ'লীগ তাদের নেতাদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড দিবে না, যাতে পরে রাষ্ঠ্রপতি বা পরবর্তী সরকার তাদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড মওকুফ করে দিতে পারে।

কয়দিন আগে শিবিরকে পুলিশের মিছিলে বাঁধা না দেয়া এবং এখন আব্দুল কাদের মোল্লাকে ফাঁসির আদেশ না দেয়া, এ দুটো মিলালে এটা মোটামোটি বলা যায় হয়ত আ'লীগ আর জামাত কোন চুক্তি করেছে, জামাতের নেতারা বাঁচার জন্য আর আ'লীগ (এবং বিএনপি) রাজনৈতিক দল হিসেবে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সবকিছুই করতে পারে, রাজনীতিতে শেষকথা বলতে কিছু নেই। তাই মনে রাখতে হবে এই বিচারে আ'লীগও একটা প্রতিপক্ষ, শুধুমাত্র জনগনই এই বিচারের পক্ষ, তাই জনগনকে, বিশেষ করে তরুনদেরকে রাস্তা দখলে রাখতে হবে, আ'লীগকে চাপের মধ্যে রাখতে হবে যাতে কোনমতেই যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে কোনরকম শয়তানি না করে। আ'লীগকে এই মেসেজ পাঠাতে হবে যে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে শয়তানি করলে আগামী ১০০ বছরে তারা ক্ষমতায় যেতে পারবেনা। শুধুমাত্র এই একটা মেসেজ পাঠিয়েই যুদ্ধাপরাধের বিচার নিশ্চিত করা যাবে। উল্লেখ্য রাজনৈতিক দলের আদর্শ কোন স্ট্যাটিক বিষয় না, ক্ষমতায় যাওয়াই রাজনৈতিক দলের একমাত্র আদর্শ, যেমন টাকা বানানো ব্যবসায়ের উদ্দেশ্য।

তাই যুদ্ধাপরাধীর বিচার আ'লীগ কোন আদর্শ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে করছে তা না, শুধুমাত্র জনগনের চাপে পড়েই করছে, তাই জনগনকেই নিশ্চিত করতে হবে আ'লীগ যেন কোনমতেই জামাতের সাথে কোন চুক্তি করে এ বিচার বানচাল করতে না পারে। একবার যুদ্ধাপরাধের বিচার হয়ে গেলে তখন আ'লীগ বিএনপি কে কার সাথে জোট করল কে ক্ষমতায় গেল সেটা নিয়ে আমাদের অনেক লোকেরই কোন মাথাব্যথা নেই থাকলেও সেটা সেকন্ডারি, সেসব নিয়ে পরে ভাবা যাবে। এখন আমাদের মাথাব্যথা শুধু যুদ্ধাপরাধের বিচার, আমাদের আগের প্রজন্ম রক্ত দিয়ে আমাদেরকে দেশ উপহার দিয়েছে, আমরা যে কোন মূল্যে তাদের রক্তের সম্মান রাখব যুদ্ধাপরাধীদেরর বিচার নিশ্চিত করে। এবং আমাদের এই বিচার নিশ্চিত করার পথে আ'লীগ-বিএনপি বা অন্য কেউ যেই পথে বাঁধা সৃষ্টি করবে, সবাইকেই আমরা প্রতিবাদের আন্দোলনে ভাসিয়ে নিয়ে যাব। এ বিচারে আমাদের কোন পক্ষ নেই, কোন দল নেই, আমাদের একমাত্র দল যুদ্ধপরাধের বিচার নিশ্চিত করার দল, অন্যসবাই আমাদের প্রতিপক্ষ।

আ'লীগও আমাদের প্রতিপক্ষ। তাই কোনমতেই রাস্তা ছাড়া যাবে না, "অকুপাই শাহবাগ" চলুক। রাজাকার আব্দুল কাদের মোল্লাসহ নিজামি-গোআ-সাঈদী সবারই ফাঁসি চাই, এর কম কোনকিছুই মেনে নেওয়া হবে না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।